রাতে ঘুম না আসার কারণ কী - রাতে ঘুম না আসলে করনীয়
সারাদিনের অক্লান্ত পরিশ্রম শেষে রাতের বেলায় সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ঘুম। আমরা
অনেকেই জানিনা রাতে ঘুম না আসার কারণ কি? আমরা এটাও জানি না রাতে ঘুম না আসলে
করনীয় কি ?আবার অনেকেই জানে পৃথিবীর প্রায় প্রতিটা মানুষেরই ঘুমের প্রয়োজন
রয়েছে। চোখ ভরা ঘুম নিয়ে বিছানাতে গেলেই যেন ঘুম হারিয়ে যায় কেন ঘুম আসে না
এবং ঘুম না আসলে করনীয় কি তা সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জানব.......
পোস্ট সূচিপত্রঃরাতে ঘুম না আসার কারণ কী - রাতে ঘুম না আসলে করনীয়
ঘুম না আসার কারণ কী
ঘুম না আসার কারণ কি তা আলোচনা করা হলো ঘুম না আসা সাধারণ সমস্যা হতে পারে ।এর পদার্থগত ও মানসিক দুটি কারণ থাকতে পারে। চিন্ত মানসিক চাপের কারণে স্বাস্থ্যকর ঘুম না আসার সম্ভাবনা বেশি। অস্বাস্থ্যকর খাবার আপনার ঘুম না আসার কারণ হতে পারে মাধ্যমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা সামাজিক প্রতিষ্ঠান কর্মসহ বিভিন্ন প্রেসারের কারণে শান্তি ভঙ্গ হয়ে যায় যে কারণে ঘুম আসতে সমস্যা হতে পারে।
বয়সের সাথে সাথে ঘুম কমে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। রাতে ঘুম আসছে না আপনার বয়সের
উপর নির্ভর করবে কোন কোন বসে আপনি আপনার সময়ে ঘুমাতে পারবেন। বর্তমান সময়ে
যুবকদের মধ্যে দেখা যায়, গান না শুনলে ঘুম আসেনা। অনেক প্রাপ্তবয়স্ক মানুষদের
দেখবেন রাতে খাওয়া-দাওয়ার পরে হাঁটাহাঁটি না করলে ঘুম আসে না। অনেকের অভ্যাস
রয়েছে টিভি সিরিয়াল না দেখলে তার ঘুম আসে না।
এখন বর্তমান সময়ে বিশেষ একটি রোগ রয়েছে ফ্রী ফায়ার, পাবজি আরো বিভিন্ন অনলাইন
গেম দেখে মনে হয় তারা যেন কোন নেশাই অ্যাক্টিভ হয়ে গেছে মাত্রাতিরিক্ত
আধুনিকতার ছোঁয়া তাদের দৈনন্দিন জীবনে নেশার মতো প্রভাব পড়েছে। এগুলো
দীর্ঘমেয়াদি হলে বর্তমান প্রজন্মের জন্য এই আধুনিকতাগুলোই কাল হয়ে দাঁড়াতে
পারে।
এটি বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত কারণসমূহের একটি সারসংক্ষেপ সমস্যাটি দ্রুত সমাধানের জন্য প্রতিদিনের রুটিন সম্পর্কে জানতে হবে এই সমস্যাটা মাত্রাতিরিক্ত হলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্যথা বা যন্ত্রণার কারণেও আপনার ঘুম না আসতে পারে।
রাতে ঘুম না আসলে করনীয়
আপনি যদি চাকরি করে থাকেন বা লেখাপড়ার সঙ্গে যুক্ত থাকেন তবে আপনাকে নিয়মিত
ব্যায়াম করতে হবে। ব্যায়াম করার ফলে আপনাকে রাত্রে একটু গভীর ঘুম উপহার দিবে।
যদি ব্যায়াম করার মতন পরিবেশ পরিস্থিতি না থাকে আপনি বই পড়তে পারেন, ফিল্ম
দেখতে পারেন, প্রথমে আপনি আপনার ঘরটিকে ঘুমানোর উপযুক্ত করে নিবেন আপনি আপনার
ঘরটি উপযুক্ত করার জন্য অবশ্যই খেয়াল রাখবেন ঘরটি যেন অন্ধকার হয়, শান্ত এবং
আরামদায়ক তাপমাত্রার ঘর হলে ভালো হয়। বাইরের কোন আলো আটকাতে পর্দা ব্যবহার করুন
শব্দের ব্যাঘাত কমাতে এয়ার প্লাক বা সাদা নয়েজ মেশিন ব্যবহার করুন।
ঘুমানোর আগে আপনার শরীর ও মনকে বলতে থাকুন আপনার ঘুমের প্রয়োজন আপনি ঘুমাবেন
ধীরে ধীরে সংকেত দেন এর মধ্যে আপনি একটি বই পড়া, হালকা ব্যায়াম করা, বা শান্ত
গান শুনে সময় কাটাতে পারেন। ইলেকট্রনিক ডিভাইস থেকে দূরে থাকুন যেমন স্মার্টফোন,
ট্যাবলেট, এবং কম্পিউটার। ইলেকট্রনিক ডিভাইস থেকে নির্গত নীল আলু আপনার ঘুম না
আসার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে যদি আপনি দীর্ঘ সময় ধরে ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার
করে থাকেন।
ঘুমানোর অন্তত এক ঘন্টা আগে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস গুলো এড়িয়ে চলতে পারেন। আর রাত্রের বেলায় অবশ্যই ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস নাইট মোড চালু করে ব্যবহার করবেন। ঘুমানোর সময় নিকোটিন এবং অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন, কারণে পদার্থ গুলি আপনার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।ঘুমানোর আগে আপনার মনকে শান্ত করতে গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করতে পারেন।
যেসব খাবার খেলে রাতে ঘুম ভালো হয়
আমরা রাত্রে ভালো ঘুমের জন্য কিছু খাবার খেতে পারি যেমন উষ্ণ দুধ উষ্ণ দুধে রয়েছে ট্রিপটোফ্যান যা ঘুমের উন্নতিতে সহযোগিতা করে। এর সাথে রয়েছে দুধের উষ্ণতা এটি প্রশান্তিদায়ক এবং আরামদায়ক অনুভূতি তৈরি করে যা ভালো ঘুমে সহযোগিতা করে। পাশাপাশি কলা খাওয়া যেতে পারে কারণ কলাতে রয়েছে পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম যা প্রাকৃতিক বেশি শিথিল কারি।
আপনি ভালো ঘুমের জন্য বাদাম খেতে পারেন কারণ বাদাম ম্যাগনেসিয়ামের একটি ভালো উৎস
এবং চর্বি সরবরাহ করে থাকে যা ঘুমের ধরন নিয়ন্ত্রণ করতে খুব ভালোভাবে সহযোগিতা
করে থাকে। আপনি আপনার ঘুমের উন্নতির জন্য চেরি বা চেরি জুস খেতে পারেন।
সবার জন্য একরকম খাবারে যে কাজ হবে এমন না বয়স পরিবেশ এবং আবহাওয়া ভেদে ক্রিয়া বা প্রতিক্রিয়া থাকতে পারে যে কারণে আপনার জন্য কোনটি সবচেয়ে ভালো তা নির্বাচন করুন।অবশ্যই ঘুমের আগে ভারী খাবার, মসলার খাবার, এরিয়া চলুন কারণ এগুলো আপনার স্বাভাবিক ঘুমের পথে অস্বাভাবিক বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে যেতে পারে যা হয়তো আপনার জন্য কষ্টদায়ক।
এম এ এস ওয়ার্ড স্টোরি এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url