ডেঙ্গুর লক্ষণ কি কি - ডেঙ্গু থেকে বাঁচার উপায়
ডেঙ্গু নামটা শুনতে যেন কেমন পঙ্গুত্বের কথা মনে পড়ে যায় ঠিক পঙ্গু না হলেও সাময়িক সময়ের জন্য পঙ্গুত্বের অনুভূতিটা চলে আসে এর নাম ডেঙ্গু হার কাঁপানো জ্বর, অসহ্য মাথা ব্যথা, মাংসপেশিতে ব্যথা, মনে অশান্তির ছাপ নিয়ে কষ্টময় জীবন যাপন যাপন এর নাম ডেঙ্গু ডেঙ্গুর লক্ষণ কি কি? ও ডেঙ্গু থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।
পোস্ট সূচীপত্রঃডেঙ্গুর লক্ষণ কি কি - ডেঙ্গু থেকে বাঁচার উপায়
ডেঙ্গুর লক্ষণ কি কি
বর্তমান বাংলাদেশের ডেঙ্গু একটি আতঙ্কের নাম কারণ হসপিটালে গেলে দেখা যায় হাজার
হাজার রোগী ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। ডেঙ্গুর লক্ষণ
কি কি তা জেনে নেওয়া যাক
ডেঙ্গুর লক্ষণ বলতে গেলে প্রথমেই আসবে হার কাপানো সে জ্বরের নাম। ডেঙ্গু হলে ১০০
থেকে ১০৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা পর্যন্ত আপনার শরীরে জ্বর উঠতে পারে। ডেঙ্গু
রোগ বেশিরভাগ সময় অল্পবয়স্কদের হয়ে থাকে। জ্বর ডেঙ্গু রোগের একটু সাধারণ লক্ষণ
মাত্র। বাচ্চাদের জ্বর দেখে ডেঙ্গু নির্বাচন করা বা সনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়ে।
ডেঙ্গু রোগ হলে আপনার জ্বর ধীরে ধীরে উঠবে এবং বার বার আসবে।
আপনি ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হলে আপনার মাংসপেশী এবং জয়েন্ট গুলোতে ব্যথা অনুভূত
হবে এবং আপনার মাথা ব্যথা ও চোখ কিছুটা লাল বর্ণের হয়ে যাবে। আপনি ডেঙ্গুতে
আক্রান্ত হলে থেমে থেমে বেশ কয়েকবার বমি করার সম্ভাবনা রয়েছে এবং আপনার ঘন ঘন
প্রসাব হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সবসময়ই যে ডেঙ্গুর রোগ বা ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ
বোঝা যাবে এমনটা নয় তবে আপনার শরীর খারাপ হলে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া
উচিত হবে।
ডেঙ্গু থেকে বাঁচার উপায়
পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ডেঙ্গু রোগ থেকে বাঁচার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে
থাকে কারণ ডেঙ্গু মশার মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকে আপনার বসবাস বা বসতির আশেপাশে ঝোপ
যার ছোটখাটো গর্ত এবং অবহেলিতভাবে খোলামেলা জায়গায় ঘুমানো আপনার ডেঙ্গু রোগের
ক্ষেত্রে বা ডেঙ্গু রোগ হওয়ার ক্ষেত্রে স্বাভাবিক বিষয় যে কারণে ঘুমানোর সময়
বা ঘুমানোর আগে অবশ্যই আপনাকে মশারি বিছিয়ে ঘুমাতে হবে যাতে আপনি মশার আক্রমণ
থেকে বাঁচতে পারেন।
আপনি ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে পুষ্টিকর খাবার এবং স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন গ্রহণ করতে
হবে যেমন সময় মত খাওয়া দাওয়া করা এবং সময়মতো ঘুমানো আপনার স্বাস্থ্যকর জীবন
যাপনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ অবশ্যই আপনার খাদ্যে ভিটামিন ও প্রোটিন পর্যাপ্ত
পরিমাণ থাকতে হবে এবং রোগ প্রতিরোধ করে এমন খাবার নিয়মিত খেতে হবে।
ডেঙ্গু রোগ থেকে নিজেকে পরিবারকে এবং পরিবেশকে বাঁচানোর জন্য করোনার মত আত্ম সচেতনতা প্রকাশ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সচেতনতামূলক এবং পরিবেশবান্ধব সমাজ গড়তে বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম বা প্রশিক্ষণ এর ব্যবস্থা করা উচিত যাতে সবাই সচেতন ও সুস্থ থাকতে পারে। নিয়মিত ব্যায়াম আপনাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ও শারীরিক প্রতিরোধশীলতা ও মানসিক প্রতিরোধশীলতা বৃদ্ধি পাবে এটা সুস্থ জীবন যাপনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এম এ এস ওয়ার্ড স্টোরি এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url