চুল পড়ার কারণ কি - চুল পড়ার সমাধান কি
আমাদের মাথা থেকে প্রতিদিন যেমন চুল ঝরে পড়ে তেমনি প্রতিদিন চুল গজাতে ও থাকে।
চুল পড়ার কারণ কি এবং চুল পড়া সমাধান কি তা জানতে পোষ্টটি অবশ্যই শেষ পর্যন্ত
পড়ুন নিশ্চয় আপনি আপনার সমস্যার সমাধান পাবেন। বর্তমান সময়ে চুল পড়া একটা
স্বাভাবিক বিষয় ভয়ের কিছু নেই। নিয়ম মানলে আপনি আপনার চুলকে আপনার মনের মতোই
রাখতে পারবেন।
পোস্ট সূচিপত্রঃচুল পড়ার কারণ কি - চুল পড়ার সমাধান কি
কত বছর বয়স পর্যন্ত চুল গজায়
চুল গজানো ও বৃদ্ধির ধরন এক এক মানুষের এক এক রকম হয়ে থাকে। এটি মানুষের বেঁচে থাকা পর্যন্ত হতে পারে। সাধারণ মানুষের চুলের বৃদ্ধি যখন শুরু হয় সেটা এলাকা আবহাওয়া এবং পরিবেশের উপর নির্ভর করে ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। শিশুর চুলের ক্ষেত্রে প্রায় প্রথম এক থেকে তিন বছর পর্যন্ত চুল গজাতে শুরু করে। যৌবনে পুরুষদের চুলের বৃদ্ধি অধিকাংশই শেষ হয় ৩০ থেকে ৪০ বছর পর্যন্ত
মহিলাদের জন্য চুলের বৃদ্ধি প্রায় প্রাথমিক এক থেকে তিন বছর পর্যন্ত হতে শুরু করে এবং প্রায় ২৫ থেকে ৫৬ বছর পর্যন্ত চলতে থাকে। যদি আপনি আপনার চুল নিয়ে বেশি চিন্তিত হন তবে অভিজ্ঞ ডাক্তারের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন।
ছেলেদের চুল পড়ার কারণ কি
অনেক সময় দেখা যায় মাত্র অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে চুল পড়ে যায়। আবার অনেক
সময় সাবান বা কোন ধরনের কেমিক্যাল পন্য ব্যবহার করলে, অতিরিক্ত সূর্যালোকের
প্রভাবের ফলে চুল পড়া দেখা যায়। ছেলেদের ক্ষেত্রে মানসিক চাপ চুল পড়ার জন্য
অন্যতম হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক সময় পুষ্টিহীনতা, অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্ন থাকা,
অতিরিক্ত ওজন বা ওজন অনেক সময় হঠাৎ কমে যাওয়া, মিনারেল ও ভিটামিনের অভাব আমাদের
চুল পড়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
প্রতিটা ব্যক্তির চুল পড়ার পেছনে আলাদা আলাদা কারণ থাকতে পারে। যদি ছেলেদের চুল
পড়ার সমস্যার সংক্রান্তে কোন সন্দেহ হয় তবে আপনি চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করতে
পারেন। অনেক সময় চুল টানাটানি ও বিভিন্ন আকার দেওয়ার জন্য চুলের গোড়ায় যে
আঘাত পায় তা থেকে অনেক সময় চুল ঝরে পড়ে
এন্ড্রোজেনেটিক এলোপেসিয়া এটি ছেলেদের চুল পড়ার সবচেয়ে সাধারণ কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি প্রাথমিকভাবে জেনেটিক কারণ এর হরমোনের পরিবর্তন দ্বারা প্রভাবিত হয়ে থাকে। বিশেষ করে চুলের ডিএইচটি এর প্রভাব প্যাটার্ন তাক হওয়ার ফলে সাধারণ মাথায় মুকুটে চুলের রেখা কমে যায় এবং চুল পাতলা হয়ে যায়।
মেয়েদের চুল পড়ার কারণ কি
মানসিক চাপ, নিরাপদ নির্দেশনার অভাব, অনেক সময় হরমোনাল পরিবর্তনের কারনেও মেয়েদের চুল পড়ে থাকে। অপুষ্টি, খাদ্য অরুচি, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না থাকা, ভিটামিন ও মিনারেলের অভাবে ও মেয়েদের চুল পড়ে থাকে, যদিও প্রতিটা ব্যক্তির চুল পড়ার পেছনে কিছু আলাদা আলাদা কারণ থাকে। যদি সাধারণভাবে চুল পড়ার সমস্যার সমাধান না হয় তবে নিকটস্থ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
বাচ্চা হবার পর চুল পড়ার কারন কি
মাতৃগর্ভে শিশু থাকাকালীন সময়ে হরমোনাল পরিবর্তন ঘটতে পারে। এই হরমোনাল পরিবর্তনের ফলে অনেক সময় চুল পড়ার সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। মাতৃগর্ভে সন্তান থাকা কালীন পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাব হলে চুল পড়ার সম্ভাবনা থাকে। এ ধরনের সমস্যা হলে অবশ্যই আপনারা একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের সঙ্গে আলোচনা করবেন
ছেলেদের চুল পড়ার সমাধান কি
চুলের যত্ন নিতে হবে। চুল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। নিয়মিত শ্যাম্পু, কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে জাস্ট ছেলেদের চুলের মাছের সাথে মিলে যাবে। পর্যাপ্ত প্রোটিন, মিনারেল ও ভিটামিনের জন্য পর্যাপ্ত উচ্চ প্রোটিনের খাদ্য গ্রহণ করতে হবে যেমন মাছ, ডিম, দুধ ইত্যাদি গ্রহণ করুন। অতিরিক্ত তাপমাত্রায় ভ্রমণ এড়িয়ে চলুন। ধূমপান এবং গরম বা অতিরিক্ত তাপমাত্রায় দীর্ঘকালীন অবস্থান করবেন না। আপনি যদি অতিরিক্ত চিন্তিত হন তবে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
অল্প বয়সে ছেলেদের চুল পড়ার কারণ কি
অল্প বয়সে চুল পাকা বা অল্প বয়সে চুল পড়ে যাওয়া এটি জেনেটিক বা বংশগতভাবে
বেশিরভাগ সময় হয়ে থাকে। যদি পরিবারের বড়দের চুল পড়ার সমস্যা থেকে থাকে তবে
এটি বংশগত ভাবে আপনার পড়াটাও স্বাভাবিক। অল্প বয়সে ছেলেদের শারীরিক এবং মানসিক
পরিবর্তন ঘটে যা তাদের চুলে প্রভাব পড়ে এই প্রভাবের কারণে অনেক সময় চুল পড়ে
যেতে পারে।
অল্প বয়সে ছেলেদের পরিবর্তন অনেক দ্রুত ঘটে থাকে এটি তাদের চুলের গঠন এবং প্রাকৃতিক পরিবর্তনের কারণে ও চুল পড়ে থাকে। কিছু ব্যক্তি ভুলবশত বা ইচ্ছাকৃতভাবে জর্দা ব্যবহার করে থাকে কিন্তু জর্দা ব্যবহারের ফলেও ছেলেদের চুল পড়ে থাকে চুল নিয়ে যারা বেশি চিন্তিত তারা চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।
কোন ভিটামিন চুল গজাতে সাহায্য করে
ভিটামিন এ চুল বৃদ্ধি করাতে সহায়তা করে থাকে,
- মাছ
- মরিচ
- পালং শাক
- কাঁচা আম
গোলমরিচ ইত্যাদি ভিটামিন এ প্রচুর পরিমাণ থাকে যা আমাদের খুব দ্রুত চুল গজাতে সহায়তা করে থাকে।
ভিটামিন বি চুলের স্বাস্থ্য উন্নতি করে।
- মাছ
- মাংস
- ডাল
- ধনেপাতা
আলু সবজি ইত্যাদি ভিটামিন বি এর ভরপুর উৎস যা আমাদের চুল মজবুত করতে বিশেষ ভূমিকা
পালন করে থাকে।
ভিটামিন সি চুলকে স্বাস্থ্য উজ্জ্বল ও মজবুত করে তোলে
- আম
- কমলা
- লেবু
- আমলকি
ইত্যাদি ভিটামিন সি এর ভরপুর উৎস যা আমাদের চুলের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই
গুরুত্বপূর্ণ
ভিটামিন ডি চুলের স্বাস্থ্য চুল পাল্টানো এবং চুলের উন্নতি নিয়ন্ত্রণ করতে বিশেষ
ভূমিকা পালন করে থাকে
- সূর্যের আলো
- মাছ
- শিং মাছ
- শিম
- মুরগির মাংস ইত্যাদি ভিটামিন বি এর ভরপুর উৎস
এছাড়াও প্রোটিন, আইরন, ভিটামিন ই চুলের বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্য উন্নতির জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে সবচেয়ে ভালো হয় চুলের সমস্যাটি চিহ্নিত করে ডাক্তারের সঙ্গে আলোচনা করা।
কোন ভিটামিনের অভাবে চুল পড়ে যায়
ভিটামিন এ এর অভাবে চুল মজবুত হতে পারে না যে কারণে চুল গজানোর সামান্য সময় পরেই চুল পড়ে যায়।ভিটামিন বি এর অভাবে চুলের স্বাস্থ্য ও চুল গজানোর ক্ষেত্রে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়।
কোন হরমোনের অভাবে চুল পড়ে
থাইরয়েড হরমোনের অভাবে আমাদের চুল পড়ে থাকে। থাইরয়েড হরমোনের অভাব হলে চুল মাঝখান থেকে দুর্বল হয়ে পড়েও পাতলা হয়ে যায় এবং চুল গজানো কমতে থাকে পুরুষদের জন্য, টেস্টোস্টেরন হরমোনের অভাব হলে চুল পড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়ে থাকে এই হরমোনের অভাব হলে চুল দুর্বল ও পরিবর্তনশীল হতে থাকে।
এম এ এস ওয়ার্ড স্টোরি এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url