ক্রেডিট কার্ড কি - ক্রেডিট কার্ড কি ভাবে পাবো
এইচএসবিসি ব্যাংক 1996 সালে বাংলাদেশে ক্রেডিট কার্ড নিয়ে আসে।যদিও ততটা জনপ্রিয় হয়নি শুধু সমাজের উচু মানুষ ব্যবহার করতো।2009 সালে সিটি ব্যাংক এর মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ড বাংলাদেশে জনপ্রিয়তা পাই।এখন.12 থেকে 15 লাখের মতো ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন।
আমরা আমাদের ব্যাংকের নিকট ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারি এবং তাদের নিয়ম কানুন গুলো মানলে আমরা ক্রেডিট কার্ড পাবো।
সূচি পত্রঃক্রেডিট কার্ড কি - ক্রেডিট কার্ড কি ভাবে পাবো
ক্রেডিট কার্ড কি
ক্রেডিট কার্ড কি ভাবে পাবো
যেসব ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড সেবা দান করে থাকে সে সব ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড বিভাগে যোগাযোগ করতে হবে। প্রথমত আপনার পরিচয় পত্র আপনারা এর উৎস মাসিক আয় আরও বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে ক্রেডিট কার্ড সেবাদানকারী ব্যাংকের সঙ্গে বা ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আপনি খুব দ্রুত ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন।
আসলে কারা পাবেন এবং কি কি এর সুদের হার আমরা প্রথমেই বলেছি আপনার মাসিক ইনকাম টা 25 থেকে 30 হাজার টাকা হতে হবে আপনি চাকরিজীবী হতে পারেন হতে পারেন আপনি ব্যবসায়ী। আপনার একটা টিন সার্টিফিকেট এটি আর আপনার আইডি কার্ডসহ যদি আপনি যেকোন ব্যাংক এপ্লাই করেন তারা আপনার যাবতীয় কিছু বিবেচনা করবে।
ক্রেডিট কার্ড সুবিধা অসুবিধা
ক্রেডিট কার্ড এর ক্ষেত্রে অনেক সময় তাদের নিয়ম অনুযায়ী 0% হারে ঋণ পাওয়া যায় যেটা পরিষদের সময় 45 দিন হয়ে থাকে তারা ছোটখাটো ঋণের প্রয়োজন মেটাতে পারেন।মধ্য মায়ের মানুষের জন্য যদিও ক্রেডিট কার্ড টি একটি বাড়তি দাই টানার মত বাজারের একটি বাড়তি জিনিস কেনার মত যা খুব একটা প্রয়োজনে আসে না।
আরো পড়ুনঃরোগ মুক্তির দোয়া - মৃত্যু ছাড়া সর্বপ্রকার রোগের মুক্তি লাভের দোয়া
কিন্তু এটা আবার ধনীদের ক্ষেত্রে আলাদা যাদের সঙ্গে অতিরিক্ত কাগজের টাকা নিয়ে চলাচল করা কঠিন তারাই ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে থাকেন তাদের জন্য বেশ সুবিধা।দেখা যায় অধিকাংশ ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারীরা শহর অঞ্চলে বসবাস করে যে কারণে তাদের এটিএম কাছে পাওয়া যায় তাতে তারা ব্যাংকের ভোগান্তি থেকে বেঁচে যায়
বড় ধরনের শপিং মহল রেস্তোরাঁ অনলাইনে কোনোকিছু অর্ডার প্রেমেন্ট করার জন্য ক্রেডিট কার্ড খুবই প্রয়োজনীয় একটি মাধ্যম যেটার মাধ্যমে এখন শুধুমাত্র বাংলাদেশ প্রায় 12 থেকে 15 লাখো মানুষ সার্ভিস নিয়ে উপকৃত হচ্ছেন তাদের মাঝে অধিকাংশই উচ্চপদস্থ চাকরিজীবী।এবং যেকোন প্রয়োজনে দেশের বাইরে গেলে ক্রেডিট কার্ড অতি প্রয়োজন হয় বিদেশগামীদের জন্য ক্রেডিট কার্ড অনেক গুরুত্ব পায় তারা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে সার্বিক অর্থে কাজ সম্পূর্ণ করে থাকেন।
ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারীদের অনলাইন পেমেন্ট এর ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের ডিসকাউন্ট দিয়ে থাকেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অনলাইন বুকিং অনলাইনের যেকোনো কাজের জন্য প্রেমেন্ট করতে হয় প্রায় সময়ই ক্রেডিট কার্ড থেকে।এখন বাংলাদেশ ধীরে ধীরে আধুনিক হচ্ছে আধুনিকতার সাথে সাথে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সময়ের সাথে সাথে এটিএম বুথগুলো মানুষের দ্বারপ্রান্তে আসার চেষ্টা করছে আধুনিকতার ছোঁয়া হিসেবে ক্রেডিট কার্ড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
মানুষ টাকার পরিবর্তে বা ক্যাশ টাকার পরিবর্তে ক্রেডিট কার্ডে টাকা নিয়ে ঘুরতে বেশি পছন্দ করেন কারন তাতে রিস্ক কম থাকে আস্তা পূর্ণ ব্যাংক হলে নিশ্চিতভাবে টাকা রাখা যায় এবং চলাচলে সুবিধা পাওয়া যায়।
ক্রেডিট কার্ড খরচ
ক্রেডিট কার্ডের সুদের হার এটা হয় মাসিক ভিত্তিতে সাধারনত 2.5 শতাংশ বাৎসরিক হিসাব করলে থার্টি পার্সেন্ট সুদে এক লাখে আপনাকে 30 হাজার টাকা দিতে হয়।ক্রেডিট কার্ডের নানাপ্রকার হিডেন চার্জ থাকেন। যে ব্যাংক থেকে ক্রেডিট কার্ড নিবেন তাদের কাছ থেকে clear-cut ইনস্ট্রাকশন টা নিয়ে নেবেন তাদের বাৎসরিক চার্জ কত আপনি যদি ক্যাশ আউট করেন তাহলে কোন সুদ আছে কিনা আপনি যদি অ্যাডভান্স পেমেন্ট করে দিতে চান কোন প্রকার সেখানে ফ্রী আছে কিনা আপনি যদি ক্রেডিট কার্ডটা পরিত্যাগ করতে কোন প্রকার আপনার ফ্রি আছে কিনা সাধারনত যেটা দেখা যায় ব্যাংকগুলো বিভিন্ন হিডেন চার্জের মধ্যে বাৎসরিক একশো চুয়াল্লিশ পর্যন্ত আপনার কাছ থেকে টাকা আদায় করে 1 লক্ষ 44 হাজার টাকা আপনাকে দিতে হয়।
ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের নিয়ম
অতিরিক্ত প্রয়োজন ছাড়া ক্রেডিট কার্ড থেকে টাকা উত্তোলন না করাই ভালো
কারণ এটিএম থেকে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করলে অনেক সুদ দিতে হয়
যে কারণে আপনি ডিজিটাল উপায় কেনাকাটা বা যেকোনো প্রেমেন্ট করার জন্য ক্রেডিট
কার্ড ব্যবহার করতে পারেন অনলাইন পেমেন্ট এর কাজে যেমন লাগে এমন সময় মত টাকা
পরিশোধ না করলে চরা সুদ দিতে হয়।
আপনি চেষ্টা করবেন আপনার পরিচিত ছাড়া কোন সাইডে আপনার ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার না করতে কারণ সেখানে আপনার মূল্যবান ইনফর্মেশন রয়েছে যা যে কোন হ্যাকার হ্যাক করে নিতে পারে যাতে আপনি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।অবৈধ কাজের শিকার হতে পারেন আপনি সাবধান।
ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা
যাদের ব্যাংক একাউন্ট রয়েছে তারা আর্থিক হয় সচ্ছল হলে এবং ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার সব ধরনের যোগ্যতা তার ভেতর পাওয়া গেলে তবেই তাকে ব্যাংক থেকে ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হয়। ব্যাংকগুলো যে ধরনের কাজগুলো দেখে নিচে তার বর্ণনা দেওয়া হলো।
- চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে
ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী ন্যূনতম ছয় মাসের ব্যাংকের হিসাব থাকতে হবে মাসিক বেতন ৩০ হাজারের বেশি হতে হবে চাকরির বয়স ছয় মাসের বেশি হতে হবে সাথে টিন সার্টিফিকেটই , দুই কপি ছবি ,জাতীয় পরিচয় পত্র এবং রেফারেন্স এর প্রয়োজন হবে।
- ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে
তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে ব্যাংক একাউন্টের বয়স ন্যূনতম এক বছর হতে হবে। দশ লাখের বেশি লেনদেন থাকা লাগবে। তার জাতীয় পরিচয় পত্র, দুই কপি ছবি, ট্রেড লাইসেন্সও রেফারেন্সের প্রয়োজন হবে।
- অন্যান্য পেশাজীবীদের ক্ষেত্রে
যে যে পেশায় আছেন সেখানকার আইডি কার্ড বা যেকোনো ধরনের পরিচয় মূলক কার্ড
তাতে যেন আপনার কর্মসংস্থানের প্রমাণ থাকে। সঙ্গে দুই কপি ছবি, জাতীয় পরিচয়
পত্র, বিদ্যুৎ বিলের কাগজ ফটোকপি ও রেফারেন্স থাকতে হবে।
ক্রেডিট কার্ড থেকে টাকা তুলতে হলে অবশ্যই
ক্রেডিট কার্ড থেকে টাকা তোলা
আপনাকে এটিএম বুথে যেতে হবে এটিএম বুথে যথাযথভাবে কার্ড ব্যবহার করে আপনি আপনার টাকা তুলতে পারবেন আপনি যে ব্যাংকে একাউন্ট খুলেছেন বা আপনি যে ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে থাকেন শুধুমাত্র ওই ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে পারবেন। তাছাড়াও ওই ব্যাংকের পার্টনার ব্যাংক বা সম্পর্ক আছে এমন ব্যাংক থেকে আপনি টাকা তুলতে পারবেন তবে অতিরিক্ত প্রয়োজন ছাড়া টাকা না তলায় উত্তম।
ক্রেডিট কার্ড কত প্রকার
বাংলাদেশের প্রায় সকল ব্যাংকেই ক্রেডিট কার্ড সুবিধা রয়েছে। ব্যাংকগুলো তাদের
রোলস অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন ক্রেডিট কার্ড দিয়ে থাকে। তার মধ্যে বেশিরভাগ
ব্যাংকের একাধিক কার্ড ব্যবহার করে থাকে। তার মাঝে বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট
কার্ডের নাম এবং ব্যাংকগুলোর নাম উল্লেখ করা হলো
- ক্রেডিট কার্ড ব্র্যাক ব্যাংকের
ইনফিনিট, গোল্ড , ক্লাসিক, সিগনেচা্র , প্লাটিনাম ইত্যাদি কার্ড রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংকের আন্ডারে
- ক্রেডিট কার্ড সিটি ব্যাংকের
সিটি আলো আমেরিকান এক্সপ্রেস, আমেরিকান এক্সপ্রেস গ্রীন ব্লু, আমেরিকান এক্সপ্রেসপ্লাটিনাম, আমেরিকান এক্সপ্রেস গোল্ডেন।
- ক্রেডিট কার্ড ডাচ বাংলা ব্যাংকের
ভিসা গোল্ড, ভিসা গোল্ড ইন্টারন্যাশনাল, ভিসা প্লাটিনাম, ভিসা ক্লাসিক
লোকাল, ভিসা ক্লাসিক ইন্টারন্যাশনাল, মাস্টার কার্ড ক্লাসিক লোকাল।
এই কার্ডগুলো বিভিন্ন ব্যাংকের কাছ থেকে আপনি পেয়ে থাকবেন এই কার্ডগুলো নিতে হলে অবশ্যই আপনাকে তাদের ফরমালিটি মেনটেন করতে হবে উপরে তাদের সব ধরনের ফর্মালিটির কথা আপনাদের বলা হয়েছে।
এম এ এস ওয়ার্ড স্টোরি এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url