সিগারেট মানুষ কেন খায় - সিগারেট খাওয়া ছাড়ার উপায়

সিগারেট খাওয়ার কারণ গুলি ব্যক্তির পরিবর্তিত চেষ্টা, সামাজিক পরিবেশ ও মানসিক অবস্থার সাথে সম্পর্কিত। যারা সিগারেট খায় তারা নিজেই জানে না যে তারা কেন সিগারেট খাই। সিগারেট মানুষ কেন খায় এবং সিগারেট খাওয়া ছাড়ার উপায় সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত জানবো।



পোস্ট সূচিপত্রঃসিগারেট মানুষ কেন খায় - সিগারেট খাওয়া ছাড়ার উপায়

সিগারেট মানুষ কেন খায়

সিগারেটের ভিতরে নিকোটিন নামের একটি পদার্থ থাকে। এই নিকোটিনের অভ্যাস মূলত পরিবেশের ভারসাম্যহীনতা, কৌতুহল বসত বা সঙ্গ দোষে হয়ে থাকে। কিছু মানুষ তোর কঠিন সময় পার করার জন্য এবং চ্যালেঞ্জ সম্মুখীন পরিস্থিতিতে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সিগারেট খায় বলে অনেক গবেষণায় দেখা গেছে। কঠিন পরিস্থিতিতে সিগারেট খেলে মানুষ একটি শান্তি ও আনন্দ অনুভব করে এবং চেষ্টা করে থাকে চিন্তা মুক্ত থাকার। অস্থিরতার কণ্ঠস্বর কমানো এবং রাগ নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে সিগারেট মানুষ খেয়ে থাকে।

সিগারেট খাওয়ার উপকারিতা

সিগারেট খাওয়ার উপকারিতা নেই বললেই চলে। সিগারেট খাওয়ার মাধ্যমে আমরা শারীরিক এবং মানসিক ক্ষতি সাধন ছাড়া আর কোন কিছুই পারি না।

সিগারেট খাওয়ার অপকারিতা

সিগারেট খাওয়ার ফলে বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায় মানুষের মাথা, গলা এবং অন্যান্য অংশগুলিতে ক্যান্সার সৃষ্টি হতে পারে। এটি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বেশ হতে পারে এবং বিচার শক্তি ও সামাজিক পরিবেশ থেকে ধূমপায়ীরা দূরে সরে যায়। সিগারেট খাওয়ার কারণে হৃদপিন্ডের রোগ হয়ে থাকে। সিগারেটের নিকোটিন ও অন্যান্য পদার্থ গুলি হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটাই বাড়িয়ে দেয় যেমন হৃদরোগ, কারনিয়ারি হৃদরোগ।

সিগারেট খাওয়ার ফলে শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা হয়। সিগারেট খাওয়ার কারণে পাচনার সমস্যা সৃষ্টি হয়। এগুলো শুধুমাত্র কিছু উদাহরণ, সিগারেট খাওয়ার ফলে নিকোটিন ও অন্যান্য ক্ষতিকর পদার্থ গুলি আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ গুলির ক্ষতি সাধন করে। তাই সুস্থ থাকার জন্য এবং সুস্বাস্থ্যের জন্য সিগারেট খাওয়া থেকে দূরে থাকা উচিত হবে।

সিগারেট খাওয়া ছাড়ার উপায়

সিগারেট খাওয়া ছাড়ার উপায় আপনার পরিবার, আপনার প্রতিবেশী, বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়-স্বজনের সমর্থন উৎসাহ এবং সহযোগিতা সিগারেট ছাড়তে সহায়তা করবে। সিগারেট ছাড়ার জন্য যদি আপনার কর্মসংস্থান বা কর্মক্ষেত্র পরিবর্তন করতে হয় তবে আপনি ট্রাই করতে পারেন। আপনি ধূমপানযুক্ত এলাকা থেকে দূরে থাকলে সিগারেট খাওয়া ছাড়ার দিকে এগিয়ে যাবেন। সিগারেট খাওয়া ছাড়ার জন্য আপনার প্রবল ইচ্ছা শক্তির প্রয়োজন হবে । সিগারেট ছাড়তে প্রবল ইচ্ছা শক্তি বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। যে কারণে আপনার সঙ্গে আপনার বোঝাপড়াটা খুবই জরুরী।

সবচেয়ে মূল্যবান জীবন স্বাস্থ্যকর জীবন। ধীরে ধীরে সিগারেট ছাড়ার আগে শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্য সুদৃঢ় করার জন্য স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিযুক্ত খাবার খান। পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম নিয়ে নিন। সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দিতে কিছুটা সময় লাগতে পারে এবং কিছুটা কষ্টকর হতে পারে। ধৈর্য ধারণ করতে হবে এবং মানসিকভাবে অনুপ্রাণিত পরিবেশে চলাচল করতে হবে। মেডিটেশন, ব্যায়াম, বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে সময় কাটানো এবং পরিবারের সঙ্গে সময় দেওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম এ এস ওয়ার্ড স্টোরি এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪