রোগ মুক্তির দোয়া - মৃত্যু ছাড়া সর্বপ্রকার রোগের মুক্তি লাভের দোয়া
আমরা কোরআনের মধ্যে পেয়েছি নানান রোগ মুক্তির দোয়া। আল্লাহর রোগ
যেমন দিয়েছেন রোগ মুক্তির দোয়াও দিয়েছেন। সেইসব রোগ মুক্তির দোয়া জানতে শেষ
পর্যন্ত পড়ুন।দোয়া করার মাধ্যমে মানুষ তাদের অন্তরের সুখ এবং সন্তুষ্টি খুঁজে পায়। এটি তাদের জীবনে ইতিবাচকতা এবং সুখ নিয়ে আসে।
রোগ মুক্তির দোয়া - মৃত্যু ছাড়া সর্বপ্রকার রোগের মুক্তি লাভের দোয়া
হ
গুরুত্বপূর্ণ রোগ থেকে মুক্তি মিলে
এমন একটা দোয়া আপনাদেরকে শিখায় দিব ওই দোয়াটা যদি আপনি পড়েন.জ্বর,হাঁটু
ব্যথা,পেট ব্যথা,মাথাব্যথা, ঘুম না আসা হাত পা জ্বালাপোড়া করা এমনি যত ধরনের
রোগ আছে সব ধরনের রোগ থেকে আল্লাহ আপনাকে পরিপূর্ণ সেফা দান করবে।সেফা আজেলা
কামেলা দান করবে এমন একটা দোয়া আপনাদেরকে শেখাবো। দোয়াটা আপনি সঠিকভাবে সঠিক
নিয়মে করতে পারেন তাহলে আল্লাহ রব্বুল আলামীন আপনাকে যেকোন ধরনের রোগ থেকে
বিপদ আপদ বালা মুসিবত থেকে সমস্ত থেকে আপনাকে হেফাযত করবে।
আপনার রোগগুলোকে পরিপূর্ণ সুস্থ দান করে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দোয়া হাদিস
থেকে আপনাদেরকে বলবো দোয়া হল এমন একটা জিনিস আমার নবী বলেন দোয়া মানুষের
ভাগ্য পর্যন্ত পরিবর্তন করে দিতে পারে। আপনার বড় ধরনের বিপদ আসার কথা ছিল আপনি
দোয়া করেন আল্লাহ আপনার বিপদ দূর করে দিয়েছি। আপনি অনেক বড় অসুস্থ হওয়ার
কথা ছিল যে অসুস্থতার কারণে আপনার অনেকলক্ষ লক্ষ টাকা যাওয়ার কথা ছিল আপনি
অনেক দুঃখ কষ্টে থাকার কথা ছিল।
দোয়া করার কারণে আল্লাহ আপনার সেই অসুস্থতা তুলে নিয়েছে এ জন্য আজকে এমন একটা
দোয়ার কথা বলব এই দোয়াটা পড়ে যদি আপনি বের হন আপনার শত্রু আপনার বন্ধু হয়ে
যাবে। এই দোয়াটা পড়ে যদি আপনি ব্যবসার উদ্দেশ্যে বের হন আপনার ব্যবসা ভালো
হবে আপনার দোকানে কাস্টমার বেশি হবে। এই দোয়াটা পড়ে যদি আপনি বিয়ের
উদ্দেশ্যে বের হন তাহলে আপনি ভাল পাত্র পাবেন অথবা পাত্রী পাবেন। এই দোয়া পড়ে
যদি আপনি পরীক্ষা দেন তাহলে আপনার পরীক্ষার রেজাল্ট ভাল হবেই এই দোয়া পড়ে
আপনি যেটাই চান না কেন আল্লাহ আপনাকে ওই জিনিসটাই দান করবেন।
আরো পড়ুনঃহাঁস পালন-হাঁস পালনের সহজ পদ্ধতি
দোয়াটি হলো: সিরাম বিসমিল্লাহিল সাফি বিসমিল্লাহিল কাফি
বিসমিল্লাহিল ওয়াফি ওয়াকাফায়া বিল্লাহি ওয়াকিলা রাব্বি আন্নি মাগলুমুন
ফাংতাছিল ইয়া আল্লাহু ইয়া রহমানু ইয়া রাহিমু ইয়া কারিমু।
এই দোয়াটি কিভাবে আমল করবেন এই দোয়াটি পড়ার আগেই আপনি ভালো করে পবিত্রতা
অর্জন করেন পবিত্রতা অর্জন করে আপনি এই দোয়াটি পড়ার আগে দুরুদ পাঠ করেন দুরুদ
পড়ে এর পরে আপনি দোয়াটি পড়বেন।
দ্রুত সুস্থ হওয়ার দোয়া
নেক আমলের উসিলা দিয়ে দোয়া কবুল হয় আপনার জীবনে যদি কোন নেক আমল থেকে
থাকে যেটা মাত্র আপনি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করেছেন। কেবলমাত্র
আপনি আল্লাহকে খুশি করার জন্য করেছিলেন। তাহলে আপনি এই দোয়াটি পড়ুন
ইনশাআল্লাহ আপনার দোয়া কবুল হবে।
আল্লাহুম্মা আ ফিনি বাদানি, আল্লাহুম্মা আ ফিনি বাদানি ফি সাম ই,আল্লাহুম্মা আ
ফিনি ফি বাসারি, লা ইলাহা ইল্লা আনতা।
জ্বর থেকে মুক্তির দোয়া
একদিন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে আসলেন কৃষ্ণকায়
এক নারীর বেশ ধরে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন তুমি কে জ্বর
বলে আমি উম্মে মিলাম রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম জিজ্ঞাসা করলেন কি করো তুমি
উত্তরের জ্বর বলল আমি গোশত খায় আর রক্তচুষি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞাসা করলেন তুমি কোথায় থাকো উত্তরে বলল জাহান্নামে আমার
বাড়ি জাহান্নামে জাহান্নামের উত্তাপ থেকে আমার জন্ম হয়েছে রাসূল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আর বুঝতে বাকি রইলো না যে এটা জ্বর।
জ্বর বলল আপনার প্রিয় সাহাবী তাদের কাছে আপনি আমাকে পাঠান নবী সাল্লাল্লাহু
সাল্লাম মদীনার সকল আনসারীর নিকট পাঠিয়ে দিলেন এবং আনসারীরা একদিন দুইদিন নয়
সাতদিন পর্যন্ত আনসারি সাহাবীদের জ্বর থাকলো ক্লান্ত হয়ে গেলে ছোট বাচ্চা থেকে
সকলেই সাত দিনের পর অতিষ্ঠ হয়ে একজন প্রতিনিধিকে আল্লাহর রাসূল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে পাঠানো হল প্রতিনিধি এসে রাসূল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বললেন ইয়া রাসুল আমাদের সকল আনসারী
সাহাবীদের জ্বর আসলো আজকের সাতদিন পর্যন্ত আপনি দোয়া করেন যেন আল্লাহ তাআলা
সুস্থতা দান করেন।
রাসূল সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দোয়া করলেন এবং সাথে সাথে জ্বর চলে
গেল এরপর নবী সাল্লাল্লাহু সাল্লাম ঐ সমস্ত লোকদের বলতেন স্বাগতম তোমাদের
আল্লাহ তা'আলা জ্বরের মাধ্যমে পবিত্র বাণীইয়ে দিয়েছেন এজন্য গজব নয়
সমস্ত বান্দার জন্য রহমত আল্লাহ তায়ালার গুনাহ মাফ করে দেন।
এক সাহাবী বিবাহ করেছে অত্যন্ত সুন্দরী একজন মহিলাকে তাদের খুব সুন্দরভাবে
জীবন-যাপন চলছিল 2 থেকে 3 বছর পর একদিন গভীর রাতে পানি চাইল এবং তার জন্য দূরে
চলে গেলে পানি আনতে আনতে ঘুমিয়ে পরল ঘুম থেকে না ওঠা পর্যন্ত স্ত্রী দাঁড়িয়ে
থাকলো ফজরের আজান শুনে ঘুম ভাঙলো ঘুম থেকে উঠে দেখল তার স্ত্রী পানি নিয়ে
দাঁড়িয়ে আছে স্বামী খুশি হয়ে বললেন বিবি মধ্যরাতে পানীয় আর এখন তুমি
দাঁড়িয়ে আছো ক্লাস নিয়ে ঘুমাওনি স্ত্রী বললেন না আপনি পানি চেয়েছেন আবার
কখন চাইবেন আমি দিতে পারবো না আপনি পানির জন্য কষ্ট পাবেন আপনি কষ্ট পেলে আমি
নিজেও কষ্ট পাব আর স্বামীকে অসন্তুষ্ট রেখে কোন স্ত্রী জান্নাতে যেতে পারবে না।
আর এখনকার সময় আমাদের এমন অনেকেই আছেন যারা পানি চাইলে দেয়না উল্টো ঝাড়ি
দেয় যাইহোক খুশি হয়ে গেলেন এবং স্ত্রীকে বললেন তোমার উপর আমি অনেক সন্তুষ্ট ও
খুশি হয়ে গেলাম। আজকে আমি ওয়াদা দিলাম তুমি যা চাইবে আমি তোমাকে তাই দিয়ে
দিব বলেন কি সত্যিই যা চাইবো তাই দেবে সাহাবী বললেন হা বললেন আপনি মুসলমান নবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উম্মত আপনি মিথ্যা বলতে পারেননা সাহাবী
বললেন যা চাইবে তাই দিব যদি চান তাহলে আমাকে তালাক দিয়ে দেন স্বামী স্ত্রীর
কথায় অবাক হয়ে গেলেন
এবং বললেন এটা কি বল তালাক কেন চাইলা স্ত্রী বললেন না কোন প্রশ্ন নাই
আপনি বলেছেন যা চাইবো তাই।স্বামী বললেন না নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর
বাড়ি যেতে হবে না চলুন আমরা বাড়িতে যাই সাহাবী বললেন ওহে বিবি আমি তোমাকে
তালাক দিতে চাইনা তোমাকে আমি মন থেকে অনেক ভালোবাসি সুতরাং যত কষ্ট হোক নবীজি
সাল্লাল্লাহু সালামের বাড়িতে যায় এবং ফায়সালা নিয়ে আসি।
স্ত্রী বললেন হে আমার প্রিয় স্বামী তালাক দিতে হবে না আমার যা পাওয়ার আমি
পেয়েছি এবার চল বাড়ী চলে যাবে কারণ জানতে চাইলে স্ত্রী বললেন আমি তিন-চার বছর
আপনার সংসার করছি কোনদিন আপনার ঘরে কোন বিপদ দেখলাম না আল্লাহর রাসূল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন আল্লাহ তা'আলা যাকে পছন্দ করেন তাকে
বিপদ আপদ বালা মুসিবত দিয়ে পরীক্ষা করে কোন বালা-মুসিবত দেখলাম না আমার
ধারণা আল্লাহ মনে হয় আপনাকে পছন্দ করেন না যে লোককে আল্লাহ পছন্দ করেন না আমি
তার সাথে সংসার করবো না তাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।
যখন আপনার পা পথ চলতে চলতে পাথরের মাঝে আল্লাহ ফাটিয়ে দিয়েছেন আল্লাহ
আপনাকে বড় ধরনের বিপদ দিয়েছেন এখন বিশ্বাস হয়েছে আল্লাহ আপনাকে পছন্দ করেন
তাই আমি আপনার সংসার করবো আর বর্তমানে স্ত্রীগণ যদি বাসায় সাতদিন খাবার না
থাকে তাহলে তালাক দিয়ে চলে যায় এমন ঘটনা রয়েছে তাই বিপদে ধৈর্য হারাতে নাই
এবং এর জন্য আল্লাহকে দোষারোপ করা ঠিক নয় আমাদের ধৈর্য আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস
থাকতে হবে সবই আল্লাহর তাআলার বিপদ দিয়েছেন আপনার মঙ্গলের জন্য আমাকে পরীক্ষা
করার জন্ড়া মাফ করে দেওয়ার জন্য তাই বিপদে আপদে কিছু দোয়া রাসূল
সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম আমাদের শিখিয়ে গেছেন
বিসমিল্লাহিল কাবির, আউজুবিল্লাহিল আজিমি মিন শাররি ইরকিন না’আর, ওয়া মিন
শাররি হাররিন নার।
এম এ এস ওয়ার্ড স্টোরি এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url