তেল খাওয়ার নিয়ম - তেল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

  আমরা বেশিরভাগ মানুষ অসচেতন ভাবে চলাফেরা করি তেল খাওয়ার নিয়ম আমাদের অনেকেরই অজানা তেল খাওয়ার উপকারিতা তেল খাওয়ার উপকারিতা কোন কিছুই সম্পর্কে যেন আমাদের সঠিক ধারণা নেই অবশ্যই আমরা সুস্বাস্থ্যের জন্য তেল খাওয়ার নিয়ম মানবো।



পোস্ট সূচিপত্রঃতেল খাওয়ার নিয়ম - তেল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

তেল খাওয়ার নিয়ম

বর্তমান সময়ে সুস্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে আপনাকে তেল খাওয়ার নিয়ম মানতে হবে বর্তমান সময়ে তেলের দাম আকাশচুম্বী হওয়ায় সাধারণ মানুষের জন্য তেল খাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে আপনি নিশ্চয়ই দেখতে পাবেন যারা মাসে ৩ কেজি তেল খেত তারা এখন ২ কেজি খায় কারণ তেলের দাম ডাবল হয়ে গেছে বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে দেখা যায় ডায়াবেটিক্স একটি ফ্যাশন রোগ হয়ে গেছে সকলের মধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে যেটার মূল কারণ আমরা ধরতে পারি অলসতা আধুনিক সময়ে কম পরিশ্রমে অধিক কাজ হওয়ার ফলে মানুষ পরিশ্রমকে ভুলে গেছে বা পরিশ্রমকে ভয় পাই অবশ্যই আমরা তেল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে সচেতন থাকবো

পাঁচ বছর বয়সের কম শিশুদের দৈনিক প্রায় চার চা চামচ তেল খাওয়া উচিত

৬ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে প্রায় ৮ চা চামচ তেল খাওয়া উচিত

প্রাপ্তবয়স্ক ৪০ বছরের বেশি বয়স্কৃতদের প্রায় ৭ চা চামচ তেল খাওয়া উচিত

তাছাড়াও যাদের বিভিন্ন ধরনের রোগ রয়েছে যেমন ডায়াবেটিক্স স্থুলতা হৃদরোগ রক্তচাপের মত সমস্যা তাদেরকে তেল খাওয়ার নিয়ম মানতেই হবে তাদের তেল খাওয়ার নিয়ম সাধারণ মানুষের মতো নয় অবশ্যই তাদেরকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে চিকিৎসকের নিয়ম অনুযায়ী তেল খাওয়ার নিয়ম কে চালিয়ে যেতে হবে সঠিক নিয়মে তেল খাওয়া আমাদের জন্য খুবই জরুরী

তেল খাওয়ার উপকারিতা

আমাদের শরীরে পুষ্টির স্বল্পতা দূর করার জন্য তেল খুবই গুরুত্বপূর্ণ তেলে রয়েছে ক্যালরি।ক্যালরি আমাদের দেহের শক্তি যোগায়। খাবার তেলে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি থাকে। আমরা জানি ১ গ্রাম তেল থেকে শক্তি পাওয়া যায় প্রায় ৯ কিলো ক্যালরি আমাদের দেহের শক্তির একটা বড় অংশ আসে খাওয়ার তেল থেকে। আমরা খাবার তেল থেকে কোলেস্টেরল পেয়ে থাকি। কোলেস্টেরল হৃদরোগ ও রক্তচাপে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমিয়ে দেয় এবং লিভার সচল রাখে।

ফ্যাটি এসিড উদ্ভিজ্জ তেলে প্রচুর পরিমাণে থাকে। ফ্যাটি অ্যাসিড ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সহযোগিতা করে ত্বক ভালো রাখে চর্মরোগ থেকে দূরে রাখে শরীরে বয়সের ছাপ পড়তে দেরি হয়। বলা যায় শাকসবজি ও অন্যান্য মাছ মাংস যেকোনো ধরনের পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার পেতে খাবার তেল ব্যবহার করা উচিত আমরা খাবার তেল থেকে এন্টিঅক্সিডেন্ট পেয়ে থাকি যা আমাদের হার ত্বক দাঁত ও চোখের জন্য খুবই ভালো। তেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন যা আমাদের মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করে যে কারণে নিয়ম মেনে তেল খাওয়া আমাদের জন্য খুবই জরুরী

তেল খাওয়ার অপকারিতা 

একটা সময় ছিল বা বর্তমান সময় পর্যন্তও বলা যায় মাছে ভাতে বাঙালি কিন্তু সময় সাথে সাথে বর্তমানে ভাজাপড়ায় বাঙালি বা তেলে ভাজা বাঙালি আমাদের দৈনন্দিন খাবারের তালিকায় ভাজাপোড়া যেন একটি অপরিহার্য বিষয় পেলে তৈরি ভাজাপোড়া খাদ্য আমাদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এটা থেকে বেশিরভাগ সময় গ্যাস্ট্রিক হয়ে থাকে বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষের গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় ভুগছেন

শহরে বসবাসরত অনেক বাঙালি কাজ কম করে যে কারণে বেশিরভাগ সময় বসে বসে কাটাতে হয়। যে কারণে শরীরটা মোটা হয়ে যায়। ফ্যাট বা মোটা মানুষদের ক্ষেত্রে তেল খাওয়ার নিয়ম মানা খুবই জরুরী বর্তমান সময়ে প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের ক্ষেত্রে প্রায় ৩০ গ্রাম তেল খাওয়া উচিত আর প্রাপ্তবয়স্ক নারীদের ক্ষেত্রে প্রায় ২০ গ্রাম তেল খাওয়া উচিত শিশুদের ক্ষেত্রে এর চেয়ে অনেক কম।

অতিরিক্ত তেল খেলে পর্যায়ক্রমে শরীরের চর্বি জমতে থাকে যার ফলে দ্রুত রক্তচাপ ডায়াবেটিস এবং অতিরিক্ত ওজন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে যেসব কারণে মানুষ মৃত্যুর কোলে ধীরে ধীরে ঢলে পড়ে অবশ্যই আমাদেরকে তেল খাওয়ার নিয়ম মানতে হবে সচেতন ভাবে চলাচল করতে হবে তবেই আমরা স্বাভাবিকভাবে জীবন যাপন করতে পারব।

সরিষার তেল খাওয়ার নিয়ম

ওমেগা থ্রি ওমেগা ফাইভ ফ্যাটি এসিড এবং ভিটামিন ই মানব দেহে প্রয়োজনীয় পুষ্টি মান সরবরাহ করে এবং আমাদের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে যে কারণে অবশ্যই তেল খাবার নিয়ম মানতে হবে। সরিষার তেল আমরা রান্নার সঙ্গে ব্যবহার করতে পারি। আমরা বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন ধরনের শাক সবজি রান্নার কাজে সরিষার তেল ব্যবহার করতে পারি আমি নিরামিষ যে কোন খাবার রান্নার সময় সরিষার তেল পরিমাপ মত দিয়ে রান্না করলে আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

সরিষার তেলের খাওয়ার উপকারিতা

সরিষার তেলের ঝাঝালো উপাদানের কারণে সাইনাস পরিষ্কার করতে সাহায্য করে রসুন দিয়ে সরিষার তেল গরম করে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মালিশ করলে ব্যথা ভালো হয়। নিয়ম মেনে সরিষার তেল ব্যবহার করলে সর্দি কাশি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। শ্বাস-প্রশ্বাস এলার্জি প্রশমিত করতে ব্যবহার করা হয় সরিষার ত... তোমরা নিশ্চয়ই দেখেছো সরিষার তেল দিয়ে ইলিশ ভাজার দৃশ্য আহা কি মজা এমনও হাজার উপাদান তৈরি হয় সরিষার তেলের উপর নির্ভর করে।

সরিষার তেল খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে হাজারো সরিষার তেল হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে হার্ট ভালো রাখে আহারের ক্ষয় রোধ কমাতে সাহায্য করে ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে সরিষার তেলে থাকা ওমেগা থ্রি ওমেগা সিক্স ফ্যাটি এসিড সরিষার তেল লিভারের কার্যকারিতা উন্নত করে। সরিষার তেল খাবারের স্বাদ বাড়াতে সাহায্য করে শরীরের সঞ্চিত বাদামী চর্বির ব্যবহার বাড়ায়।

কালোজিরার তেল খাওয়ার নিয়ম

দৈনিক চায়ের সাথে তিন চা চামচ কালিজিরা তেল খেলে শরীরের ব্যথা দূরীভূত হয়। দৈনিক চায়ের সাথে এক চা চামচ কালিজিরা তেল খেলে সর্দি ভালো হয়। এক চা চামচ মাখন এর সাথে এক চা চামচ কালিজিরার তেল মিশিয়ে সকালে খালি পেটে খেলে অর্শ রোগ ভালো হয়। কালিজিরার তেল খাওয়ার নিয়ম হাজারো রয়ে...

কালোজিরার তেল খাওয়ার উপকারিতা

আমরা অনেক সময় গ্যাস্ট্রিক রোগে ভুগি গ্যাসের সমস্যা দূর করতে সকালে খালি পেটে এক চা চামচ কালিজিরা খাওয়া উচিত। কালিজিরা তেলে রয়েছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হাড়ের ক্ষয় রোধ ত্বককে সুন্দর করার ক্ষমতা। ত্বকের গঠন উন্নতি করার জন্য কালিজিরার তেল খুবই প্রয়োজনী... সন্তান প্রসবের পরে অনেক সময় মায়ের বুকের দুধ পর্যাপ্ত পরিমাণ পাওয়া যায় না। প্রয়োজনীয় দুধ পেতে প্রতিদিন রাতে শোবার সময় ৫ থেকে ১০ গ্রাম কালিজিরা খাওয়া উচিত। ডায়াবেটিস রোগের জন্য কালিজিরার তেল খুবই উপকারী।

দৈনিক এক চা চামচ কালিজিরার তেল ভালোভাবে মাথায় লাগালে এবং এক চা চামচ কালিজিরা তেল পরিমাপমোত মধুর সাথে খেলে মাথাব্যথা নিরাময়ে সাহায্য করে। প্রাচীন কাল থেকে রূপচর্চায় ব্যবহার হয়ে আসছে কালিজিরার তেল। অসামান্য গুণসম্পন্ন কালিজিরা তেল খাওয়া আমাদের জন্য খুবই উপকারি।

সয়াবিন তেল খাওয়ার উপকারিতা

আমরা সয়াবিন তেল খাওয়ার উপকারিতা বলতে দেখতে পাই ত্বক ও চোখ সুস্থ রাখে সেভেন তেল থেকে ভিটামিন ড,এ, ই ও কে পাওয়া যায়। সয়াবিন তেল শরীরের অতিরিক্ত কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। দাঁত ও হাড় শক্ত রাখার ক্ষেত্রে অনেক ভূমিকা পালন করে। আমাদের প্রতিটা খাবারের স্বাদ যুক্ত করার জন্য তেল যেন একটি অতুলনীয় উপাদান। বর্তমান সময়ে তেল ছাড়া চলা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

সয়াবিন তেল খাওয়ার নিয়ম

সয়াবিন তেল সঠিক পরিমাণে খেলে দেহের রোগ প্রতিরোধকারী ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। একজন সাধারন মানুষের জন্য প্রতিদিন গর এভারেজে 20 থেকে 30 মিলিমিটার তেল খাওয়া করা উচত।

সয়াবিন তেল খাওয়ার ক্ষতিকর দিক

অতিরঞ্জিত কোন কিছুই ভালো নয় তেল তো একেবারেই নয় অতিরিক্ত সয়াবিন তেল খেলে আমাদের পাকস্থলীতে গ্যাসের সৃষ্টি করে আর যদি হয় ভেজাল তাহলে তো কোন কথাই নেই পেটে যেন আমাদের যুদ্ধ শুরু হয়ে যায় যাই হোক বাজার থেকে কেনার সময় খেয়াল রাখতে হবে। দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত তেল খেলে আমাদের কিডনি খারাপ হতে পারে আমরা হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারি উচ্চ রক্তচাপদের যেন আমাদের পিছু ছাড়বে না।

তেলে ভাজা পুরো খাবার আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক বেশি ব্যবহার হচ্ছে। রুচি সম্পন্ন ভাজাপোড়া আমাদের সবারই প্রিয়। অতিরিক্ত সয়াবিন তেল দিয়ে তৈরি খাবার খেতে খেতে একসময় লিভার কোলেস্টেরল জমে এটা আমাদের লিভার ক্যান্সারের কারণ হতে পারে যে কারণে পরিমাণের বেশি সয়াবিন তেল না খাওয়াই আমাদের জন্য উচিত।

সূর্যমুখী তেল খাওয়ার উপকারিতা

সূর্যমুখী তেল খেলে শরীরের কর্ম ক্ষমতা বাড়ে ওর শরীরকে দীর্ঘদিন কর্মক্ষম রাখতে সহায়তা করে। টপ কুঁচকে গেলে এবং ত্বকের ক্ষয় রোধ করতে সূর্যমুখী তেল খুবই উপকারী ত্বককে কোমল রাখতে এবং ত্বকের রুক্ষতা প্রতিরোধ করতে সূর্যমুখী তেল বিশেষ ভূমিকা পালন করে। সূর্যমুখী তেল আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং শরীরের চামড়াকে সতেজ রাখে। সূর্যমুখী তেল আমাদের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে। শিশুদের মস্তিষ্কের ক্ষয় প্রতিরোধ করে।

সূর্যমুখী তেলের ব্যবহার

বাংলাদেশে ১৯৭৫ সাল থেকে তেল ফসল হিসেবেই সূচনা হয় সূর্যমুখীর। ব্যাপক চাষ হয় বিভিন্ন দেশে তেল উৎপাদনের জন্য। সাধারণ তেলের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি পুষ্টিমান সম্পন্ন তেল সূর্যমুখী বীজ থেকে পাওয়া যায়।

আমাদের দেহের কর্ম ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে সূর্যমুখী তেল। বিভিন্ন ধরনের দাগ দূর করতে সহায়তা করে সূর্যমুখী তেল। অনেক পুড়ে যাওয়া কালো দাগ পড়া এবং ক্ষতস্থান সারিয়া তুলতে সহায়তা করে সূর্যমুখী তেল।

মাছের তেল খাওয়ার উপকারিতা

মাসের তেল খাওয়ার উপকারিতা ত্বক এবং চুল ভালো রাখে। মাছের তেল বা এর পরিপূরক নিয়মিত গ্রহণে ব্রণের সমস্যা এবং কালো দাগ দূর করে ত্বককে কমল করে। মাছের তেল ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। চোখের দৃষ্টি শক্তি বজায় থাকে। লিভারের চর্বি কমাতে সহায়তা করে।

মাছের তেল খাওয়ার উপকারিতা মানসিক রোগ থেকে সাহায্য পাওয়া যায়। উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে। শিশুদের জন্য মনোযোগ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে বিষন্নতা দূর করতে সহায়তা করে। স্বাস্থ্যকর শক্তিশালী হাড় তৈরিতে সহায়তা করে মাছের তেল। আহাপানি উপসর্গ এলার্জি ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে মাছের তেল।











এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম এ এস ওয়ার্ড স্টোরি এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪