মানসিক অবসাদ কি - মানসিক অবসাদ থেকে মুক্তির উপায়
মানসিক অবসাদ এর কারণে ছোটখাটো দুর্ঘটনা থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। মানসিক অবসাদ কি এবং মানসিক অবসাদ থেকে মুক্তির উপায় অনেকেরই অজানা তো আজকে আমরা এই পোস্টে মানসিক অবসাদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।
পোস্ট সূচীপত্রঃমানসিক অবসাদ কি - মানসিক অবসাদ থেকে মুক্তির উপায়
মানসিক অবসাদ কি
এটি একটি মানসিক স্বাস্থ্য রোগ ধরা যেতে পারে কারণ এটি ব্যক্তির সাধারণ চিন্তা-ভাবনা ও দৈনন্দিন কার্যক্রমের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে থাকে। মানসিক অবসাদ এর কারণে ছোটখাটো দুর্ঘটনা থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া মানসিক অবসাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ যা দ্বারা ব্যক্তির ছোট থেকে বড় পর্যন্ত ক্ষতি হয়ে থাকে। ব্যক্তি সাধারণ চলাফেরা ধীরগতির করে দেয়। ব্যক্তিকে বেশিরভাগ সময় চাঞ্চল্যকর এবং অস্থির দেখায় যা মানসিক রোগ হিসেবে বা মানসিক অবসাদ হিসেবে পরিচিত।
মানসিক অবসাদ থেকে মুক্তির উপায়
মানসিক অবসাদ থেকে মুক্তির উপায় ও স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করতে নিয়মিত পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম করা, সময় মতো ঘুমিয়ে পড়া এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান সময়ে বয়ঃসন্ধিকালে শিশুরা মানসিক অবসাদে বেশি ভোগে থাকেন। যে কারণে মানসিক অবসাদ থেকে মুক্তির জন্য সামাজিক সমর্থন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেমন আঞ্চলিকভাবে খেলাধুলার ব্যবস্থা করা।
মানসিক অবসাদ থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে আপনি বেছে নিতে পারেন বন্ধুদের সঙ্গে
সময় কাটানোর মাধ্যমে বন্ধুর সঙ্গে আনন্দ ময় পরিবেশ তৈরি করে আনন্দ উৎসবে মেতে
থেকে কারণ আপনি বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানোর সময় আপনার বিষন্নতা কেটে যেতে পারে
যা আপনার মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারে।
আপনি যে ধরনের কর্মজীবী হয়ে থাকেন না কেন সেটাকে আনন্দের সাথে করা এবং ভালোবাসার
সাথে করা আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনি লেখাপড়া করে থাকেন তবে
মাঝেমধ্যে সফরে যাওয়া আশেপাশের এলাকা গুলো ঘুরে দেখা আপনার মানসিক প্রশান্তির
জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকবে। আপনার মানসিক অস্থিরতাকে কাটিয়ে
তুলতে আপনি খেলাধুলা করতে পারেন।
আপনার মানসিক অবসরের মাত্রা বেড়ে গেলে আপনি মনোবিজ্ঞান বিশেষজ্ঞ দের কাছে চিকিৎসা নিতে পারেন। আপনার জন্য চিকিৎসকেরা পরামর্শ স্বরূপ মেডিটেশন বা কিছু কৌশল আপনাকে শিখিয়ে দিতে পারে যা মানসিক অবসর থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে কাজ করতে পারে।
যেসব খাবারে অবসাদ দূর হয়
যেহেতু আপনি অবসাদে ভুগছেন সেও তো আপনি নিয়মিত পরিমাপ মতো ফলমূল খেতে পারেন।
আপনার ফর্মুলার তালিকায় নারকেল, কলা রাখতে পারেন মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য
আপনার শাকসবজি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকবে। শাক সবজির মধ্যে সবচেয়ে
গুরুত্বপূর্ণ হল পালং শাক যা আপনার মানসিক ভারসাম্য সঠিক রাখতে সহায়তা করে
থাকে।
দিনে আপনার যথেষ্ট পরিমাণ পানি পান করা উচিত সামান্য পানির অভাবে এই সময়ে আপনার মাত্রাতিরিক্ত অবসাদ দেখা দিতে পারে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যেতে পারে যা আপনার জন্য মোটেও ভালো হবে না। সাথে আপনি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার রাখতে পারেন যেমন মাছ, মুরগির মাংস, ডাল, দুধ, সয়াবিন এবং পনির আপনার মানসিক অবস্থা স্বাভাবিক রাখতে কাজ করবে।
অবসাদ দূর করার জন্য কি প্রয়োজন
মানসিক অবসাদ দূর করার জন্য আপনি মেডিটেশন করতে পারেন মেডিটেশন আপনার মানসিক
ভারসাম্য ঠিক রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকবে। আপনি নিয়মিত ব্যায়াম করতে
পারেন। এবং ব্যায়ামের পরে পরিমাপমতো খাবার খেতে হবে যা আপনার ঘুমের জন্য বিশেষ
ভূমিকা পালন করে থাকে। আপনি যদি নিয়মিত ব্যায়াম করেন এবং পরিশ্রমের সঙ্গে যুক্ত
থাকেন তবে ধীরে ধীরে আপনার মানসিক অবসাদ দূর হয়ে যাবে।
আপনি আপনার কাজের পেছনে অতিরিক্ত সময় ব্যয় না করে। একা একা বেশিক্ষণ বসে না
থেকে এদিক-ওদিক বা পার্কে ঘুরতে পারেন। সামান্য সময়ের জন্য প্রকৃতির মাঝে
হারিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন এবং প্রকৃতির মাঝে নিজের সঙ্গে কিছু সময় কাটান যা
আপনার মানসিক অবসাদ থেকে মুক্তির উপায় হতে পারে।
মানসিক অবসাদের লক্ষণ
মানসিক অবসাদের লক্ষণ গুলোর মধ্যে রয়েছেঃ দুঃখ, শূন্যতা বা নিরাশা প্রায় সময় এমন অনুভূতি মানসিক অবসাদের লক্ষণ। একবার দেখা জিনিস দ্বিতীয়বার দেখার আগ্রহ হারিয়ে ফেলা। মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া। ওজনে কম বেশি করা এবং ক্ষুধার পরিবর্তন মানসিক অবসাদের লক্ষণ। ঘুমের সমস্যা হওয়া হঠাৎ ঘুম ভেঙে যাওয়া বা মাত্রাতিরিক্ত ঘুমানো মানসিক অবসাদের লক্ষণ। মূল্যহীনতা এবং নিজেকে অনেক বড় অপরাধী মনে করা, অস্থিরতা বা বিরক্ত এগুলোও মানসিক অবসাদের লক্ষণ। মাথাব্যথা, হজমে সমস্যা বা বারবার আত্মহত্যার কথা ভাবা বা আত্মহত্যার চেষ্টা করা মানসিক রোগের লক্ষণ।
দ্রুত অবসাদ আসার কারণ কি
ব্যক্তিজীবনে স্বাধীনতা কম থাকা দ্রুত অবসাদ আসার জন্য একটি অন্যতম কারণ কিন্তু এর
বাইরে অনেক কারণ রয়েছে যেমন পরিবারের সমস্যা, সম্পর্কে একটি সমস্যা, পুরুষদের
জন্য অনুপ্রাণিত হরমোনাল স্থিতিতে পরিবর্তন মানসিক স্বাস্থ্য কে প্রভাবিত করতে
পারে। কিছু মানুষের জন্ম থেকে অবসাদ এর মাধ্যমে মানসিক সমস্যা দেখা যায়। এটি
প্রাথমিক জীবনে ব্যবহারিক অবস্থার কারণেও হতে পারে। আপনি যদি আপনার মানসিক অবস্থা
নিয়ন্ত্রণের বাইরে দেখতে পান তবে আপনি দ্রুত মনোবিজ্ঞান বিশেষজ্ঞ ওর শরণাপন্ন হন
চিকিৎসা নিন। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
এম এ এস ওয়ার্ড স্টোরি এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url