বুকে ব্যথা মানেই ক্যান্সার নয় হার্ট অ্যাটাক নয় - বুকে ব্যথা হলে কি করব
বুকে ব্যথা মানে আমরা অনেক সময় ধরে নেই যেন আমি শেষ বুকে ব্যথা মানেই ধরে নেই আমি চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে পৌঁছেছি যে কোন সময় হার্ট অ্যাটাক হতে পারে কিন্তু না এমনটা ধারণা করা ভুল কারণ বুকের ব্যথা সামান্য গ্যাস্ট্রিক হতে পারে আঘাতপ্রাপ্তি তার কারণেও হতে পারে কিন্তু আপনি শুধু শুধু টেনশন করলে হার্ট না থাকলেও উত্তেজনা ও অধিক রক্তচাপের কারণে যে কোন সময় হার্ড এটাক হতে পারে।
পোষ্ট সূচিপত্রঃবুকে ব্যথা মানেই ক্যান্সার নয় হার্ট অ্যাটাক নয় - বুকে ব্যথা হলে কি করব
বুকে ব্যথা মানেই যে মৃত্যু ঝুঁকি এমন না
আতঙ্কে বসবাস করা বাঙালি অল্পতেই অনেক কিছু ভেবে বসে তাদের জল্পনার কল্পনার কোন শেষ নেই বুকে সামান্য ব্যথাতেই তারা মৃত্যু ঝুঁকির ভয়ে আতঙ্কে ছুড়তে থাকে যদিও তাদের আতঙ্কিত হওয়াটাই স্বাভাবিক কিন্তু বুকে ব্যথা মানে যে মৃত্যু ঝুকি এমন না। বুকে ব্যথা বিভিন্ন কারণে হতে পারে যেমন স্বাভাবিক শ্বাসকষ্ট কাঁধ বা পিঠের কোন জায়গায় কোন আঘাত পেলে বুকে ব্যথা হতে পারে নিশ্বাস নিতে গেলে ব্যথা হতে পারে এটা স্বাভাবিক বিষয় তারপরেও ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
বুকের বা পাশে ব্যাথা হওয়ার কারণ কি
সাধারণত আমাদের হার্ট থাকে বুকের বা পাশে যে কারণে আমরা বুকের বা পাশের সামান্য ব্যথাকেই হার্ট এটাকের লক্ষণ বা ক্যান্সার হয়ে বসি যা আমাদের মানসিকভাবে ক্ষতি সাধন করে। বুকে ব্যথা হলে কি করব তা আমাদের অনেকের অজানা। বুকে ব্যথা কেমন তার মাত্রা কতটুকু তা নির্বাচন করা খুবই জরুরী। বুকে ব্যথা বিভিন্ন কারণে হতে পারে যেমন
বর্তমান সময়ে মানুষের চলার পথে অনেক কঠিন এবং ভারি ভারি কাজ করার ক্ষেত্রে
সামান্য আঘাতের কারণেও বুকের বা পাশে ব্যথা হওয়ার কারণ হতে পারে আবার শুধু যে
বুকের বা পাশেই ব্যথা হবে এমন নয় পুরো বুক জুড়ে ব্যথা হতে পারে। বুকের
মাংসপেশির ক্ষতি হলে ব্যথা হওয়াটাই স্বাভাবিক তাই ঝুঁকিপূর্ণ মনে না করে আপনার
আশেপাশের ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
আপনার পেটের সমস্যার কারণে ও বুকে ব্যথা হতে পারে। যেমন গ্যাস্টিক, পেটের
ক্যান্সার, পেটের পচন প্রক্রিয়ার সমস্যার কারণেও অনেক সময় পুরো বুক জুড়ে ব্যথা
হয়ে থাকে অনেক সময় জ্বালাপোড়াও করে থাকে আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয়েছে
কিনা এটাও দেখতে হবে। শ্বাসনালী সমস্যার কারণেও আপনার বুকে ব্যথা অনুভব হতে পারে।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে মানসিক চাপ বা টেনশন করার কারণে অনেক সময় বুকে ব্যথা হয়ে
থাকে।
বুকে ব্যথা হলে কি করব
বিশ্রাম আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ যদি অনুভূত হয় আপনার বুকে ব্যথা। বুকে ব্যথা অনুভূত হওয়ার সাথে সাথেই আপনি বিশ্রাম নেওয়ার চেষ্টা করুন যা আপনার জন্য খুব উপকারে আসবে। সাময়িক সময়ের জন্য আপনার শারীরিক পরিশ্রম থামিয়ে দিন। চেষ্টা করুন নিজেকে শান্ত রাখার খোলামেলা শান্তশিষ্ট ও আরামদায়ক স্থানে বিশ্রাম নিন। আপনি গরম পানি পান বা হালকা শেখ দিলে আপনার ব্যথা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইলেকট্রিক ডিভাইস থেকে সাময়িক সময়ের জন্য নিজেকে দূরে রাখুন যেমন কম্পিউটার মোবাইল ইত্যাদি।
অবশ্যই মনে রাখতে হবে বুকে ব্যথার কিছু ধাপ রয়েছে পর্যায়ে রয়েছে আপনার বুকের ব্যথাটা কোন পর্যায়ের এটা কি সাধারণ পর্যায়ের না মধ্যম পর্যায়ের না চূড়ান্ত পর্যায়ের নির্বাচন করা খুবই জরুরী আপনি যদি আপনার ব্যথাকে সাধারন পর্যায়ে ভেবে আপনার ঘরে বসে থাকেন তাতে আপনার বিশেষ ধরনের ক্ষতি হতে পারে যে কারণে আপনি পরবর্তী সময়ে বড় ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন বড় ধরনের সমস্যা আসার আগেই আপনি আপনার নিকটস্থ চিকিৎসকের পরামর্শ নেন যত্ন নিন ভালো থাকুন।
বুকের জন্য কি কি খাবার খাওয়া উচিত
আমাদের বুকের ভিতরে রয়েছে হার্ট, ফুসফুস ইত্যাদি যা আমাদের পুরো শরীর চালানোর জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে হার্ট এবং ফুসফুসকে সুস্থ রাখতে আমাদের বিশেষ কিছু খাবার খাওয়া উচিত যেমন সবজি
- ব্রকলি
- গাজর
- টমেটো
- সিম
- লাউ
- বেগুন
- ফুলকপি
- ক্যাপসিকাম ইত্যাদি
আমরা প্রোটিনের মধ্যে যেসব খাবার গুলো খেলে আমাদের বুকের জন্য ভালো
- মাছ
- মাংস
- ডাল
- দুধ
- কিসমিস ইত্যাদি
আমরা বুকের জন্য উষ্ণ প্রকৃতির খাবার খেতে পারি যেগুলো আমাদের বুকের জন্য বিশেষ
ভূমিকা পালন করে থাকে যেমন
- মিষ্টি কুমড়া
- গোলমরিচ
- আদা
- পেঁয়াজ
- হলুদ
- জিরা
- ধনেপাতা
- পুদিনা পাতা ইত্যাদি।
বুকের জন্য কনো খাবার বেশ ভূমিকা রাখে শুকনো মূল্যবান ফল আপনার বুকে এবং বুকের
ভেতরের সবকিছুকে ভালো ও সুন্দর রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে শুকনো ফলগুলো বলতে
- কিসমিস
- খেজুর
- পেয়ারা ইত্যাদি।
রোজকার খাবারের সঙ্গে দুধ রাখাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ অবশ্যই খেয়াল রাখবেন প্রতিটা খাবার জন্য মিক্স না হয়ে যায় অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো না। অবশ্যই খাওয়ার নিয়ম না জানলে আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নেন।
এসিড খাদ্যনালীতে গেলে কি করব
এসিড খাদ্যনালীতে যাওয়ার ফলে আমাদের বুকে ভীষণ পরিমাণ ব্যথা হয় যা প্রায় হার্টের ব্যাথা সমতুল্য এ ব্যথা আমাদের মানসিকভাবে বেশ দুর্বল করে ফেলে অনেকে অজানার ফলে এটাই তারা হার্ট অ্যাটাক বলে ধরে নাই। খাদ্যনালীতে অ্যাসিড চলে গেলে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খাওয়ার চেষ্টা করুন কারণ অম্লপ্রকারের খাবার আপনার শরীরের এসিড কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
আমি বর্তমান সময়ে পেট ব্যথা বা পেটে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার জন্য ফার্মেসিতে অনেক
ভালো ভালো ওষুধ পাওয়া যায় যা আপনারা ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও আপনি আপনার
বাড়তি সতর্কতার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন আপনাকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের
পরামর্শ নিতে হবে এমন না আপনার পার্শ্ববর্তী বা আশেপাশের যে কোন ডাক্তারের সঙ্গে
প্রাথমিক অবস্থায় আলাপ করা যেতে পারে।
এম এ এস ওয়ার্ড স্টোরি এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url