আমাদের সমাজব্যবস্থা বর্তমানে ভঙ্গুর অবস্থায়। নাম স্বরূপ অস্তিত্ব রয়ে গেছে আমাদের বর্তমান সমাজ ব্যবস্থার। অনেকে বলে জীবনটা রেললাইনের মত চলতেই আছে চলতেই আছে কোথায় থামবে তা কেউ জানে না কিন্তু এটা সঠিক নয় দিনে হাজার বার আমরা মরে হাজার বার আমরা বাঁচি এই মরা বাঁচার দুনিয়ায় যেদিন মরার পর আর বেঁচে ওঠা হবে না সেদিন আমাদের শেষ যাত্রা সেটাই আমাদের সর্বশেষ মৃত্যু সেটা আমাদের উপরে যাওয়ার ঠিকানা পাসপোর্ট ছাড়াই ভিসা বলতে পারেন।

বর্তমান সমাজ নিয়ে কিছু বাস্তব কথা - বর্তমান সমাজ ব্যবস্থা নিয়ে কিছু বাস্তব অভিজ্ঞতা যুব সমাজ নিয়ে উক্তি

1. যুব সমাজ ধ্বংসের অন্যতম কারণ যুদ্ধহীন জীবন যাপন যার নিজের সঙ্গে যুদ্ধ করতে বাধ্য করে।
2. যুব সমাজ পিছিয়ে পড়ার পেছনে বেকারত্ব কর্মহীনতা এবং সঠিক ব্যবস্থাপনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
3. যুবক বয়সের সময় টা জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং মূল্যবান সময় শ্রেষ্ঠ সময় বললেও খুব বেশি ভুল হবে না
4. যুব সমাজ কে যদি আগামীর ভবিষ্যৎ বলা হয় তাহলে শিশুদের কি বলতে হবে। তারা কি ভবিষ্যতের অংশ নয় বর্তমানে যারা ক্ষমতার লড়াইয়ে ক্লান্ত তারা শারীরিক এবং মানসিক শক্তিশালী যুবক দের দিকে তাদের সিদ্ধি সাধনের আশায় তাকিয়ে থাকে।
5. তরতাজা শক্তিশালী অস্থিমজ্জা নিয়ে গঠিত যুব দেহ যে দেহে পাগল নারীরা। যে দেহে পাগল বর্তমানে বসবাসরত ভবিষ্যৎ অনুমান করা কিছু বিজ্ঞ ব্যক্তি।
6. প্রতিটা দেশ এবং দেশের প্রভাবশালী কর্তাগণ যুবকদেরকে লক্ষ্য করে তাদের সাফল্যে অর্জনের জন্য কারণ তারা সেই পরিমাণ পরিশ্রম করতে পারে না যে পরিমাণ পরিশ্রম করলে সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছানো সম্ভব যার ফলে তারা অর্থের বিনিময়ে যুবকদের যুব সমাজের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ থেকে সরিয়ে রাখছে।
7. প্রতিটা প্রভাবশালী ব্যক্তি আরো প্রভাবশালী হওয়ার নেশায় যুবকদের মূল্যবান সময় তারা তাদের সামান্য কাজে ব্যবহার করছে এবং যুবকদের সঠিক স্থানে যেতে বাধা দিচ্ছে সামান্য অর্থের লোভ দেখিয়ে।
8. দেশের সুরক্ষা সুনিশ্চিত এর জন্য দেশের সরকার যুবকদের বেছে নেয় এবং তাদের মূল্যবান এবং গুরুত্বপূর্ণ সময়টাকে দেশের বিভিন্ন উন্নয়ন ও সুরক্ষায় ব্যবহার করে থাকে।
9. সবাই চায় যুবকদের এই সময়টাকে তাদের হাতের মুঠোয় রাখতে কারণ তারা জানে তাদের দিয়ে যা হবে না একটি সাধারণ যুবককে দিয়ে তার চেয়ে বেশি হবে তাই তারা সে যুবকের পেছনে অর্থ ব্যয় করে যতক্ষণ সে যুবক থাকে তারপরে তাকে ছুড়ে ফেলে দেয় নোংরা মুছে ফেলা টিস্যুর মত।
10. যুব সমাজের সঠিক মূল্যায়ন তারা করেনা যারা করলে দেশের যুব সমাজের উন্নয়ন হবে কারণ তারা তাদের উন্নয়ন নিয়ে বেশি ভাবে দেশের নয় যুব সমাজের তো প্রশ্নই আসে না।
11. প্রতিটা যুবক তার জীবনের লক্ষ্য অর্জনে এগোতে শুরু করলেই মাঝপথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি তাদের আশা পূরণের জন্য।
12. যুবসমাজ প্রতিটা উন্নয়নশীল কর্মকাণ্ডে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
13. সুশিক্ষিত যুব সমাজ একটি দেশ বা রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত হয় ।
14. প্রতিটা ভূখণ্ডে যুব সমাজের উপরে নির্ভর করে তাদের উন্নয়নশীল কর্মকাণ্ড।
15. যুব সমাজ যত দ্রুত তাদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে উন্নয়নের পথে নিয়ে যেতে পারে তা অন্য বয়সীদের জন্য অনেক কঠিন সাধ্য বিষয়।
16. সুশিক্ষিত যুব সমাজ দেশ পরিচালনায় এক অনন্ত ভূমিকা পালন করে।
17. মুসলিম যুব সমাজকে ধ্বংসের পেছনে সবচেয়ে বেশি শ্রম দিচ্ছে ইহুদীরা। ইহুদিরা নগ্নতার চূড়ান্ত সীমাই পৌঁছে দিচ্ছে মুসলিম যুব সমাজকে। ইহুদিরা তাদের চিরাচরিত খারাপ অভ্যাসগুলোকে মুসলিম যুব সমাজের অভ্যন্তরে যে কোন মূল্যে ঢুকিয়ে দেওয়ার হাত পেতে প্রতি সময় অপেক্ষায় আছে।
18. বর্তমান যুব সমাজ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে ভেঙে ফেলা আশা নিয়ে ছুটছে নেশার দ্বারে।
19. নেশা আক্রান্ত হয়ে যুব সমাজ আজ ধ্বংসের পথে।
20. যুব সমাজকে ধ্বংসের জন্য ইহুদিরা প্রেম-ভালোবাসা নামক ভাইরাস নিয়ে তৈরি।
21. প্রতিটি দেশের যুব সমাজকে ধ্বংসের জন্য কিছু চক্র নিয়মিত কলা কৌশল তৈরির চেষ্টায় রয়েছে।
22. বর্তমান সময়ে যুব সমাজকে ধ্বংসের অন্যতম এক হাতিয়ার হল ইন্টারনেট।
23. যুব সমাজ কে ধ্বংসের অন্যতম হাতিয়ার হল মোবাইল ফোন।
24. যুব সমাজ কে নষ্টের একটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো বিপরীত লিঙ্গের ছলনা।
25. যুব সমাজ অধিক কৌতুহলী হওয়ায় যুবতীদের পাল্লায় পড়ায় নিজেরাই নিজেদের শেষ করে দিচ্ছে।
26. যুব সমাজ ধ্বংসের কারণ সমাজের উদাসীন মনোভাব।
27. যুব সমাজের সঠিক শিক্ষা ব্যবস্থা এবং সঠিক পরিকল্পনা না থাকায় যুবসমাজ বিনষ্টের পথে ।
28. যুব সমাজের উন্নয়নে রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনা না থাকায় যুব সমাজ পিছিয়ে পড়ছে।
29. যুব সমাজের সঠিক জ্ঞান অর্জনের পরিকল্পনা না থাকায় জ্ঞানশূন্য যুব সমাজ আজ ধ্বংসের পথে ।
30. সমাজের সঠিক পরিকল্পনার অভাবে যুব সমাজ আজ ধ্বংসের পথে।
31. রাষ্ট্রের সঠিক পরিকল্পনার অভাবে যুব সমাজ আজ ধ্বংসের পথে।
32. বেপর্দা নারীদের ছলনার কবলে আজ যুব সমাজ ধ্বংসের পথে।
33. ভালোবাসার ব্যবসায়ী নারীদের ছলনায় কাতর আজ যুব সমাজ।
34. টাকার লোভে বিমোহিত হয়ে ভবিষ্যৎকে নষ্ট করছে যুব সমাজ।
35. স্কুল কর্তৃপক্ষের যুগ উপযোগী সঠিক সিদ্ধান্তহীনতার কারণে যুব সমাজ আজ ধ্বংসের পথে।
36. শিক্ষাব্যবস্থার যুগ উপযোগী সঠিক সিদ্ধান্ত হীনতার কারণে যুব সমাজ আজ ধ্বংসের পথে।
37. প্রভাবশালী উদ্যোক্তারা যুব সমাজের ওপর পরিপূর্ণ বিশ্বাস না থাকায় সম্পূর্ণভাবে যুব সমাজকে কাজে লাগাতে ব্যর্থ।
38. যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ না পাওয়ায় যুব সমাজ আজ আত্মবিশ্বাস হীনতাই ভুগছে।
39. মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সঠিক পরিকল্পনার অভাবে যুব সমাজ আজ মাদকাসক্ত।
40. যুব সমাজ আজ পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত হয়ে তাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত করে ফেলেছে।
41. যুব সমাজের খামখেয়ালী এবং পরিকল্পনা হীন সিদ্ধান্তের কারণে তারা আজ সমাজে অবহেলিত।
42. যুব সমাজকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে প্রতিটি দেশের ভবিষ্যৎ গণনা কারীরা এবং দেশপ্রেমীরা।
43. যুব সমাজ এক অন্ধকার দ্বীপে আলোর প্রদীপ রূপে আসে।
44. যুব সমাজ তাদের প্রতিভা দিয়ে ইতিহাসের স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকে।
45. যুব সমাজ প্রতিটা দেশের অন্যতম এক সম্পদ ।
46. যে দেশ যতটা যুব সমাজকে কাজে লাগাতে সক্ষম সে দেশ আজ তত উন্নত।
47. প্রতিটি দেশ উন্নতির শিখরে পৌঁছাতে তাদের যুব সমাজকে সুপরিকল্পিতভাবে ব্যবহার করে।
48. সুপরিকল্পিত সমাজ ব্যবস্থা যুব সমাজকে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দিতে পারে।
49. যুব সমাজ অগোছালো এলোমেলো জীবন যাপন করে তাদের সঠিক পথ প্রদর্শক হলে তারা সফলতার শীর্ষে পৌঁছাবে।
50. যুব সমাজকে কাজে লাগানোর সঠিক উদ্যোক্তা এবং পথপ্রদর্শক না থাকায় যুব সমাজ আজ ধ্বংসের পথে।
51. বেকারত্ব যুব সমাজের মানসিকতা কে নষ্ট করে দিচ্ছে তারা চলে যাচ্ছে ভুল পথে।
52. বর্তমানে যুব সমাজের মধ্যে অনেক উদ্যোক্তা তৈরি হওয়ার ফলে ।
53. যুব সমাজের নির্দিষ্ট লক্ষ্য এবং পরিকল্পনা না থাকায় তারা স্বাধীন এবং বিশৃঙ্খল বেপরোয়াভাবে চলাফেরা করে ।
54. আজ যুব সমাজ অনলাইন গেমে আসক্ত ।
55. যুব সমাজের সঠিক সিদ্ধান্তহীনতার কারণে দেশ ও দশের ক্ষতি হয়ে থাকে ।
56. সুশিক্ষায় শিক্ষিত যুবসমাজ দেশ ও দশের জন্য কবি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।
57. যে যুব সমাজ ভালো এবং খারাপের পার্থক্য বোঝার যত ক্ষমতা অর্জন করবে তারা ভবিষ্যতের জন্য তত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে ।
58. সঠিক যুব সমাজ ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে অবশ্যই ভালো উদ্যোক্তার প্রয়োজন ।
59. বর্তমান যুব সমাজের বেকারত্বের হার বেড়ে যাওয়ায় অপরাধ প্রবণতাও বেড়ে গেছে ।
60. বেশিরভাগ অপরাধ যুব সমাজ সংগঠিত করে থাকে ।
61. বর্তমানে যুব সমাজের অপরাধ প্রবণতার হার বৃদ্ধি পাচ্ছে ।
62. বিভিন্ন দেশের উন্নয়নে যুব সমাজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে ।
63. যুব সমাজের উপরে নির্ভর করে ওই এলাকার আর্থিক এবং সামাজিক উন্নয়ন ।
64. যুব সমাজ চাইলে তাদের একতা দিয়ে অনেক কঠিন কঠিন কাজকে সহজ করে ফেলতে পারে ।
65. যুব সমাজের শত্রুরা যুব সমাজকে একত্রে থাকতে বাধাগ্রস্থ করে ।
66. যুব সমাজ বয়স্ক এবং শিশুদের জন্য আশার আলো জাগিয়ে রাখে ।
67. কঠিন সময়ে দুঃসাহসিকতার পরিচয় দেয় যুব সমাজ ।
68. সৎ মানুষ সকলের ব্যবহারের লক্ষ্যবস্ত হিসেবে বিবেচিত হয় ।
69. সরল যুবক কে সকলে ব্যবহার করতে বেশি পছন্দ করে কারণ তারা বিদ্রোহ করে না ।
70. যুব সমাজ বেশিরভাগ সময় বিদ্রোহী হয়ে থাকে তাই তাদেরকে দিয়ে সহজ কাজ করানো সম্ভব নয় ।
71. নতুন উদ্যমে গড়ে ওঠা যুব সমাজকে দিয়ে সমাজের গুরুত্বপূর্ণ কাজ করানো যায় ।
72. যুব সমাজ দুর্বলদের জন্য সাহারা বা স্বাভাবিক জীবন যাপনের ওষুধ বলা হয় ।
73. যুব সমাজ হল অসাধ্য সাধনের এক অনন্ত হাতিয়ার ।

দেশের প্রভাবশালী ব্যক্তিগণ যুব সমাজকে নষ্ট করার জন্য এক ধরনের কৌশল অবলম্বন করছে যাতে যুব সমাজ তাদের অপরাধের বিরুদ্ধে কোন ধরনের প্রতিবাদ না তৈরি করতে পারে এই কৌশল টির নাম হল যুব সমাজকে মাদকাসক্ত করে গড়ে তোলা। তারা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মাদকগুলোকে ভেঙে তাদের নিজের মত করে চালিয়ে নিচ্ছে যাতে তারা তাদের কৌশলগত দিক থেকে এগিয়ে থাকে এবং যেকোনো ধরনের যুব সমাজের প্রতিবাদকে প্রতিহত করতে পারে।

সবাই যুব সমাজকে দাবি রাখতে চায় কারণ তারা অপরাধী এবং অনেক বড় চক্রের অপরাধে যে ধরনের অপরাধ একমাত্র যুব সমাজের থামাতে পারে আন্দোলন বা বিদ্রোহের মাধ্যমে যে কারণে চতুর বুদ্ধিমান এবং ক্ষমতাসীন ব্যক্তিবর্গ যুব সমাজের মধ্যে মাদক বিস্তার করছে এবং মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর গুলো স্বাভাবিক গতিতেই বসে রয়েছে যে কারণে দেশ ও সমাজের মাদক নিয়ন্ত্রণ করা সাধ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে এবং সময় সময়ে যুবসমাজ ধ্বংসের পথে চলে যাচ্ছে।

বর্তমান সমাজ দুর্বলদের বিতরণের বিচলিত হয়ে গেছে এই দুর্বল সমাজ ব্যবস্থায় এবং দুর্বলদের প্রতি সহানুভূতি এবং সবকিছু স্বাভাবিকত্ব নিয়ে আসতে হলে অবশ্যই যুবকদের সংঘবদ্ধ হতে হবে। সংঘবদ্ধ যুবকরা এই পারে সমাজের শান্তি শৃঙ্খলা এবং সমাজে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে। সুনাগরিক হিসেবে প্রতিটা যুবকের দায়িত্ব তার সমাজকে পরিচালনার ভার নিজের কাঁধে নেওয়া তবেই প্রতিটি সমাজ সভ্যতার শিকলে বাধা পড়বে। সভ্যতার শিকল মানুষের মানসিকতাকে জাগ্রত রাখে এবং অসভ্য বিশৃঙ্খল সকল কর্মকান্ড থেকে দূরে রাখে।

বর্তমান যুবসমাজ নগ্নতায় অভ্যস্ত কারণ শহর থেকে গ্রাম সবখানেই আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। আধুনিকতার ছোঁয়া মুসলিম যুব সমাজ কে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে। আধুনিক সমাজ ব্যবস্থায় মেয়েরা আধুনিকতার ছোঁয়া হিসেবে বেছে নিয়েছে আধুনিকায়নের খারাপ দিকগুলো। সেই হিসেবে তারা সোশ্যাল যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে সৌন্দর্য দেখানোর উদ্দেশ্যে তাদের নগ্ন তাকেও তারা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। কারণ শারীরিক সৌন্দর্য তো সৌন্দর্যই সেই সৌন্দর্যের উপরে আবার রংবেরঙের কাপড় দিয়ে সাজানো রংবেরঙের কসমেটিক্স দিয়ে সাজানো মাংসপিণ্ডটি মানুষের সামনে আকর্ষণীয় রূপে উপস্থাপন করছে যে উপস্থাপনায় যুবকদের মানসিকতা নগ্নতার দিকে ছুটছে।

সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত আকর্ষণ নিয়ে মেয়েদের এই নগ্ন খেলায় ছেলেরা আজ পরাজিত ছেলেরা তাদের ঈমানের কাছে আজ পরাজিত কারণ তারা তাদের মাঝে আজ নেই তারা তাদের সাজানো মাংসপিণ্ড নিয়ে রাস্তায় বিচরণ করেছে যে কারণে পথ চলতে হলে নগ্নতা দেখতেই হবে। নগ্নতার এই খেলায় মেতে উঠেছে দুর্বল ঈমানের এবং অজ্ঞতার কিছু আকর্ষণীয় এবং বিকর্ষণীয় যুবতী। তারা তাদের আকর্ষণ কে বিকর্ষণে এবং বিকর্ষণ কে আকর্ষণে রূপান্তরিত করছে শুধু ও যুব সমাজকে ধ্বংসের উদ্দেশ্যে কিন্তু তারা তা নিজেরাও জানে না যে তারা শয়তানের প্ররোচনায় পড়ে যুবসমাজকে ধোকা দেওয়ার উদ্দেশ্যে যা করছে সবই হারাম।

শয়তানের প্রয়োজন আগে আইন হিসেবে বেছে নিয়ে যুব সমাজকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে শয়তান এবং সেই শয়তানকে বিচরণ করার সুযোগ দিচ্ছে কিছু অজ্ঞ মহিলা এবং কিছু দুর্বল ঈমানের মহিলা। যুবকরা জ্ঞান অন্ধ হয়ে শয়তানের প্ররোচনায় নগ্নতার দিকে ছুটছে যখন তাদের জ্ঞান আসছে তখন তারা বলছে আমরা কি করলাম আমরা কি করছি তারা উত্তর খুঁজতে খুঁজতেই তাদের জীবনের অধিকাংশ সময় পার করে ফেলে। যুবকরা এই নগ্নতার দিকে এতটাই আকৃষ্ট যে তারা যুবতীদের ধোঁকায় পড়ে মাদকাসক্ত হয়ে যাচ্ছে বর্তমান সময়ে এই ধরনের ধোকায় বেশিরভাগ যুবকেরা মাদককেই বেছে নিচ্ছে ধীরে ধীরে মরার নেশাই।

ইতিহাস খুঁজলে পাওয়া যায় আগে অধিকাংশ যুবকেরা যুবতীদের ধোকায় আত্মহত্যা করত নয়তোবা গৃহত্যাগ করতো। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে এখন তারা তাদের দুঃখকে সুখে রূপান্তরিত করতে মাদক বেছে নিচ্ছে। যুবকেরা নেশায় জর্জরিত হয়ে সমাজ ও রাষ্ট্রের বোঝা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কিন্তু কিছুদিন আগেও যুবকেরা যুবতীদের ছলনার কাছে হেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে এবং নিজেকে নিঃশেষ করে দিত। আত্মহত্যার হার তো কমে গেছে কিন্তু বেড়ে গেছে মাদকাসক্তির হার যা সমাজ রাষ্ট্রের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে।

যুব সমাজ তার নিজ গতি হারিয়ে ফেলছে কারণ প্রভাবশালী এবং ক্ষমতাশালী ব্যক্তিবর্গ যুবকদের গতির বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তার পেছনেও রয়েছে কারণ তারা চায় না তাদের উপরে কেউ যাক তারা চায় না যুব সমাজ এক হোক কারণ তারা অপরাধী তাদের অপরাধের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলে তাদের সাম্রাজ্য ভেসে যাবে যার ভয়ে নিজেদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত যুব সমাজকে নগ্নতা এবং মাদকাসক্তর দিকে ঠেলে দিচ্ছে সহজলভ্য করে দিচ্ছে যুবকদের অবৈধ চাওয়া গুলো। এমনকি যুবকদের দাবিয়ে রাখার জন্য তারা তাদের কাছ থেকে কোন ধরনের কর্মসংস্থান তৈরি করছে না এবং তাদের সংস্পর্শের ব্যক্তিবর্গকেও কর্মসংস্থান তৈরিতে অনীহা দেখাচ্ছে।

প্রভাবশালীদের মাতব্বরিতে যুব সমাজ নষ্ট হওয়ার নয় বড় বড় যুদ্ধ বিদ্রোহ এবং বড় বড় স্বাধীনতা ও অর্জন হয়েছে এই যুবসমাজের মাধ্যমে এই যুবকদেরকে দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করে তাদের স্বাধীনতা ভোগ করার অধিকার ও ক্ষমতা কোনটি তাদের নেই যারা নিজেদের প্রভাবশালী ও মাতব্বর ভেবে যুবকদের উপর কর্তৃত্ব চালাচ্ছে। যারা যুব সমাজকে নিয়ে এই নির্মম খেলায় মেতে উঠেছে তারা জানে না যে তাদের খেলা ও শেষ হবে। এই যুবকদের হাতেই যাদের হাতে তারা আজ পাহাড় তুলে দিচ্ছে তারা সে পাহাড়ের নিচে চাপা পড়বে আফসোস তারা জানে না।

যুব সমাজকে পরিচালনা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ যদি যুব সমাজকে সুপরিকল্পিতভাবে ভালো এবং বৈধ কাজে লাগানো যায় তবে তারা যেকোনো অসাধ্য সাধন করে তাদের সফলতার শীর্ষে পৌঁছে যাবে। যাতে সমাজে ও পরিবেশে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকবে। বিশৃংখল ও অশান্তির পরিবেশ ও শান্তির ছায়াতলে চলে আসবে। আর যদি এই যুবকদেরকে সঙ্ঘবদ্ধ করে অবৈধ এবং হারাম কাজে লিপ্ত করা যায় তবে তারা পরিবেশের সমাজকে বিশৃঙ্খল করে রাখবে। তারা তাদের যুবক বয়সের যৌবনের আগুনে পুরো দুনিয়াকে পুড়িয়ে ছাই করে ফেলবে। যাতে তারা নিজেরাও রেহাই পাবে না। তাদের ভবিষ্যৎ হয়ে অবহেলিত এবং যন্ত্রণাদায়ক বন্দীত্ব ।

যুব সমাজ পরিচালিত হয় তাদের শারীরিক সক্ষমতার উপরে নির্ভর করে এবং শক্ত মানসিকতা ও উন্নত চিন্তাধারা নিয়ে। তারা উন্নত চিন্তাধারার জন্য তাদের কার্যক্রম স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পরিচালিত করতে পারে যে কারণে তাদের সফলতা হাতের মুঠোয় চলে আসে খুব দ্রুত। যুব সমাজের দায়িত্ব ও কর্তব্য হিসেবে তারা মানুষদের পাশে থাকবে বিপদগ্রস্ত মানুষকে সহযোগিতা করবে অভাবগ্রস্থ মানুষদেরকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিবে। বিপথগামীদের বিপদ থেকে উদ্ধার করতে যুবসমাজ দায়িত্ব পালন করে থাকে।

আমরা আমাদের নিজ গতিতে ছুটি আমাদের গতির প্রতিটা বাধায় আমাদের কাছে মৃত্যুর সমান সেই বাধা টোপকে আবার আমরা চলতে শুরু করি মানে আমরা বেঁচে উঠি । আমাদের বর্তমান সমাজ ব্যবস্থা প্রশ্নের সাগরে সবাইকে ভাসিয়ে বেড়াচ্ছে কেউ কাউকে হাত দিয়ে না পারলেও প্রশ্ন দিয়ে অন্তত বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। অনেকেই খুব স্বাভাবিকভাবেই বাধাকে টপকে যেতে পারে কিন্তু যারা পারে না তাদের জন্য সামান্য প্রশ্নের এই বাঁধাটুকুই বড় দেয়াল হয়ে দাঁড়ায় কিছু সময়ের জন্য কিছু সময়ের জন্যই ব্যক্তির মৃত্যু ঘটে তারপরে সে যখন তার বাধা টপকাই তখন সে আবার নতুন ভাবে জেগে ওঠে বা বেঁচে ওঠে।

আমাদের বর্তমান সমাজ ব্যবস্থা লক্ষ্যহীন বর্তমানে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পড়েছে আমাদের সমাজের কোন চর্চা নেই আইনের প্রয়োগ নেই কোন মান্যতা নেই গুরুত্বহীন এই ব্যবস্থার ফলে আমরা সামাজিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছি আমরা স্বাভাবিকভাবেই অসভ্যতার শিকলে বন্দী হয়ে পড়ছি। যার স্বরূপ যুবসমাজ ধ্বংসের পথে যুব সমাজ ধ্বংসের পেছনে দুর্বল সমাজ ব্যবস্থার হাত রয়েছে। নতুন প্রজন্ম ভুলেই গেছে যে সমাজ ব্যবস্থা বলে কিছু ছিল ভবিষ্যৎ প্রজন্মরা হয়তো জানবেই না যে সমাজ কি সমাজ বলে কিছু ছিল তাদেরকে সমাজের উদাহরণ দিতে হলে কিছু ভিডিও আর্ট তৈরি করে দিতে হবে বাস্তবে তাদের সমাজব্যবস্থা দেখানোর কখনো সম্ভব হবে না।

বর্তমান সমাজ ব্যবস্থার বিষয়টা এমন হয়ে গেছে যে মা আমাদের মায়ের জাতি বেশ্যা বানালো কে এই সমাজে সতীর ছেলে খদ্দের সেজেছে অন্যের মা যা করে করুক আমার মা কিছু না করলেই হল। অন্যের বউ যা করে করুক আমার বউ কিছু না করলে হল। অন্যের বোন যা করে করুক আমার বোন কিছু না করলে হল। আমি সতীর ছেলে হয়ে অন্য মায়ের কাছে যাচ্ছি শুতে আমি সতীর স্বামী হয়ে অন্যের কারো বউ এর কাছে যাচ্ছি শুতে। আমি সতীর ভাই হয়ে অন্য কারো কাছে যাচ্ছি শুতে। বিনিময়ে তারা শুধু চায় টাকা এই বিনিময় করতে গিয়েই আমাদের মত ভদ্র সমাজের ভদ্র বেশ ধারী কিছু লোক তাদের প্রলোভন দেখিয়ে খারাপ হতে বাধ্য করি কিন্তু আমাদের ঘাড়ে কোন দোষ রাখি না আমরা তাদের ঘাড়ে চাপিয়ে দিই এটাই হলো বর্তমান সমাজ ব্যবস্থা।

মানব জীবনকে আমরা তিনটি কালে বিভক্ত করে থাকি। তার মধ্যে সবচেয়ে উত্তম হলো যৌবনকাল বা যুবক সময়। যুবক থাকা কালীন সময়ে আমরা একত্র হয়ে যুবসমাজ গঠন করতে পারি। আমরা যেহেতু সমাজবদ্ধ জীব মানুষ সেহেতু আমরা যুব সমাজেরই একটি অংশ যারা যুবক সেই ক্ষেত্রে আমরা উন্নত রাষ্ট্র বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারি ।