এখন মানুষের ভিতরে দুঃখ বিলাসী দুঃখ বিলাসী ভাব কেন - সুখ কোথায় পাবো

প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও পেলাম আমাদের একটি উৎসবের দিন ঈদুল আযহা বা সাধারণ ভাষায় বলতে গেলে আমরা কোরবানির ঈদ বলে থাকি। প্রায়ই দীর্ঘ দুই বছর পরে আমরা কোরবানির ঈদ টি স্বাভাবিকভাবে পালনের সুযোগ পেয়েছি। যদিও আমাদের অনেক আকর্ষণ থাকতে পারে এই ঈদের জন্য। কিন্তু আমার মতে সবচেয়ে আকর্ষণ কোনরকম বাধা ছাড়া স্বাভাবিকভাবে ঈদ উদযাপনের সুযোগ যা আমরা দীর্ঘ 2 বছর করোনার কারণে বাধাগ্রস্থ হয়েছি ইনশাল্লাহ এই বছরের ঈদটি স্বাভাবিকভাবে পালন করতে পারব।

এই কোরবানি ঈদের আকর্ষণ কি কি

মুসলিমদের জন্যে দুটি উৎসবের দিন রয়েছে তার ভিতরে একটি ঈদুল ফিতর একটি ঈদ উল আযহা আমরা ঈদুল আযহা কোরবানি ঈদের উদ্দেশ্যে কথা বলব। কোরবানির ঈদ মূলত আল্লাহকে রাজি ও খুশি করার উদ্দেশ্যে আমরা পশু কোরবানি দিয়ে থাকি। এবং গরিব-দুঃখীদের মাঝে আনন্দটুকু ভাগাভাগি করে নেই। এই ঈদের অভিজ্ঞতা আমাদের চারিত্রিক উন্নতি ও মানসিক বিকাশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

কোরবানির ঈদের সময় মুসলিম সমাজের সদস্যরা একতা ও সাম্প্রদায়িক একতা অনুভব করে এটি সামাজিক বন্ধন, একটি সংগঠিত সামাজিক অনুষ্ঠান ও সাম্প্রদায়িক একতার প্রতীক। কোরবানির ঈদে মানুষ সমাজের দরিদ্র , গরিব ও অসহায় মানুষদের জন্য দান করে। পশুগুলির মাংস এবং বস্ত্র বিতরণ করে এবং তাদেরকে সাহায্য করে। এই দান প্রক্রিয়াটি মানুষের সামাজিক দায়িত্ব ও মানবিক সম্পর্কের প্রতীক এ সকল দিকগুলো মিলিয়ে কোরবানি ঈদ সমাজের জন্য বিশেষ আকর্ষণ উৎপন্ন করে থাকে এবং মানুষের উৎসব, উল্লাস, ভালবাসা এবং সাম্প্রদায়িক মূল্যবোধ জাগ্রত ও উন্নত হয়।

শহরে বসবাস বা চাকরির উদ্দেশ্যে বসবাস রত লোকগুলো পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে ছুটে আসে তাদের নিজ বাড়িতে যা প্রায় দীর্ঘ দুই বছর ধরে বন্ধ ছিল বললেই চলে কিন্তু এই বছরে কোন বাধা ছাড়াই সবাই নিজ নিজ গতিতে ছুটে চলেছে পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দের উদ্দেশ্যে। এবারের এই কোরবানির ঈদের আকর্ষণ হিসেবে বাধাহীন পথ চলা অন্যতম যা দুই বছরে মানুষ অনেক মিস করেছে।

এই ঈদের আরো কিছু আকর্ষণ রয়েছে তা হলো কোলাকুলি করা ,হাত মেলানো, ঈদগাহে সালাত আদায় করা, উন্মুক্ত চলাচল করা, কোন ধরনের প্রোডাকশন ছাড়াই নির্বিঘ্নে ঘুরে বেড়ানো, আড্ডা দেওয়া, আত্মীয় এর বাড়িতে দাওয়াত খেতে যাওয়া, যেকোনো ধরনের অনুষ্ঠান পরিচালনা করা, স্বাধীনভাবে দেখে শুনে কোরবানির পশু কেনা। স্বাধীনভাবে মার্কেটে গিয়ে পোশাক কেনা,