কত বছর বয়স পর্যন্ত চুল গজায় - চুল লম্বা করার উপায় ও চুল লম্বা না হওয়ার কারণ

চুল মানব শরীরের সৌন্দর্যের একটি বিশেষ অংশ মানুষের শরীরের প্রতিটা অঙ্গই যেন প্রয়োজনে ভরপুর সৌন্দর্য ভরপুর এবং ভরপুরতার সবার উপরে রয়েছে চুল। বাক্তি বা আপনার চুল যদি উস্কো খুশখো দেখায় তবে মোটেও তা ভালো দেখায় না। কিন্তু সেই চলে যদি লম্বা এবং ঘন তেল চকচকে হয় তবে দেখতেই যেন মন ছুয়ে যায়। কত বছর বয়স পর্যন্ত চুল গজায় চুল লম্বা করার উপায় ও চুল লম্বা না হওয়ার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।


পোস্ট সূচিপত্রঃকত বছর বয়স পর্যন্ত চুল গজায় - চুল লম্বা করার উপায় ও চুল লম্বা না হওয়ার কারণ

 কত বছর বয়স পর্যন্ত চুল গজায়

মানুষের চুল গজানোর প্রক্রিয়া ব্যক্তির বয়স ও জেনেটিক কারণে ভিন্নভাবে পরিবর্তন হতে পারে। চুল গজানোর শুরু থেকে পর্যায়ক্রমে চুল দূরত্ব বৃদ্ধি পেতে থাকে শিশুদের ক্ষেত্রে চুল প্রতি মাসে প্রায় এক থেকে দেড় সেমি বৃদ্ধি পায়। প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের প্রতি মাসে প্রায় এক সেঃ চুল বৃদ্ধি পায় এবং মহিলাদের প্রাপ্ত বয়স্ক কালে খুব দ্রুত চুল বৃদ্ধি পায় তাদের প্রায় প্রতিমাসে এক থেকে দুই সেমি চুল বৃদ্ধি পায়।

কত বছর বয়স পর্যন্ত চুল গজায় তার নির্দিষ্ট কোন প্রমাণ এখন পর্যন্ত নেই। তবে বিজ্ঞানীরা এ বিষয়ে নিয়ে গবেষণা করছে নিশ্চয়ই এই এর কিছু ভালো ফলাফল আমরা পাব। ব্যক্তি শারীরিক সক্ষমতা এবং জেনেটিক বিষয়বস্তুগুলো ঠিক থাকলে তার হরমোন জনিত কোন ধরনের প্রবলেম বা কোন ধরনের মাথা গরম বা অতিরিক্ত মাথা দিয়ে গরম বেরোনোর মতন কোন রোগ থাকলে বয়সের সাথে সাথে চুল পড়া বেড়ে যায় এবং চুল গজানো কমে যায়। তারপরেও দেখা যায় ৪৫ বা ৫০ বছর পেরোলে চুল গজানোর পরিমাণটা মাত্রাতিরিক্ত ভাবে কমে যায়।

চুল লম্বা করার উপায়

চুল লম্বা করার উপায় হিসেবে স্বাস্থ্যকর খাবার বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রোটিন, ভিটামিন ও মিনারেলস চুলের স্বাস্থ্য বৃদ্ধির জন্য এবং ফুলের স্বাস্থ্য উন্নত করতে বেশ ভূমিকা পালন করে থাকে। আপনার চুল লম্বা করতে হলে অবশ্যই তার সঠিক পরিচর্যা এবং যত্ন নিতে হবে। চুলের যত্ন নেওয়া বলতে গেলে চুলে শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে আপনার চুলের জন্য ক্ষতিকর এমন কোন শ্যাম্পু বা কন্ডিশনার ব্যবহার করবেন না অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যে আপনার শ্যাম্পু বা কন্ডিশনারটি কোন ব্যান্ডের এবং আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন যে আপনার জন্য কোন কন্ডিশনার বা শ্যাম্পু ভালো হবে।

বর্তমান সময়ে দেখা গেছে মাস্ক ব্যবহার করেও চুল বৃদ্ধি করা সম্ভব আপনি আপনার আশেপাশের উচ্চ গুণগত মানের মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন বা টুপি ব্যবহার করতে পারেন যা আপনার চুলের অনগত মান এবং চুল বৃদ্ধিতে বেশ ভূমিকা পালন করে থাকবে। আপনি দুই থেকে তিন দিন পর পর চুল শ্যাম্পু দ্বারা ভালোভাবে পরিষ্কার করুন চুলের গুনগত মানের আরো উন্নতি ঘটাতে আপনি অয়েল ব্যবহার করতে পারেন যা আপনার চুলকে মসৃণ এবং শক্ত করতে সহযোগিতা করবে। আপনার চুলের আরো উন্নতি ঘটাতে আপনি চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।

চুল লম্বা না হওয়ার কারণ

কোন ব্যক্তির জেনেটিক বৈশিষ্ট্যের কারণে তার চুলের বৃদ্ধিতে বাধা হতে পারে। বয়সের সাথে সাথে চুলের লম্বা হওয়ার গতি অনেকটাই কমে যায় সাধারণ প্রক্রিয়ার সাথে তাল মিলিয়ে চুল বেড়ে উঠতে পারে না। চুল লম্বা না হওয়ার নির্দিষ্ট কোন বয়স বা সময় এখন পর্যন্ত নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। সঠিক পুষ্টি মানের অভাব হলে চুলের বেড়ে যাওয়ার গতি অনেকটাই কমে যায় প্রোটিন,ভিটামিন, মিনারেলসহ অন্যান্য গুণের অভাবে আপনার চুলের স্বাভাবিক গতির বাধা হতে পারে যে কারণে অবশ্যই আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে যে আপনার খাবারের পুষ্টিগত মান ঠিক আছে কিনা।

চুলের পরিপূর্ণ যত্ন না নেওয়া চুল লম্বা না হওয়ার কারণ হিসেবে দেখা যায় নিয়মিত চলে শ্যাম্পু না করা নিয়মিত চুলে অয়েল ব্যবহার না করা। চুল লম্বা না হওয়ার পিছনে বড় কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মানব শরীরের সৌন্দর্যের একটা অংশ যে কারণে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণ চুলের যত্ন নেওয়া উচিত। কারণ চুল প্রাপ্তবয়স্ককালেই বেশ সৌন্দর্যপূর্ণ দেখা যায়। উসকো খুশকো চুল দেখতে কেমন যেন একটা লাগে কিন্তু তেল চুপচুপে চকচকে চুলের বাহার যেন দেখতেই মন ছুয়ে যায়। মন ছুয়ে যাওয়া চুল তৈরি করতে অবশ্যই চুলের যত্ন নিতে হবে।

চুল লম্বা করার সহজ উপায়

একটি স্বাস্থ্যকর মাথার ত্বক চুলের বৃদ্ধির জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ প্রয়োজন হয়ে থাকে নিয়মিত হালকা শ্যাম্পু দিয়ে মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখতে হবে আপনার মাথার তাকে মেসেজ করা রক্ত প্রবাহকে উদ্ধীত করতে পারে এবং চুলের বৃদ্ধিকেও উৎসাহিত করতে পারে তুলে স্বাস্থ্য সুনিশ্চিত করতে ভিটামিন খনিজ এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ সেশন খাদ্য খাওয়া আপনার চুলের স্বাস্থ্যের জন্য ও চুল বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে। আপনার খাদ্য তালিকায় ফল শাকসবজি এবং চরবিহীন প্রোটিন জাতীয় খাবার অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।

প্রতি ছয় থেকে আট সপ্তাহে আপনার চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে এবং বৃদ্ধি করতে ট্রিম করার লক্ষ্য করুন সূর্য বাতাস এবং প্রচন্ড ঠান্ডার মতো কঠোর সংস্পর্শে এলে একটি টুপি বা স্কার্ফ ব্যবহার করা আপনার জন্য এবং আপনার চুলের জন্য পরিবেশগত হবে যা আপনার চুলের স্বাস্থ্য রক্ষা করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। ভেজা চুলকে বিচ্ছিন্ন করতে এবং আচরানো্র সময় চওড়া দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম এ এস ওয়ার্ড স্টোরি এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪