গরমে আরামের উপায় - বিদ্যুৎ ছাড়া থাকার সহজ উপায়

 বর্তমান সময়ে লোডশেডিং যেন স্বাভাবিক বিষয় কিন্তু গরম স্বাভাবিক নেই স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি গরম পড়ায় মানুষ অতিষ্ঠ জীবন যাপন করছে বিদ্যুতের ওপর নির্ভর না করে গরমে আরাম করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে বিদ্যুৎ ছাড়া গরমে আরাম করার উপায় কি নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো



গ্রামে যেটা সবচেয়ে বেশি দেখা যায় সেটা হলো গাছের ছায়া মাত্রাতিরিক্ত এই গরমে গাছের ছায়া আপনার আরামের উপায় হতে পারে গরম যেন মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপনের একটি বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তার ওপর রয়েছে লোডশেডিং দুইটা মিলিয়ে বর্তমান মানুষের জীবন যাপন জীবনযাত্রার মান ধীরগতির হয়ে গেছে মানুষ যেন দিক বিদিক পাগলের মত ছোটাছুটি করছে।

যদি একান্তই ঘরে থাকার ইচ্ছা হয় তবে খেয়াল রাখতে হবে ঘরের জানালা দরজা খোলা যেন থাকে তাতে বাতাস চলাচল স্বাভাবিক থাকবে স্থানটি গরমের কারণে ভেপে উঠবে না। ছায়াযুক্ত বারান্দা খুঁজুন এমন বারান্দা যার সামনে একটি বড় গাছ বা বিল্ডিং রয়েছে নিশ্চয়ই সেখানে শীতল অনুভূতি পাবেন যেটা বিদ্যুৎ ছাড়া গরমে আরামের উপায় হতে পারে আপনার।

অনেক সময় শোনা যায় যেখানেই ভূতের ভয় সেখানেই সন্ধ্যা হয় বর্তমান সময়ের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রার মান এমনই শরীরে স্বাভাবিকের চেয়ে সামান্য একটু গরম লাগলেই যেন বিদ্যুৎ চলে যায় মরার উপরে খারার ঘা এমন অবস্থায় বৃষ্টি নেই মাটি ফেটে চৌচির শান্তি নেই কোথাও মাটি দিয়েও যেন ভাব ওঠে আমরা যেন ভাপা পিঠা হয়ে গেছি।

জীবনযাত্রার মান উন্নত ও আরামদায়ক করতে বাড়ির আশে পাশে ফাঁকা জায়গা গুলোতে বড় জাতের গাছ লাগাইতে হবে যেমন আম , জাম , কাঁঠাল , বট , কদম , মেহগনি , লিচু ইত্যাদি গাছ লাগাইতে পারেন। গাছগুলো আপনাকে দীর্ঘ সময় শীতল এবং আরামদায়ক পরিবেশ দেবে যাতে আপনি দীর্ঘ সময় আরামে থাকতে পারবেন গাছ লাগান পরিবেশ বাঁচান এটা আমার কথা নয় দশের কথা বিশেষ একটি পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে গরমে আরামের এর চেয়েও ভালো উপায় রয়েছে।

গরমে ঠান্ডা থাকার জন্য আমরা নিয়ম অনুযায়ী খাবার খেতে পারি তরল ফল সবজি গরমে আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণে ফল খেতে পারেন ফলমূল শাকসবজি গুলো আপনার হাইড্রেশন সরবরাহ করবে তরল ফল বলতে তাল ,আম ,লিচু , পেঁপে , কলা , আপেল , ইত্যাদি ফল খেতে পারেন সবজির মধ্যে কুমড়া , শসা , সবুজ শাক , লাউ , টমেটো ইত্যাদি খেতে পারেন.

ঠান্ডা শাকসবজি গরমের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে যেমন পালং শাক , সিম , বাঁধাকপি , মুলা , লাল শাক , ইত্যাদি

গরমে আপনাকে পর্যাপ্ত তরল খাবার পান করতে হবে. যেমন পানি , দই, জুস . সবজির সোপ তাছাড়াও রয়েছে মাছ-মাংস। মাছ মাংস প্রাকৃতিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে থাকে কারণ মাঝে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি প্রচুর পরিমাণে থাকে যা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।

আপনি এ ধরনের খাবার খেলে পর্যাপ্ত পুষ্টি পাবেন এবং শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য পাবেন। তবে আপনার অন্যান্য কোন রোগ থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাবার খাবেন এটাই আপনার জন্য উত্তম।

যেকোনো ধরনের সমস্যা থেকে কর্মই মানুষকে বাঁচিয়ে রাখতে পারে কারণ কর্ম ব্যস্ততার কারণে কোন অনুভূতি যেন স্পর্শ করে না তবে কর্মের সময় খেয়াল রাখতে হবে গরম যেন বেশি না লাগে না হলে মেডিকেল প্রস্তুত আপনার জন্য সাবধান। সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন...

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম এ এস ওয়ার্ড স্টোরি এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪