কাঠ বাদাম খাওয়ার নিয়ম - কাঠ বাদাম এর উপকারিতা ও অপকারিতা
খুবই স্বল্প সময়ের মধ্যে কাঠবাদাম মানুষের মধ্যে সুপরিচিত হয়ে উঠেছে কিন্তু অনেকেই কাঠবাদাম খাওয়ার নিয়ম জানেনা। অনেকের কাঠ বাদাম এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে অজানা। পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখার পর আশা করি আপনি কাঠবাদাম সম্পর্কে সাধারণ ধারণা পেয়ে যাবেন।
পোস্ট সূচিপত্রঃকাঠ বাদাম খাওয়ার নিয়ম - কাঠ বাদাম এর উপকারিতা ও অপকারিতা
কাঠ বাদাম এর উপকারিতা
কাঠবাদাম সুস্বাদু এবং পুষ্টি গুণে ভরপুর একটি খাবার। কাঠবাদাম ইংরেজি ভাষায়
অ্যালমন্ড নামে পরিচিত। কাঠবাদামে প্রয়োজনের সময়ে এসে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল
ক্ষমতা সহযোগিতা করে থাকে যার হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্য উন্নত করতে বিশেষ ভূমিকা পালন
করে থাকে। কাঠ বাদামে রয়েছে প্রোটিন এবং ফাইবার যে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে
বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
কাঠবাদাম ভিটামিন ই, অ্যামিনো অ্যাসিড, এবং মিনারেলস যেমন ম্যাগনেসিয়াম, জিংক ও প্রোটিনের ভালো উৎস। কাঠবাদামে রয়েছে ভিটামিন এ যা চোখের স্বাস্থ্য বৃদ্ধি এবং চোখকে স্বাস্থ্যজ্জ্বল করতে সহযোগিতা করে থাকে। কাঠ বাদামে একটি মাত্রি গ্লিসেরিন আছে যা মস্তিষ্কের জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
কাঠ বাদাম খাওয়ার নিয়ম
কাঠবাদাম একটি উচ্চ ক্যালরি যুক্ত খাবার যে কারণে এটি মাত্রাতিরিক্ত হওয়া উচিত
নয়। বেশি মাত্রা খাওয়ার মাধ্যমে ওজন বাড়াতে সমস্যা হতে পারে। সাধারণভাবে আপনি
প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ টি কাঠ বাদাম খেতে পারেন। সর্বোচ্চ উপকারিতা পেতে সব সময়
চেষ্টা করুন তাজা এবং স্বাস্থ্যজ্জ্বল কাঠবাদাম গুলো বেঁচে খেতে। চাপা খাওয়া বা
কোকড়ানো কাঠবাদাম খাওয়া মোটেও উচিত হবে না।
কাঠবাদাম সকালের হালকা খাবার হিসেবে খাওয়া সবচেয়ে ভালো হয়। প্রতিদিন সকালে আপনার এক মুঠো কাঠ বাদাম আপনার স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী হতে পারে। কাঠবাদামের প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই থাকে যে কারনে চোখের স্বাস্থ্য এবং শরীরের চর্বি মজবুত রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। যেহেতু কাঠবাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই সেহেতু আপনি ভিটামিন ই যুক্ত খাবারের সঙ্গে খেতে পারেন।
কাঠ বাদামের পুষ্টিগুণ
কাঠ বাদামে রয়েছে প্রোটিন, ভিটামিন, ফাইবার, এন্টিঅক্সিডেন্ট ছাড়াও বেশ কিছু পুষ্টিগুণ। কাঠবাদাম প্রোটিনের একটি ভালো উৎস। মাংস, চু্ল, নখ,ত্বক এবং শারীরিক সুস্থতার জন্য প্রোটিন বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে, কাঠ বাদামে থাকা ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, সেলেনিয়াম উপস্থিত থাকে যে কারণে শরীরের নিরাপত্তা, অস্থি এবং দাঁতের স্বাস্থ্য সুরক্ষা করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
কাঠ বাদাম এর অপকারিতা
যাদের পেটের সমস্যা রয়েছে কাঠ বাদাম খাওয়ার পর তাদের পচনতন্ত্রের সমস্যা দেখা দিতে পারে। কাঠবাদাম খাওয়ার পর পেটের সমস্যা হিসেবে পেট ব্যথা, গ্যাস দেখা দিতে পারে। কাঠবাদাম খাওয়ার ফলে অনেকের এলার্জি দেখা দিতে পারে। শরীরে এলার্জি দেখা দিলে ত্বক, চোখ এবং শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা দেখা দিতে পারে। কাঠ বাদাম যেহেতু হালকা পছন্দ যজ্ঞ পদার্থ নয় এবং তার বেশ ক্যালোরি রয়েছে যে কারণে খাওয়ার পর ওজন বৃদ্ধির ঝুঁকি রয়েছে যে কারণে যারা ওজন বাড়াতে চান না তারা কাঠ বাদাম থেকে দূরে থাকুন।
কাঠ বাদাম কখন খাওয়া উচিত
কাঠবাদাম খাওয়ার নির্দিষ্ট কোন সময় নেই তবে আপনি সকালের নাস্তা হিসেবে এক মুঠো কাঠবাদাম খেতে পারেন অথবা দুপুরের খাবার শেষে এক মুঠো খেতে পারেন আবার আপনি রাত্রেও খেতে পারেন তবে আপনার সময় সুযোগ ও পরিবেশ পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে কাঠ বাদাম খাওয়া উচিত হবে কারণ এটি উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার যা আপনি হুটহাট করে যেকোনো সময় খেলে আপনার পেটে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
প্রতিদিন কয়টা কাঠবাদাম খাওয়া উচিত
প্রতিদিন কাঠ বাদাম খাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কোনো পরিমাপ নেই তবে আপনি আপনার সীমার মধ্যে খেতে পারেন যেমন একমত বা ১২ থেকে ২০ টা আপনার হজমশক্তির উপর নির্ভর করবে আপনি কতগুলো কাঠবাদাম খাবেন বা আপনার খাওয়া উচিত হবে।
কাঠ বাদাম ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
কাঠবাদাম ভিজিয়ে রাখলে সহজে পরিষ্কার হয়ে যায় এবং শক্তি বৃদ্ধি পায়। ভিজিয়ে
রাখার কারণে খাদ্যের পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টি শরীর বহন করতে পারে। কাঠবাদাম
ভিজিয়ে খেলে শরীরের ক্ষতিকারক মৌলিক রেডিক্যাল নির্মাণ দমন করে এবং রোগ
প্রতিরোধশীলতা বৃদ্ধি করে কার বাদাম ভিজিয়ে খেলে আপনি সাধারণত প্রতিদিন চার থেকে
পাঁচটি খেতে পারেন যা আপনার শারীরিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখবে এবং
কাঠবাদামের পুরোপুরি পুষ্টি আপনার শরীরে কাজে আসবে আশা করা যায়।
এম এ এস ওয়ার্ড স্টোরি এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url