ওজন কমানোর উপায় - কোন কোন ফল খেলে ওজন কমে

 অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো নয় হোক লোভ হোক দেহ কোনোটিই নয় বর্তমান সময়ে সমাজের মধ্যে দেখা যায় সামান্য কিছুটা মোটা আকৃতির মানুষই বেশি আজব দুনিয়ায় কেউ মোটা হতে চাই আবার কেউ চিকন কার কি চাওয়া ওজন কমানোর উপায় সম্পর্কে অনেকেই অজানা কারণ তাদের ধারণা খাবার খেলে মোটা না খেলে চিকন কিন্তু সবসময় এটা সত্যি হয় না। ওজন কমানোর উপায় সম্পর্কে নীচে বিস্তারিত জানব।



পোস্ট সূচিপত্রঃওজন কমানোর উপায় - কোন কোন ফল খেলে ওজন কমে

কোন কোন খাবার খেলে ওজন কমে

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে খাবারের সঙ্গে ওজন কমানোর জন্য সালাত থাকাটা খুবই জরুরী টমেটো, ক্যাপসিকাম ,শসা সঙ্গে সামান্য লেবু রাখা যায়। যেকোনো ভর্তা যেমন আলুর ভর্তা বেগুন ভর্তা কলা ভর্তা বিভিন্ন শাকসবজিতে লেবু ব্যবহার করতে হবে। লেবু আমাদের শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমানোর উপায়

প্রতিদিন আপনার খাওয়ার তালিকায় সবুজ শাকসবজি মাছ বাঁধাকপি ফুলকপি আলু ভর্তা দেশি মুরগির মাংস ডাল পনির বাদাম রাখতে হবে এগুলোতে প্রোটিন ও ফাইবার উপাদান থাকায় শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে সহায়তা করে থাকে।

লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায়

লেবু পানি ও মধু একসাথে মিশিয়ে সকাল বেলা খালি পেটে খেলে সারাদিন খাওয়ার কম খাওয়া পরে যে কারণে শরীরে খাবার পানি ক্যালরি ভিটামিন ফ্যাট সবকিছুই কম প্রবেশ করে যে কারণে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা অনেক সহজ হয়ে যায়। লেবু পানি ও মধু একসঙ্গে পান করলে শরীরের অতিরিক্ত চর্বি গলে যায় তার সাথে শরীরের বিভিন্ন বিষাক্ত পদার্থ বেরিয়ে আসে যদিও কোন বৈজ্ঞানিক প্রমাণ আমাদের কাছে নেই।

আমরা জানি লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। লেবু শরীরের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যোগান দিয়ে থাকে যে কারণে ত্বকে বলিরেখা পড়তে বাধা দেয় ত্বকের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করে। খাদ্যাভ্যাস ঠিক রেখে নিয়ম অনুযায়ী লেও পানি পান করলে ওজন কমানো সম্ভব সেক্ষেত্রে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে।

পানি খেয়ে ওজন কমানোর উপায়

আমাদের সকলের জানা পানির অপর নাম জীবন। ওজন কমানোর উপায় হিসেবে বর্তমানে পানির ব্যবহার অনেকটাই বেড়ে গেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে আমরা সকালের খাবার হিসেবে খুবই হালকা খাবার খেতে পছন্দ করি। সকালের খাবার খাওয়ার প্রায় ২৫ থেকে ৩০ মিনিট আগে চার থেকে পাঁচশ মিলিমিটার পানি পান করতে পারি। আমরা দুপুরে পেট ভরে খাবার খেতে পছন্দ করি সেক্ষেত্রেও ওজন কমানোর উপায় রয়েছে খাবার খাওয়ার আগে এক থেকে দুই গ্লাস পানি পান করা উচিত।

শরীরকে আদ্র রাখতে পানি খুবই প্রয়োজনীয়। আমরা পেটপুরে খাবার আগে এক থেকে দুই গ্লাস পানি পান করলে আমাদের শরীর ক্যালরি অল্প গ্রহণ করে সেক্ষেত্রে আমাদের ওজন কমানোর উপায় হিসেবে কাজ করে। ওজন কমানোর উপায় হিসেবে আমরা দিনে অন্তত ১০ ক্লাসের বেশি পানি পান করব। সময় ও সুযোগের উপরে নির্ভর করবে আমরা কতটুকু পানি পান করব যদি আমাদের ঘাম বেশি বের হয় তবে আমরা নিশ্চয়ই সেই অনুযায়ী পানি পান করার চেষ্টা করব এতে আমরা খুব সহজেই আমাদের ওজন কমাতে পারবো।

ঘুমিয়ে ওজন কমানোর উপায়

অতিরিক্ত ওজন উঠতে সমস্যা, বসতে সমস্যা,হাঁটতে সমস্যা, ঘুমাতে সমস্যা, ঘুরতে সমস্যা, অতিরিক্ত ওজন মানেই যেন সমস্যার শেষ নেই হ্যাঁ আমরা আমাদের কঠোর মনোভাব এবং অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে আমাদের শরীর ফিট করতে পারি হ্যাঁ অবশ্যই আমার দেশ শারীরিক সক্ষমতার দিকে খেয়াল রাখতে হবে যেন অতিরিক্ত চিকনো আবার না হয়। আমাদের দেশে পারফেক্ট হাইট ওয়েট একটি বড় সমস্যা খুবই কম পাওয়া যায় এমন মানুষ কিন্তু আমরা তো এমনই হতে চাই এখন আমরা জানবো ঘুমিয়ে ওজন কমানোর উপায়।

ঘুম রাতে আসলেই যেন চোখ বুজে আসে। খাবার খেলে যেন চোখ বুজে যায়। কিন্তু ঘুম পেলেই তো ঘুমানো যাবে না খাবার খাওয়ার কমপক্ষে এক থেকে দুই ঘন্টা পরে আমাদের বিছানায় ঘুমাতে যাওয়া উচিত। ঘুমানোর আগে এক গ্লাস দুধ পান করা উচিত যা আমাদের শরীরকে সারারাত ক্যালরি দিয়ে যাবে। আমাদের ওজন কমানোর জন্য দৈনিক নিয়মিত আট ঘন্টা ঘুমাতে হবে । বর্তমান সময়ে দেখা যায় আলোর ব্যবহার অনেকটাই বেড়ে গেছে, একদল বিশেষজ্ঞদের মধ্যে বর্তমানে সময়ে হালকা আলো জ্বালিয়ে অনেকেই ঘুমাতে পছন্দ করে।

বিশেষজ্ঞরা ওজন কমানোর জন্য অন্ধকারে ঘুমাতে বলেছে। আমরা রাতের বেলায় ঘুমানোর আগে গ্রিন টি খেতে পারি গ্রিন টি আমাদের ওজন কমাতে অনেকটাই সহযোগিতা করে থাকে।

ভাত খেয়ে ওজন কমানোর উপায়

উচ্চ কালারি সম্পন্ন খাবার ভাত এটা ছাড়া যেন আমাদের চলে না আফসোস। মাছে ভাতে বাঙালি আমরা মাথা মোটা বাঙালি ভাত যেন আমাদের ওজন বাড়ানোর একটি মেশিন হয়ে দাঁড়িয়েছে তো কি হয়েছে আমরা ভাত খেয়ে ওজন কমাতে পারবো এখন আমরা দেখব ভাত খেয়ে কিভাবে ওজন কমানো যায় বা ভাত খেয়ে ওজন কমানোর উপায়।

আমরা ভাত নেবে মেপে স্বল্প পরিসরে খেতে পারি যা আমাদের শরীর কমাতে সাহায্য করবে। আমরা একেবারে না কমিয়ে ধাপে ধাপে পর্যায়ক্রমে কমাতে পারি ভাত খাওয়ার এই নিয়ম। আমরা ভাত রান্নার সময় ভাতের মার ঝরিয়ে ফেলতে পারি সেক্ষেত্রেও আমাদের ওজন কমাতে সহযোগিতা করবে। ভাজা ভাত , খিচুড়ি , পোলাও বিরিয়ানি , আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে এগুলো পরিহার করতে হবে এগুলো আমাদের ওজন বাড়াতে বিশেষ সহায়তা করে থাকে।

আমরা জানি ৩৪০ কিলো ক্যালরি 100 গ্রাম ভাত থেকে উৎপন্ন করা যায় বা আমরা পাই এতে প্রায় সাত গ্রাম ফ্যাট রয়েছে ৭৮ গ্রাম ফাইবার পাঁচগ্রাম কার্বোহাইড্রেট ও অন্যান্য দ্রব্য অদ্রব্য ফাইবার রয়েছে। স্বাভাবিক সাধারণ মানুষের জন্য ক্যালরির 60 থেকে 70 শতাংশ শর্করা জাতীয় খাবার থেকে আসা উচিত। যেটা আমাদের ভাত পূরণ করে থাকে। আমরা ঢেঁকি ছাটা চাউলের ভাত খেতে পারি এটা ভীষণ পুষ্টিকর এবং আমাদের শরীরকে সুস্থ ও সবল রাখতে সহযোগিতা করবে।

কোন কোন ফল খেলে ওজন কমে

কোন কোন ফল খেলে ওজন কমে আমাদের অনেকেরই অজানা যাইহোক আজকের এই অজানা তথ্য জানার জন্যই আমরা জানব কোন কোন ফল খেলে ওজন কমে। শরীরের পুষ্টির ভারসাম্য রক্ষায় ফল খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ভিটামিন মিনারেল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর পাশাপাশি আরো অনেক গুনাগুন রয়েছে ওজন কমানোর উপায় হিসেবে রোজ আমরা চারবার ফল খেতে পারি চারবার ফল গ্রহণের ফলে অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণের মাত্র কমে যাবে।

নশপাতি বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে নাশপাতি ফল আমাদের দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে ওজন যারা কমাতে চান তাদের নাশপাতি ফল খাওয়া খুবই কার্যকরী। আরো খেতে পারেন জাম্বুরা জাম্বুরা আমাদের শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

গ্রীষ্মের যে ফল খেলে ওজন কমবে

কোন কোন ফল খেলে ওজন কমে গ্রীষ্মের সময়। তরমুজ,বাঙ্গি, আনারস , লিচু , পেঁপে ছাড়াও বেশ কিছু ফল গ্যাসের সময় আমাদের ওজন কমাতে সহায়তা করে থাকে । অতিরিক্ত ওজন আমাদের বিভিন্ন রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ও ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে গ্রীষ্মের এ ফলগুলো আপনার নিয়মিত খাওয়া উচিত। যা আপনার পুষ্টির অভাব পূরণ করবে 

অতিরিক্ত ওজন কমাতে আমাদের অনেক পরিশ্রম করতে হয় কিন্তু গ্রিসের সময় আমরা কিছু নিয়ম মেনে ফল খেলে আমাদের ওজন কমাতে পারে পাশাপাশি আমাদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি ত্বকের মসৃণতা ধরে রাখতে এ ধরনের ফলগুলো বিশেষ ভূমিকা পালন করে। শসা প্রায় বারোমাসি পাওয়া যায় শসা আমাদের দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখতে পারে যা আমাদের খিদে কম পাওয়ায় সহযোগিতা করে শসাতে প্রায়ই 95 শতাংশ পানি রয়েছে ও ক্যালরির পরিমাণ কম থাকায় ওজন কমানোর উপায় হিসেবে কাজ করে আমাদের ত্বককে ভালো রাখে।

ওজন কমানোর খাবার তালিকা

ওজন কমানোর জন্য সঠিক পুষ্টিকর খাবার ব্যবহার করা উচিত। এটি শরীরের প্রোটিন, ফাইবার, মিনারেল গুলি এবং সমৃদ্ধ ভিটামিন গুলি সরবরাহ করবে। নিচে উপযুক্ত ওজন কমানোর খাবার তালিকা দেওয়া হলোঃ

  1. প্রোটিনের খাবারঃ

  • প্রোটিন শেক
  • গরুর দুধ
  • মসুর ডাল
  • মুগ ডাল
   2.ফাইবারের খাবার:

  • সবুজ শাকসবজি
  • ব্রকলি
  • নারকেল
  • আপেল
  • কমলা
  • আঙ্গুর

  3.সকল কার্বোহাইড্রেটের খাতেরঃ

  • সুপ
  • পাস্তা
  • মাখন
  • শসা
  • পালং শাক
  • পেঁয়াজ
  • মুলা
  • লাউ

  4.ভিটামিনের খাবারঃ

  • কমলা
  • আঙ্গুর
  • পাইনাপেল
  • আপেল
  • সবুজ শাক
  • পালং শাক
  • গাজর 
  • বাঁধাকপি

ওজন কমানোর সঠিক খাবার সংগ্রহের পাশাপাশি পর্যাপ্ত পানি পান করা ও নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম এ এস ওয়ার্ড স্টোরি এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪