মেয়েদের আবেগ নিয়ে কিছু কথা - মেয়েদের আবেগী হওয়ার কারণ

আমরা সাধারণত জানি মেয়েদের মন ভীষণ নরম হয়ে থাকে সত্যি কি তাই জানার ভিতরেও তো জানা থাকতে পারে মেয়েদের আবেগীয় অভিমানে হওয়ার পিছনে বেশ কিছু রহস্যময় কারণ রয়েছে যে রহস্য গুলোর উদঘাটন করতেই আজকে আমাদের এই পোস্টটি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করা সূরা আন তৃতীয় নাম্বার আয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে তোমরা নারীদের সঙ্গে ইনসাফ করবে। 


মেয়েদের আবেগ নিয়ে কিছু কথা - মেয়েদের আবেগী ও অভিমানী হওয়ার কারণ।

মনস্তাত্ত্বিক, সামাজিক এবং পরিবেশগত হয়ে থাকে যা তাদেরকে ভীষণ আবেগ প্রবণ করে তোলে। মেয়েরা নিজের জীবনের উদ্দেশ্য খুঁজে না পেলে ভীষণ আবেগী হয়ে ওঠে। মেয়েরা তাদের নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যের লক্ষ্যে তাদের জীবনকে বিসর্জন দিয়ে দেয় কিন্তু তাদের বিসর্জন যদি ব্যর্থ হয় তাহলে তারা ভীষণ কষ্ট পায় এবং আবেগী হয়ে ওঠে। 

প্রেমে পড়লে প্রথম সময়ে তারা ভীষণ আবেগ প্রবণ হয়ে যায়।

সামনে যে কোন কষ্টের স্মৃতি দায়ক মুহূর্ত আসলে এই মেয়েরা আবেগী হয়ে যায়।

হরমোন জনিত পরিবর্তন ঘটলে মেয়েরা ভীষণ আবেগী হয়ে যায়।

গর্ভাবস্থায় মেয়েরা ভীষণ আবেগী হয়ে পড়ে।

চক্র চলাকালীন ভীষণ আবেগপ্রবণ হয়ে ।

প্রিয় মানুষের মৃত্যু তাদের ভীষণ আবেগপ্রবণ করে তোলে ।

প্রিয় মানুষের মৃত্যু তাদের ভীষণ আবেগপ্রবণ করে ফেলে।

প্রিয় মানুষের অবহেলা মেয়েদেরকে ভীষণ আবেগী করে তোলে।

ব্যর্থতাই পরিপূর্ণ সম্পর্ক মেয়েদেরকে ভীষণ করে তোলে।

প্রিয়জনদের বিশ্বাসঘাতকতা মেয়েদেরকে ভীষণ আবেগে করে তোলে।

প্রিয় মানুষের সঙ্গে ভুল বুঝাবুঝি মেয়েদেরকে ভীষণ আবেগী করে তোলে।

হুটহাট পরিবর্তনের ভয়ে মেয়েরা ভীষণ আবেগী হয়ে যায়।

মেয়েরা কোন জায়গায় অপমানিত হলে আবেগী হয়ে যায়।

কর্ম ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তার ফলে মেয়েরা ভীষণ আবেগী হয়ে পড়ে।

নতুন পরিবেশে অভ্যস্ত না হয়ে উঠতে পারলে ভীষণ আবেগি হয়ে ওঠে।

বন্ধুদের সাপোর্ট না পেলে মেয়েরা ভীষণ আবেগ প্রবণ হয়ে ওঠে।

অপ্রত্যাশিত কোন দুর্ঘটনা মেয়েদেরকে ভীষণ আবেগী করে তোলে।

অবসর সময় না পেলে মেয়েরা ভীষণ আবেগী হয়ে যায়।

দাম্পত্য জীবনে সমস্যার সম্মুখীন হলে মেয়েরা ভীষণ আবেগী হয়ে যায়।

হট করে নিজের পরিবর্তন মেয়েদেরকে আবেগী করে তোলে।

হুট করে নিজের চেহারার পরিবর্তন হলে মেয়েরা আবেগী হয়ে যায়।

বন্ধুদের সঙ্গে ঝগড়া হলে মেয়েরা আবেগি হয়ে যায়।

অর্থনৈতিকভাবে তারা সমস্যার সম্মুখীন হলে আবেগী হয়ে যায়।

তারা তাদের অধিকার না পেলে ভীষণ আবেগী হয়ে যায়।

প্রিয় মানুষ ছেড়ে চলে গেলে ভীষণ আবেগী হয়ে পড়ে।

মেয়েদের যখন হরমোন উঠানামা করে তখন তারা ভীষণ আবেগী হয়েছে ওঠে।

বিষন্নতা মেয়েদেরকে ভীষণ আবেগী করে তোলে।

অভিভাবক কোন ভাবে কোন ধরনের চাপ প্রয়োগ করলে মেয়েরা আবেগী হয়ে যায়।

একাকীত্ব মেয়েদেরকে ভীষণ আবেগপ্রবণ করে তোলে।

তালাকপ্রাপ্ত বা ডিভোর্স হয়ে গেলে মেয়েরা ভীষণ আবেগী হয়ে যায়।

যৌন হয়রানির শিকার হলে মেয়েরা ভীষণ আবেগী হয়ে যায়।

অনেক সময় ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ফলে মেয়েরা আবেগী হয়ে যায়।

উচ্চ প্রত্যাশায় ব্যর্থ হলে মেয়েরা আবেগী হয়ে ওঠে।

অমীমাংসিত দুঃখ মেয়েদেরকে ভীষণ আবেগপ্রবণ করে তোলে।

وَإِنْ خِفْتُمْ أَلَّا تُقْسِطُوا فِي الْيَتَامَىٰ فَانكِحُوا مَا طَابَ لَكُم مِّنَ النِّسَاءِ مَثْنَىٰ وَثُلَاثَ وَرُبَاعَ ۖ فَإِنْ خِفْتُمْ أَلَّا تَعْدِلُوا فَوَاحِدَةً أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ ۚ ذَ‌ٰلِكَ أَدْنَىٰ أَلَّا تَعُولُوا

বাংলা অর্থ:
৩। আর যদি তোমাদের এ বিষয়ের আশঙ্কা থাকে যে, তোমরা এতীম বালিকাদের ব্যাপারে সুবিচার করিতে পারিবে না, তাহলে অন্যান্য নারী হইতে যাহারা তোমাদের মনঃপূত হয় বিবাহ করিয়া লও, দুই দুইটি, তিন তিনটি, চারি চারিটি নারীকে, অতঃপর যদি তোমাদের এই আশঙ্কা থাকে যে, ইনসাফ করিতে পারিবে না তাহলে একই বিবিতে ক্ষান্ত থাকিবে অথচ যে দাসী তোমাদের স্বত্বাধিকারে আছে তাহাই যথেষ্ট; এই উল্লেখিত বিধানে অন্যায় না হওয়ার সম্ভাবনাই সমধিক।

তুমকো পায়া হে তুঝসে খোয়ামানব জীবনের চূড়ান্ত সত্য হলো কোরআন। কোরআনের সূরা আন নিসার তিন নাম্বার আয়াতে উল্লেখ রয়েছে তোমাদের সুবিচার করার ক্ষমতা থাকলেই একমাত্র একাধিক বিয়ে করতে পারবে। আল্লাহ তাআলার এই কথা থেকে বোঝা যায় মেয়েদের মন কতটা নরম, মেয়েদের আবেগ কতটা বেশি, মেয়েরা কতটুকু আবেগী ও অভিমানে হতে পারে। মেয়েদের মন, আবেগ,অভিমান সবকিছুই আল্লাহ প্রদত্ত কোরআন অনুযায়ী মেয়েদের সৃষ্টি করা হয়েছে ছেলেদের জন্য এখানে ছেলেদের জন্য বলতে আদম আলাই সাল্লাম এর বাম পাজরের হাড় থেকে হাওয়া আলাইহিস সাল্লামকে সৃষ্টি করা হয়েছে।

জাহেলিয়াতের যুগে মেয়েদেরকে যখন সম্মান দেওয়া হতো না তাদের নিজের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হতো না তাদের সব সময় লাঞ্ছনা এবং বঞ্চনার উপরে রাখা হতো সেই সময় আল্লাহ তায়ালা মেয়েদের সম্মানের রক্ষার্থে এবং তাদের স্বাধীনতা শালীনতা এবং সুরক্ষা সুনিশ্চিতদের জন্য কোরআনে কিছু সূরা নাযিল করেছেন এবং তাতে মেয়েদের সম্মান বাড়িয়ে তুলেছেন তাদের অধিক আবেগী থেকে বাঁচিয়ে রেখেছে অভিমানী হওয়া থেকে বাঁচিয়ে রেখেছে যে কারণে আপনাদের বলতে পারি বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত করুন এবং কোরআন থেকে জ্ঞান অর্জন করুন।

বর্তমান সময়ের এই আধুনিক যুগে আধুনিকায়নের ফলে আমাদের মানব জীবন অনেক উন্নতি ছোঁয়া পেয়েছে। বর্তমান বিজ্ঞান অনুযায়ী দেখা যায় মেয়েদের অধিক আবেগি ও অভিমানি হওয়ার পেছনে কিছু হরমোন দায়ী মানবদেহে প্রায়ই ৫০ টি হরমোনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এই হরমোন গুলোর মধ্যে কিছু হরমোন রয়েছে যেগুলো মেয়েদেরকে আবেগী ও অভিমানি হওয়ার কারন হিসেবে উল্লেখযোগ্য ভাবে দায়ী। হরমোন গুলা হলো অক্সিটোসিন ও ভ্যাসোপ্রেসিন

মেয়েদের আত্মবিশ্বাস কম থাকে যে কারণে তারা ছোটখাটো বিষয়ক বেশি কষ্ট পায় তারা যে কোন বিষয়ে অধিক আগ্রহী হয়ে থাকে যে কারণে নিরাশার ছোয়া তাদের ভীষণ রকম আবেগী করে তোলে। আমরা আসার চেয়ে কম পেলে অনেকেই অভিমান করে বসে থাকি। তবে মেয়েদের ক্ষেত্রে এটা অধিকাংশই বেশি মেয়েদের চাহিদা খুব একটা বেশি বড় না হলেও তাদের ছোট ছোট অনেক চাহিদা তাদের অনেক আশা। আশা গুলো ছোট ছোট হওয়ার কারণে তারা অনেক আশা পূরণ নেই ব্যর্থ হয়ে থাকে যে কারণে তারা বারবার অভিমান করে বা বলতে পারেন এক ধরনের বাধ্য হয়।


যেহেতু মেয়েরা বেশিরভাগ সময়ই ঘরে বা বাড়িতে থাকে সেও তো তাদের নিজেদেরকে নিয়ে ভাবার অনেক সময় রয়েছে তারা নিজেদেরকে নিয়ে ভাবতে ভাবতে অধিক ভাবনায় ডুবে যায় যে কারণে তারা আশানরূপ কোন কিছুই পায় না নিরাশার বালুচর তাদের এমনভাবে ঘিরে নেই যে তারা আবেগী হয়ে ওঠে তারা বারবার আবেগের বসে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে যেগুলো তারা জানেই না যে কি করছে। মেয়েদের বন্ধু বান্ধব কম হওয়ায় তারা চাইলে কারো সঙ্গে কোন কথা শেয়ার করতে পারেনা যে কারণে তারা সিদ্ধান্তহীনতাই ভোগে সঠিক সিদ্ধান্তহীনতার অভাবে এবং অধিক কৌতূহলের কারণে তাদের মন ভীষণ আবেগী হয়।


মেয়েরা সৌন্দর্য প্রিয়াসি তাদের ভিতরে সুখ বিলাসী সুখ বিলাসী একটা ভাব রয়েছে তারা নিজেদের সাজ সজ্জা নিয়ে ভীষণ রকমের ব্যস্ত তারা সাজতে ভীষণ ভালোবাসে। তারা নিজেদেরকে সৌন্দর্যপূর্ণ করে তোলার জন্য বিভিন্ন ধরনের কসমেটিক্স ভ্যারাইটিস ব্যবহার করে থাকে তারা আশা করে তাদের কেউ একজন সুনাম করবে বা বলবে তোমাকে ভীষণ সুন্দর লাগছে তাদের যে কমেন্টের আশাটা তাদের এই কমেন্টের আশাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাদের জীবনে।


 কারণ তারা শুধুমাত্র একটি কমেন্টের জন্য দীর্ঘ সময় কাটিয়ে দেয় সাজ সয্যাই অবশেষে কেউ যখন তাদের এটার বিপরীত কিছু বলে যেমন তোমার এই বিষয়টা খারাপ লাগছে এই বিষয়টা ভালো লাগছে না এটা হলে আরো ভালো হতো তখন তারা ডিপ্রেশনে চলে যায় এবং ভীষণভাবে আবেগী হয়ে ওঠে তারা নিজেরাই বলে নিজেদেরকে আমাকে খারাপ লাগছে বা আমাকে সুন্দর লাগছে না এটা সে কেমন করে বলতে পারে কারন আমি তো আমার সর্বোচ্চটা দিয়েই গেছিলাম তার সামনে অধিক আসার কারণে সে নিরাশার কষ্টটা অধিক পেয়ে গেছে যে কারণে তার আবেগী হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক একটি বিষয় তাই বড়রা বলে গেছে অতিরঞ্জিত কোন কিছুই ভালো নয়।


তাই আমি আমার কাছ থেকে বলতে পারি আশা ততটুকু করা উচিত যতটুকু আপনার যোগ্যতা বহন করে। আপনি আপনার যোগ্যতার চেয়ে বেশি কিছু আশা করলে নিরাশ হবেন এটাই স্বাভাবিক আপনি অধিকাগ্রহী না হয়ে নিজেকে সময় দিন এবং নিজের ভুলগুলো বুঝতে শিখুন তাকে কিভাবে ইমপ্রেস করতে হয় তার একটি ভালো ধারণা নিয়ে নিন আপনার সিনিয়র বা বয়োজ্যেষ্ঠ কারো কাছ থেকে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন আপনি যেন হাসির পাত্র না হয়ে ওঠেন।


 কারণ এটা আপনার জন্য খুবই খারাপ একটি ইম্প্রেশন যদি আপনি কারো হাসির পাত্র হয়ে ওঠেন তাহলে আপনি আরো ডিপ্রেশনে চলে যাবেন আপনার আবেগ এবং অভিমান যেন আপনার পিছু ছাড়বে না আপনার অবস্থা আগের চেয়েও খারাপ হতে পারে যে কারণে বলতে পারি আপনি আপনার আবেগ এবং অভিমানকে কন্ট্রোল করতে বা সংযত করতে সীমিত আশা করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম এ এস ওয়ার্ড স্টোরি এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪