তথ্য আদান প্রদানের ঝুঁকি কি কি - অনলাইনে তথ্য আদান-প্রদানে নিরাপত্তার কতটুকু ঝুঁকি থাকতে পারে

বর্তমান সময়ের এই আধুনিক যুগে আমরা প্রায়ই অনেকেই অনলাইনে সাথে জড়িত আমরা অনলাইনে অনেক ডেটা শেয়ার করি বা তথ্য পারাপার করি যার ফলে আমাদের দুর্বলতার সুযোগগুলো কাজে লাগিয়ে আমাদের পরিচয় চুরি করা, আমাদেরকে ফিশিং আক্রমণের কবলে ফেলা, আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন করতে পারে।


তথ্য আদান প্রদানের ঝুঁকি কি কি - অনলাইনে তথ্য আদান-প্রদানে নিরাপত্তার কতটুকু ঝুঁকি থাকতে পারে

অসাধু হ্যাকাররা আপনার নেটওয়ার্কের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে আপনার নেটওয়ার্কে প্রবেশ করার পরে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো নিতে সক্ষম হয় এবং এইসব তথ্য দিয়ে আমাদেরকে বিভিন্নভাবে ব্ল্যাকমেল করতে পারে। আমাদের গোপন বিষয়গুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করতে পারে এবং আমাদের মানহানি করতে পারে। যার ফলে আমাদের গোপন বিষয়গুলো উন্মোচিত হয়ে পড়ে যার ফলে আমরা আর্থিক সামাজিক এবং পারস্পরিক সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকি।

ফিশিং আক্রমণের মাধ্যমে আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য যেগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ আমাদের জন্য যেমন আমাদের বিভিন্ন লকের পাসওয়ার্ড ক্রেডিট কার্ডের পাসওয়ার্ড সহ বিভিন্ন তথ্য তারা চুরি করতে সক্ষম হয়। তারা সাধারণত এ ধরনের আক্রমণে ভুয়া ওয়েবসাইট এবং ইমেইলের মাধ্যমে অনলাইন ইউজারদের বা অনলাইন ব্যবহারকারীদের তথ্য চুরি করতে সক্ষম হয়। যার ফলে আমরা বিভিন্ন সময় লাঞ্চিত হয়ে থাকি এবং আর্থিক ও সামাজিক সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকি।

অনলাইন হ্যাকিং এর স্বীকার ব্যক্তিগতভাবে খুবই কম হয়ে থাকে অনলাইন হ্যাকিং এর শিকার বিশেষ করে বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো হয়ে থাকে এবং তারা অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে থাকে। ম্যালওয়্যার এবং ভাইরাস কে ব্যবহার করে বিভিন্ন হ্যাকাররা বিভিন্ন কম্পিউটার সিস্টেমে আক্রমণ করে তাদের তথ্যগুলো চুরি করে পাশাপাশি ধ্বংস করে এবং বিপদজনক অবস্থানে নিয়ে যায় যা আমাদের জন্য সামাজিকভাবে বিশেষ ক্ষতি সাধন করে থাকে।

দুর্বল পাসওয়ার্ড এবং আমাদের সিকিউরিটি সেটিং এর দুর্বলতার কারণে অনেক হ্যাকার অবৈধভাবে এক্সেস পেয়ে যায় তারপর পরবর্তী সময়ে তারা আমাদের ক্ষতি সাধন করে থাকে। আমাদের অনেককেই প্রতারণার ফাঁদে ফেলে তারা আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে এবং বিভিন্ন কৌশলে সংগ্রহ করে তারপরে আমাদের সমস্যার সম্মুখীন করে বা বিপদে ফেলে দেয়।

এই ঝুঁকিগুলো কমানোর জন্য কিছু প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত হবে

শক্তিশালী এবং জটিল পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা উচিত।

নিয়মিত সফটওয়্যার আপডেট করা এবং পরিচর্যা উচিত।

এনক্রিপশন ব্যবহার করা যাতে আমরা সুরক্ষিত থাকতে পারি।

সন্দেহজনক ইমেল এবং লিঙ্ক থেকে দূরে থাকা এবং প্রতিটা লিংকে দেখে শুনে প্রবেশ করা।

দ্বি-স্তরের প্রমাণীকরণ (টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন) ব্যবহার করা এবং এক্সপার্ট কারো সঙ্গে যোগাযোগ করা।

নিয়মিত নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ এবং আত্ম সচেতনতা বৃদ্ধি করা যাতে আমাদের দুর্বলতার সুযোগ কেউ না নিতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম এ এস ওয়ার্ড স্টোরি এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪