২০২৪ সালের রোজা কত তারিখ থেকে শুরু বাংলাদেশে - 2024 এর রোজা কত তারিখে
আমরা এক মাসে রহমত, বরকত এবং নাজায়েত পেয়ে থাকি। এই মাসটিই পবিত্র রমজান মাস রমজান মাসে মুসলিমরা শাওম বা রোজা পালন করে থাকে। আমি মুসলিম তাই বলতে পারি আমরা এই পবিত্র মাসের ফরজ রোজা গুলো পালন করতে পারব ইনশাল্লাহ। ২০২৪ সালের রোজা ১২ই মার্চ শুরু হবে ইনশাল্লাহ ১৪৪৫ সালের ইসলামিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ১২ই মার্চ ঘোষণা করা হয়েছে বাংলাদেশে।
২০২৪ সালের রোজা কত তারিখ থেকে শুরু বাংলাদেশে - 2024 এর রোজা কত তারিখে
যেহেতু ২০২৪ সালের রোজা মার্চ মাসের ১২ তারিখ থেকে শুরু সেহেতু বাংলাদেশের ১১ই এপ্রিল ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হবে ইনশাল্লাহ। যদিও অন্যান্য দেশে ১১ই মার্চ থেকেই রমজান শুরু হয়ে যাবে কিন্তু বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে একদিন পরে অর্থাৎ ১২ই মার্চ থেকে রমজান শুরু হবে। বলতে গেলে ২০২৪ সালের রোজা আসতে আর মাত্র ৪৮ দিন বাকি রয়েছে. দেখতে দেখতেই রমজান চলে আসবে মাস ব্যাপী চলবে রমজান। এক মাস পর মুসলিমদের উৎসবের দিন ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হবে যা মুসলিমরা খুবই আনন্দের সহিত পালন করে থাকে। ঈদুল ফিতরের দিনকে মুসলিমদের আনন্দর দিন বলা হয়ে থাকে।
মার্চের ১২ তারিখ ভোরবেলা সেহরির শেষ সময় ঢাকায় ভোর ৪ঃ৫০ মিনিট পর্যন্ত বাংলাদেশ এবারের রোজা মঙ্গলবারে শুরু হচ্ছে। এবং প্রথম রোজার ইফতার হবে ৬ঃ০৯ মিনিটে। যেহেতু ২০২৪ সালের রোজা 12ই মার্চ শুরু হচ্ছে সেহেতু ১১ মার্চ তারাবির সালাত আদায় করা হবে। বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ মুসলিম হওয়ায় এখানকার কালচারটা অন্যান্য দেশের চেয়ে আলাদা। ঢাকা এবং আশেপাশের শহরগুলোতে রমজানের সময় মুখরোচক বুফের দেখা পাওয়া যায় যা অন্যান্য বিশ্ব থেকে বাংলাদেশকে আলাদা করে রেখেছে।
এই বছর বা ২০২৪ সালে রোজা পালন করা বাংলাদেশের মানুষের জন্য খুবই সহজ হবে অন্যান্য বছরের তুলনায় কারণ বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান। আমরা জানি প্রতি বছর রমজানের সময় পরিবর্তন হয়ে থাকে আজ থেকে আগের বছরগুলোতে অতিরিক্ত গরম সহ্য করে রোজা পালন করতে হতো বাংলাদেশের মুসলিমদের। যেহেতু বাংলাদেশ একটি মুসলিম দেশ সেহেতু রমজান মাসের ফরজ রোজা বাংলাদেশের মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।রমজান মাসে মুসলিমদের জন্য সুস্বাস্থ্য এবং ধৈর্য পরীক্ষার এক জলন্ত উদাহরণ অবশ্যই সকল মুসলিম এবং মুমিনদের জন্য রয়েছে রোজা রাখাতে অসংখ্য নেয়ামত
বাংলাদেশের মানুষের জন্য রোজা সহজ হওয়ার আরো অন্যতম একটি কারণ হলো এটি মার্চ এবং এপ্রিলে পালন করা হবে। মার্চ এবং এপ্রিলে বাংলাদেশের আবহাওয়া খুবই ঠান্ডা এবং স্বাভাবিক থাকে যে পরিবেশে বাংলাদেশের মানুষের জন্য স্বস্তিদায়ক হয়ে থাকে। বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ হওয়ায় বিভিন্ন আবহাওয়া সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষকে মানিয়ে নিতে হয়। বাংলাদেশের মানুষের জন্য শীতল একটি আবহাওয়া অপেক্ষা করছে যে ভয় যে কেউ স্বাভাবিকভাবে রোজা বা সাওম পালন করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে এবং পছন্দ করবে।
রোজা মুসলিমদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ রোজার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি অশ্লীল কাজ থেকে দূরে থাকতে পারে। একজন মুসলিম তার ঈমানকে মজবুত করতে পারে। একজন মুসলিমের নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার সর্বোত্তম মাধ্যম হলো রোজ বা সাওম পালন করা। রোজা রাখার মাধ্যমে বা সাওম পালনের মাধ্যমে নৈতিক শক্তির বৃদ্ধি হয়। একজন মুসলিমকে মহানুভব করার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে রোজা বা সাওম। রোজার মাধ্যমে স্বাস্থ্যের উন্নতি করন করা সম্ভব।
আমরা মুসলিম আমরা গর্বিত আমাদের জন্য রমজান মাস মহিমান্বিত আমরা এই মাসেই কোরআনকে পেয়েছি। আপনারা জানবেন যে এই আমরা এক মাসে রহমত, বরকত এবং নাজায়েত পেয়ে থাকি।পরিশেষে অবশ্যই আমি নিজ থেকে আপনাদের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করি আল্লাহ যেন আপনাদেরকে সবগুলো রোজা পালন করার তৌফিক দান করেন। এবং আল্লাহ যেন আপনাদের সুস্বাস্থ্য দান করেন। পরিশেষে ২০২৪ সালের ১২ই মার্চ রোজা বা শাওন সুযোগ পাবো ইনশাল্লাহ।
এম এ এস ওয়ার্ড স্টোরি এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url