ব্লাড ক্যান্সার কি - ব্লাড ক্যান্সার এর লক্ষণ ও ব্লাড ক্যান্সার থেকে বাঁচার উপায়

 মৃত্যু ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে ওঠার আরেক নাম ব্লাড ক্যান্সার কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা ব্লাড ক্যান্সার কি ব্লাড ক্যান্সার এর লক্ষণ ব্লাড ক্যান্সার থেকে বাঁচার উপায়। কিন্তু অনেকেই না জেনে ব্লাড ক্যান্সারের নাম শুনেই আতঙ্কিত হয়ে ওঠে যা জন্য মানসিকভাবে বিশেষ ক্ষতি সাধন করে। এবং ব্লাড ক্যান্সার এর নাম শুনে অনেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে তাই সাবধান কারণ ব্লাড ক্যান্সারের চিকিৎসা বর্তমান আধুনিক সময়ে সম্ভব হচ্ছে।



পোস্ট সূচিপত্রঃব্লাড ক্যান্সার কি - ব্লাড ক্যান্সার এর লক্ষণ ও ব্লাড ক্যান্সার থেকে বাঁচার উপায়

ব্লাড ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে

ব্লাড ক্যান্সার হলে কত দিন বাঁচে এ প্রশ্নের উত্তরে অবশ্যই নির্বাচন করতে হবে যে আপনার ব্লাড ক্যান্সার টি কোন স্তরে রয়েছে এটি যদি প্রাথমিক স্তরে থাকে তবে আপনার বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি এটা যদি মধ্যম পর্যায়ে থাকে এবং আপনি যদি পর্যাপ্ত এবং সঠিক স্থানে চিকিৎসা না করাতে পারেন মোটামুটি ভাবে চার থেকে ছয় মাস বেঁচে থাকার সম্ভাবনা থাকে এরপরেও মৃত্যুর কোন নির্ধারিত সময় নেই যে কোন সময় মারা যেতে পারে কিন্তু গবেষণার ক্ষেত্রে দেখা যায় যে ব্লাড ক্যান্সার লাস্ট স্টেজ বা চূড়ান্ত পর্যায়ে থাকলে এক থেকে তিন মাস রোগীর বাঁচার সম্ভাবনা থাকে যে কারণে বলা যায় যে নির্দিষ্ট কোন সময় বলা যায় না যে ব্লাড ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে। জন্ম মৃত্যু সৃষ্টিকর্তার হাতে যে কারনে ব্লাড ক্যান্সার হলেও রোগী কত দিন বাঁচবে তা সঠিক বলা সম্ভব নয়।

ব্লাড ক্যান্সার কি

মৃত্যু ভয় এর আরেক নাম ব্লাড ক্যান্সার। ব্লাড ক্যান্সার কোন সাধারণ শব্দ নয় মানুষের মনে ভয় সৃষ্টিকারী অসাধারণ শব্দ। ক্যান্সার শব্দটি কয়েকটি বিভিন্ন প্রকার ক্যান্সারের ওপর সূচনা করে ব্যবহার করা হয়। সাধারণভাবে ব্লাড ক্যান্সার প্রাকৃতিকভাবে লিউকেমিয়া নামে পরিচিত যা হলো প্রতিষাম্যকারী কোষের একটি বিকাশ শিল মহামারী। লিউকোমিয়া ব্লাডে বিকাশ হতে পারে সাধারণভাবে এই কোষের মহামারী ক্রমাগত বৃদ্ধি হতে পারে। এই কোষ সাধারন ভাবে প্রকাশ পাবে না এবং প্রসারিত কোষ শক্তি অক্ষম করতে পারে যা ক্যান্সার রোগের স্বাস্থ্যকে ব্যাপকভাবে মৃত্যুর দিকে ঝুঁকে দেয়। ব্লাড ক্যান্সার বলতে রক্তে থাকা যেকোনো উপাদান থেকে সৃষ্ট ক্যান্সারকে বোঝায়।

ব্লাড ক্যান্সার এর লক্ষণ

মৃত্যু ভয়ে ভীতস্ত করা রোগ ক্যান্সার বা ব্লাড ক্যান্সার। ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ প্রথমের দিকে সামান্য হতে পারে তবে সময়ের সাথে সাথে তা দ্রুত বৃদ্ধি পাবে ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ হিসেবে প্রথমের দিকে দেখা যায় রক্ত স্রাব বা ব্লিডিং হতে শুরু করে। প্রসাবের সময় বাইরে বা ভেতরে ব্যথা অনুভূত হবে, ব্যক্তির প্রায় সময় বুকের ব্যথা, জ্বর, অতিরিক্ত পেটের ব্যথা এবং শারীরিক দুর্বলতা দেখা দিবে। আপনার শরীর থেকে রক্তক্ষরণ দেখা দিবে। এই রোগের লক্ষণ গুলো সাধারণ রোগের মত হওয়ায় নির্বাচন করা খুবই কঠিন যে এটা ব্লাড ক্যান্সার কিনা যে কারণে এ ধরনের সিনড্রোম বা উপশম দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেন।

ব্লাড ক্যান্সার কেন হয়

ব্লাড ক্যান্সারের কারণ কেউ এখনো নিশ্চিতভাবে বলতে পারেনি কিন্তু কিছু প্রাথমিক বিষয়বস্তু রয়েছে যা ক্যান্সারের বিকাশে সহায়তা করে থাকে যেমন বার্ধক্য বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে ব্লাড ক্যান্সার ঝুঁকি অনেকটাই বেশি। বয়স্কদের মধ্যে ক্যান্সার এবং অন্যান্য রোগ প্রাকৃতিকভাবে আক্রমণ বেশি করে বা করতে পারে। কারণ তাদের বয়স বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই কমে যায় যে কারণে তারা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত বেশি হয়। তাছাড়াও জেনেটিক কারণেও হতে পারে জেনেটিক কারণ বলতে গেলে পরিবারের পূর্ব পুরুষদের ক্যান্সারের সিনড্রোম থাকা বা ক্যান্সারে আক্রান্ত থাকা পরিবারগুলোতে ক্যান্সার বেশি দেখা যায়।

ব্লাড ক্যান্সার কেন হয় এ কথা বলতে গেলেই নিকোটিন ও মাদক জাত দ্রব্যের কথা না বললেই নয় বর্তমান পৃথিবীতে গবেষণা করে দেখা গেছে বেশিরভাগ মানুষ মাদক সেবনের কারণে ব্লাড ক্যান্সারের মতো ভয়ানক রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। রক্তে নিকোটিনের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার ফলে ব্লাড ক্যান্সারের সম্ভাবনা অনেকাংশেই বৃদ্ধি পায় ব্লাড ক্যান্সার হওয়ার আরো অনেক কারণ আছে যেমন অসচেতন ভাবে জীবন যাপন করা নিজের যত্ন না নেওয়া অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্ন জায়গায় নিয়মিত বসবাস করা ধুলাবালি যুক্ত বিষাক্ত বাতাস অক্সিজেনের মাধ্যমে রক্ত প্রবেশ করা ইত্যাদি ইত্যাদি তবে অবশ্যই আপনাদের সচেতন থাকতে হবে। যেহেতু ক্যান্সার মরণব্যাধি রোগ তাই সকলে সচেতনভাবে চলাফেরা করি।

ব্লাড ক্যান্সার থেকে বাঁচার উপায়

ব্লাড ক্যান্সার থেকে বাঁচার উপায় হিসেবে আমরা নিয়মিত ব্যায়াম পুষ্টিকর খাদ্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ওপর অনেকটাই গুরুত্ব দিয়ে থাকি নিশ্চয়ই আপনিও দেবেন। লুকে মিয়া বা ব্লাড ক্যান্সার থেকে বাঁচতে যেসব চিকিৎসা গুলো আমরা গ্রহণ করে থাকি তাহলে রেডিওথেরাপি,স্টেম সেল ট্রান্স প্লান্টেশন একই সাথে কাজ করে বলতে পারেন এগুলো নিয়ে আপনি ডাক্তারের সঙ্গে সময় নিয়ে আলোচনা করুন যা আপনার জীবনকে ঝুঁকিমুক্ত করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকবে। নিয়মিত চিকিৎসা করান এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা গুলো নিয়মিত মেনে ওষুধ সেবন করুন ক্যান্সার স্বাভাবিক পর্যায়ে থাকলে বা প্রাথমিক পর্যায়ে থাকলে স্বাভাবিক বা সাধারণ চিকিৎসা থেকে আপনি সুস্থ হয়ে যেতে পারেন।

ব্লাড ক্যান্সারের চিকিৎসা নিতে হলে অবশ্যই আপনাকে এটা ফার্স্টে নির্বাচন করতে হবে যে আপনি ক্যান্সারের কোন স্টেজ বা স্তরে আছেন প্রাথমিক স্তর বা পর্যায়ে থাকলে আপনার চিকিৎসা এবং চিকিৎসার ফল খুব দ্রুত পেয়ে যাবেন তবে পজিটিভ পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। পজিটিভ মেন্টালিটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াবে আপনি ব্লাড ক্যান্সার বা ক্যান্সার বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে ভালো মানের চিকিৎসা পাওয়ার চেষ্টা করুন যা আপনার সুস্থতা নিশ্চিত করতে অনেকটাই সহযোগিতা করে থাকবে। ধূমপান বা মাদক সেবনের অভ্যাস থাকলে তা অবশ্যই ছেড়ে দিতে হবে।

ব্লাড ক্যান্সার কি ছোঁয়াচে রোগ

প্রাথমিকভাবে ব্লাড ক্যান্সারকে একটি ছোঁয়াচে রোগ বলা হয় কারণের লক্ষণ গুলি অনেক সাধারন অসুস্থতার সাথে মিশে থাকে। তবে এ লক্ষণ গুলি অন্যান্য রোগের লক্ষণের সাথে মিশে থাকতে পারে তাই সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আপনি আপনার চিকিৎসা যাত্রা শুরু করা উচিত হবে।

ব্লাড ক্যান্সার দিবস কবে

ব্লাড ক্যান্সার দিবস কবে এ প্রশ্নের উত্তরে বলা যায় যে প্রতি বছর ২৮ সেপ্টেম্বর ব্লাড ক্যান্সার দিবস উদযাপন করা হয়। এই দিনে ব্লাড ক্যান্সার সংক্রান্ত জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এই দিনে ব্লাড ক্যান্সারের প্রতি সচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠান সংঘটিত হয়ে থাকে। এই দিনে ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বিশেষ সহযোগিতা প্রেরণা ও উপকার করার প্রচেষ্টা করা হয় সরকারি এবং বেসরকারি উভয়ই ভাবেই বিভিন্ন দেশ তা পালন করে থাকে বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি বিভিন্ন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ের কিছু সংগঠন বিশেষ বিশেষ প্রোগ্রাম করে তা উদযাপন করে থাকে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম এ এস ওয়ার্ড স্টোরি এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪