শিক্ষনীয় গল্প পার্ট ২
এক পলক খুশির জন্য অধীর আগ্রহে দীর্ঘ সময় কাটিয়ে দিচ্ছে। এক পলক খুশি আসছে না হঠাৎ এসেও মিলে যাচ্ছে কারণ সে পলকের সঙ্গে সে মিলছে না অথবা সে পলক সেই খুশি কে চিনে নিতে ব্যর্থ হচ্ছে। তার কাছে হয়তো হাজার পলক খুশি উঁকি দিয়ে চলে যাচ্ছে তাই খুশি কে চিনতে শিখুন। খুশি চিনলে এক দৃষ্টু খুশি পা কিনা জানিনা তবে এক পলক খুশি নিশ্চয়ই পাবে ইনশাআল্লাহ।
কাছের মানুষকে এক পলক দেখে মনকে শান্ত রাখার নাম ভালোবাসা একজন ভুল করে সুখের আশায় একটি যুবতী মেয়েকে ভালবেসে ফেলে। সে নিজেকে বারংবার জিজ্ঞেস করে যে সে কি ভুল করছে নাকি ঠিক। তার কাছে সঠিক উত্তর তার মত করে কখনোই সে পায় না যদিও পাই মেনে নিতে পারে না মেনে নিতে গেলেই অনেক কষ্ট পাই। কিন্তু যে সুখের আশায় মেয়েটিকে ভালোবাসে সে সুখ তো সে পাইনা বরং বারংবার লাঞ্চিত হয় এবং কষ্ট পায়।
তারপরেও যুবকটি মেয়েটিকে অন্ধের মত বিশ্বাস করে এবং ভালোবাসে। মেয়েটির ভালোবাসা পাওয়ার আশায় সে সব কষ্ট মেনে নেয় সামান্য সুখের আশায় কারণ সে তাকে এক পলক দেখে যে সুখ অনুভব করে তা অন্য হাজার পলোকেও সে পাইনা। তাই এক পলক সুখের আশায় সে এক বুক কষ্ট কে বহন করে কারণ তার কাছে সামান্য সুখটুকু বুক ভরা কষ্টের চেয়ে দামী। যুবকটি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে যে মেয়েটি তাকে কোন এক সময় বুঝবে।
ছেলেটির আশা দিন দিন বেড়েই চলেছে ছেলেটি নিজেকে সবসময় বোঝাতে চেষ্টা করে তুমি তোমার মত ভালবেসে যাও মেয়েটি কখনো না কখনো তোমাকে ভালবাসবে এবং তোমার চেয়েও হয়তো বেশি ভালবাসবে। কিন্তু দীর্ঘদিন কেটে যাওয়ার পরেও সেদিন আর ফিরে আসে না যে দিনের আশায় এতদিন বুক বেঁধে ছিল ভালবাসায়। সে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারছিল না যে সামান্য সুখের আশায় বুক ভরা কষ্টের বোঝা আর কতদিন বইবে।
মেয়েটির অবহেলা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছিল ছেলেটিও দিন দিন তার কষ্টের অনুভূতিটা বুঝতে পারছিল কারণ বোঝার উপরে শাকের আঁটিও ভারি হয়ে যায়। এমনই একটি ঘটনা ঘটে হঠাৎ মেয়েটি বলে আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে তুমি আমাকে ভুলে যাও। ছেলেটি নিস্তব্ধ হয়ে যায় অনেক কিছু বলতে চাই কিন্তু কিছুই বলে না কারন সে বিষাক্ত তীর ছুড়ে তাকে ঘায়েল করে ফেলেছে।
ছেলেটি দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে বলে এটা কি তোমার পরিবারের সিদ্ধান্ত না তোমার।
মেয়েটি বলেঃ এটা আমার পরিবারের সিদ্ধান্ত ।
ছেলেটি বলেঃ তুমি কি চাও?
মেয়েটি বলেঃ আমার পরিবারের কথা আমাকে মেনে নিতে হবে।
ছেলেটি বলেঃ তোমার সঙ্গে তেমন কথা ছিল না।
মেয়েটি বলেঃ তো কেমন কথা ছিল?
ছেলেটি বলেঃ এমন কোন সিদ্ধান্ত আসলে তোমার আমার সঙ্গে যাওয়ার কথা ছিল তোমার পরিবারের কথা শোনার কথা ছিল না।
মেয়েটি বলেঃ আমি তোমাকে এখন আর ভালোবাসি না।
ছেলেটি বলেঃ নাকি আমার চেয়েও ভালো কাউকে পেয়েছো?
মেয়েটি বলেঃ তোমার চেয়ে ভালো বলতে!
ছেলেটি বলেঃ আমার চেয়ে ভালো কাউকে পেলেই তো তোমার আমাকে ভালো না লাগার কথা।
মেয়েটি বলেঃ যাই হোক আমার পরিবারের কথাই আমাকে মানতে হবে আমি তোমার সঙ্গে আর কথা বলতে চাই না।
ছেলেটি বলেঃ তুমি আমায় ভুলে থাকতে পারবে?
মেয়েটি বলেঃ না পারার কি আছে!
ছেলেটি বলেঃ আমার তো কষ্ট হবে!
মেয়েটি বলেঃ তুমি তোমার কষ্ট নিয়ে থাকো আমার সঙ্গে যোগাযোগ করবে না।
ছেলেটি বলে হয়তো আমি ভুল করেছি তোমায় ভালোবেসে তুমিও ভুল করবে আমায় ছেড়ে গিয়ে আমার পরিবর্তে হয়তো বা পেয়ে যাবে তুমি অন্য কাউকে প্রয়োজন পূরণে সে হয়তো বা আমার চেয়ে থাকবে এগিয়ে অথবা পিছিয়ে কিন্তু আমার মত ভালোবাসা কখনোই তুমি পাবে না। তোমার ভাগ্যে হয়তো সুখ নেই অথবা আমার সুখ নেই অন্য কারো সুখে তুমি হয়তো সুখী হবে। কিন্তু অপূর্ণতা তোমায় সব সময় তাড়া করে বেড়াবে। কারণ আমি তোমার পূর্ণতার শ্রেষ্ঠ হাতিয়ার মেয়েটি ছেলেটির কথাগুলো কিছুই বুঝতে পারে না।
মেয়েটি ছেলেটির কোন কথা পরবর্তীতে আর বুঝতে না পেরে বিতর্ক না বাড়িয়ে সেখান থেকে চলে যায়। দুজনের মধ্যে আর কোন ধরনের যোগাযোগ তৈরি হয়নি ছেলেটি মনে করে মেয়েটির বিয়ে হয়ে গেছে। দীর্ঘ সময়ই বাড়ি থেকে না বেরোনোর পর হঠাৎ সে সিদ্ধান্ত নেয় পৃথিবী ভ্রমণে বেরিয়ে পড়বে এবং সে একজন টুরিস্ট হওয়ার সকল কার্যক্রম শেষ করে ফেলে এবং সে পৃথিবীর উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ে। তার কাছে পাহাড় যেন সমান হয়ে যায় বরফ যেন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মরুভূমি যেন শীতল হয়ে যায় তার কাছে আবহাওয়া লীলা খেলা প্রকৃতির ভারসাম্য কোন কিছুই গ্রহণযোগ্যতা পাইনা।
কারণ সে যে কষ্ট পেয়েছে তার কষ্ট ভীষণ যন্ত্রণাদায়ক এবং জ্বালাময় ছিল সে জ্বালায় জ্বলে সে তার নিজের মায়াবী মনটাকে নরম হৃদয়টাকে বীভৎস এবং কট্টর করে ফেলেছে। সে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করার পর সফল হয় এবং তার সফলতার গুণগান দেশ - বিদেশে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু সে সব কিছুর পরেও সামান্য সুখের জন্য কষ্ট পাই সামান্য সুখ টুকু তার কাছ থেকে যেন হারিয়ে থাকে। সে সেই সুখের আশায় অনেক কিছু করার চেষ্টা করে কিন্তু মেয়েটির একটি কথার কারণে সে পেরে ওঠে না মেয়েটি বলেছিল তুমি আমার সঙ্গে আর কখনো যোগাযোগ করবে না এ কথাটির কারণেই এত দূরত্ব।
নিজের মনকে স্থির করে অনেক বোঝানোর পরে সে সিদ্ধান্ত নিল দেশে ফিরবে এবং সে মেয়েটির সঙ্গে যোগাযোগ করবে। যে কথা সেই কাজ খুব দ্রুত মেয়েটির সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করার জন্য বেরিয়ে পড়ল। সরাসরি মেয়ের বাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হল এবং সে দেখল যে মেয়েটি এখনো অবিবাহিত রয়েছে। এবং সে যে বিয়ের কথা বলেছিল তা পুরোটাই মিথ্যা। মিথ্যে বলার পেছনেও তার কিছু কারণ ছিল সে হারাম সম্পর্কে থাকার কারণে ভেতরে ভীষণ কষ্ট পাচ্ছিল যে কারণে ছেলেটিকে কষ্ট না দিতে চাওয়ার কারণে বা বেশি কষ্ট যেন না পায়। সে কারণে প্রথম দিকে অবহেলা করে এবং পরবর্তীতে বলে যে তার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে।
কিন্তু মেয়েটি জানে না এই কথাতে সে বেশি কষ্ট পেয়েছে সে মেয়েটি যদি বলতো যে সে তাকে বিয়ে করতে চায় তবে সে হয়তোবা তৎক্ষণাৎ বিয়ে করে নিত। কিন্তু তার সফলতার শীর্ষে হয়তো বা আর কখনোই পৌঁছানো হতো না তার ভাগ্যে ছিল তাই সে রাজ্য এবং রাজকন্যা দুইটাই পেল। সবাই এত ভালো কপাল নিয়ে জন্মায় না ওর ভাগ্য ভালো ও সামান্য কষ্ট পেয়েছে কিন্তু অসামান্য না সুখ পেয়েছে সে জানে না। পরবর্তীতে ছেলেটি নগদ মহারানা পরিশোধ করে মেয়েটিকে বিয়ে করে নেয়। এবং তারা সুখের সংসার করতে থাকে।
তাই অবশ্যই নিজেকে জড়িয়ে না ফেলে নিজেকে জড়িয়ে নিতে হবে প্রকৃতির সাথে মিশিয়ে নিতে হবে। নিজেকে কর্মের সাথে এবং সফল হতে হবে তবেই তুমি তোমার সফলতার পূর্ণতার সাধ পাবে তবেই তুমি তোমার সব কাছের মানুষদের কাছে পাবে। তোমার চাওয়ার চেয়েও বেশি তুমি তোমার প্রিয় মানুষদের কাছে পাবে। তাই কষ্ট পেয়ে নিজেকে জড়িয়ে না ফেলে নিজেকে গড়ে তোল গড়িয়ে নাও তোমার মত করে।
এম এ এস ওয়ার্ড স্টোরি এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url