প্রেমকে ছিনিয়ে নেওয়ার এক রহস্যময় গল্প
মিলি রিলেশনশিপে থাকা অবস্থায় বিয়ে করে।সে ভাবে বিয়েটি যদি কোন ভাবে ভেঙ্গে যায় তবে সে বিকল্প হিসেবে রবিনের সঙ্গে ঘর বাধবে । কিন্তু মিলি জানতো না তার ঘর ভাঙ্গার জন্য তার রবিনী যথেষ্ট যা কথা তাই হল মিলির আর সুখে স্বাচ্ছন্দে সাজিদের ঘর করা হলো না।
ছেলেটি তার বিয়ের আগে সব ধরনের তথ্য সংগ্রহ করে । কিন্তু সাজিদের তথ্যের ভিতর কোনভাবেই মিলির কোন রেলেসিয়েপের কথা উঠে আসেনি । সে স্বাভাবিক মনে সাধারণ মেয়ে ভেবে বিয়ে করতে যায় । বিয়ের অনুষ্ঠানে শেষ হওয়ার পরে বাড়ি ফেরার পথে হঠাৎ রবিন সাজিদের ফোন হ্যাক করে নেয় এবং বলে মিলি আমার ।তাই আমি মিলিকে চাই তোমার থেকে মিলিকে চাওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে।কারণটি হল মিলি বলেছিল তার বাবা এই সম্পর্ক মেনে নেবে না ।
আর সে তার বাবার বিরুদ্ধে গিয়েও আমার সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হবে না । যেহেতু মিলিকে তার মন দেখে ভালোবেসে ফেলেছি তার মনের বিরুদ্ধে গিয়ে তো আমি কিছু করতে পারিনা । যে কারণে আমি তোমাদের বিয়েটা হতে দিয়েছি । কিন্তু এখন তোমাকে ছেড়ে দিতে হবে মিলিকে । সাজিদ কোনভাবেই রাজি হয় না । সাজিদ রবিনকে সাধারণ একজন মনে করে কিন্তু সাধারণত কেউ জানে না রবিন সম্পর্কে । কিন্তু রবিন সে তার নিজের সক্ষমতা সম্পর্কে অবহিত । সে আবারো বলে তুমি মিলিকে ছেড়ে দাও । কিন্তু সাজিদ কোন ভাবে রাজি হয় না ।
শেষবারের মতো সাজেদকে সতর্ক করে দিয়ে বলে তুমি যদি মিলিকে আমার হাতে তুলে না দাও তাহলে তোমার মৃত্যুর জন্য আমি কোনভাবেই দায়ী নয় । সাজিদ না বুঝেই বলে তোমাকে আমি দেখে নিব কিন্তু পাশে বসে থাকা মিলি বুঝতে পারে কে ফোন দিয়েছে । কিন্তু মিলিও জানতো না রবিন সম্পর্কে সম্পূর্ণটা । রবিন রোবোটিক সিস্টেমের অটোমেটিক স্নাইপার গান দিয়ে সাজিদের কপালে গুলি করে । রবিন তার নিজের প্রচেষ্টায় সাজিদের ফোনের স্পিকার অন করে এবং মিলিকে বলে ।
তুমি বলে ছিলে তোমার বাবার কাছ থেকে যেন আমি তোমাকে ছিনিয়ে না নেই । তুমি বলেছিলে তোমার বাবার মনের বিরুদ্ধে তোমার কোন কিছু করা সম্ভব না । কিন্তু আজ তো আমি তোমার বাবার কাছ থেকে তোমাকে নিচ্ছি না । আজকে আর তুমি তোমার বাবার নেই । তুমি যার আমি তার থেকেই নিয়েছি । তোমার আশা চাওয়া আমি কোন কিছুই জানতাম না আর আমি জানতেও চাই না । এখন থেকে তুমি আমার তুমি কি নিজ থেকে আমার সঙ্গে আসবে মিলি বলে না ।
যেহেতু রবিন সাজিদের ফোন হ্যাক করেছিল সে ক্ষেত্রে কোন ধরনের তথ্য বা প্রমাণ কারো কাছে নেই । যে সাজিদকে কে খুন করেছে সম্পূর্ণ তথ্য না থাকলেও সবাই জানতো মিলির একজন প্রেমিক রয়েছে । সেক্ষেত্রে রবিন মনে করে তার কোন ধরনের তথ্য তাদের কাছে না থাকলেও তাকেই আটক করা হবে । তাই সে মিলিকে সেখান থেকে জোর করে নিয়ে যাই । তারপর তার পূর্ব পরিকল্পিত স্থানে অবস্থান করে।তারা দীর্ঘদিন সেখানেই গোপনে অবস্থান করে । রবিনএকজন ভালো মানের হ্যাকার ।
সেও তো জানে কোন ধরনের পথ অবলম্বন করলে সাইবার for ce তার লোকেশন কোনভাবে সনাক্ত করতে পারবেনা । সে সেভাবে লোকেশন গোপন করে বা নেটওয়ার্কের বাইরে অবস্থান করে । কিন্তু মিলের সঙ্গে তার কোন ধরনের সম্পর্ক গড়ে ওঠে না । দীর্ঘদিন কেটে যাওয়ার পরে রবিন তাকে বোঝাতে সক্ষম হয় । যে তার পরিবারের কাছ থেকে তাকে ছোট করে নেওয়া হয়নি । সাজিত তাকে সুরক্ষিত রাখতে পারেনি । তার সুরক্ষা সুনিশ্চিত্তে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারেনি ।
সে ব্যর্থ সে ব্যর্থ বলেই তো আজ আমি সফল । ভালোবাসার মানুষকে ব্যর্থতার চাদরে মুড়িয়ে প্রতিপক্ষকে সহযোগিতা করছ এটা ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে বিদ্রোহ ছাড়া কিছুই নয় । তুমি বিদ্রোহী আমি খুনি হতে পারি । কিন্তু আমি তোমার বিদ্রোহের কারণেই খুনি হতে বাধ্য হয়েছি । সাজিদের মৃত্যুর জন্য আমি দায়ী নয় ।সে নিজে তুমি নিজে এবং তোমার পরিবার । তোমাকে বলেছিলাম আমি তোমাকে চাই যেহেতু তোমাকে পাওয়ার সক্ষমতা রয়েছে ।
সেহেতু তোমাকে হারিয়ে নিজেকে কষ্টে নিপতিত করার কোন মানেই হয় না । তুমি সবই ঠিক করেছ শুধু ভুল করেছ দুইটা ।একটা আমায় ভালবেসে আরেকটা আমায় পরিপূর্ণ না চেনে । তোমার উচিত ছিল আমার সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার আগে ভাবা যে তুমি এ সম্পর্কের পূর্ণতা দিতে পারবে কিনা । তুমি ভাবনি তুমি তোমার মোহ মায়ার টানে তোমার মনের খায়েশ পূরণে আমাকে ব্যবহার করেছো । আমি যেমন কোন পণ্য না যে তুমি আমাকে ব্যবহার করে ফেলে দিবে।
তুমিও কোন পণ্য না যে আমার মন চাইলেই তোমাকে উঠিয়ে নিলাম । কিন্তু যখন তুমি আমাকে পণ্য হিসেবে প্রমাণ করে দিয়েছো তখন আমিও তোমাকে পণ্য হিসেবে গ্রহণ করে নিয়েছি । তোমারওই ভুল ছিল তোমার ভুলের মাশুল নিশ্চয়ই তোমাকেই দিতে হবে । আর আমি যতটুকু ভুল করেছি নিশ্চয়ই আমার ভুলের মাশুল আমাকেই দিতে হবে । মিলি কাঁদো কাঁদো সুরে বলে আমার কি অপরাধ ছিল । সাজিদ বলে আমি তো তোমাকে প্রথমেই বলেছি তোমার দুটো ভুল ছিল । প্রথমটা আমায় ভালোবাসা আর দ্বিতীয়টা আমায় পরিপূর্ণ চিনতে না পারা ।
তুমি এখনো জানো না আমি কেমন তুমি আমায় যেমন দেখছো সেটা তোমার জন্য ।আমি তোমায় ভালোবেসে আমার অন্ধকার পথকে বিসর্জন দিয়েছি । তোমার আলোর আশায় আর তুমি আমায় আবারও সেই অন্ধকার নিয়ে এসে রাখলে । তুমি আমার জীবনে আসার আগে আমার কোন ভাল লাগা ভালোবাসা ছিল না । আবার ছিল সেটা হল অন্ধকার আমি অন্ধকার জগতের অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান দখল করে আছি।যা তোমাদের জ্ঞান সীমার বাইরে জানতে চেয়ো না যতটুকু বুঝতে পারবে বুঝে নিও । যেহেতু সাথেই আছো নিশ্চয়ই কিছু না কিছু বুঝে নিবে ।
মিলি বলে তুমি একজন খুনি কোনোভাবেই খুনের সঙ্গে থাকা আমার দ্বারা সম্ভব না ।তুমি তাকে নির্দয়ের মতো খুন করেছ আমাকে করতে কতক্ষণ । রবিন বলে তোমাকে খুন করার ইচ্ছে হলে তোমাকে প্রথম দেখাতেই তোমার সব লুটে নিয়ে তোমাকে খুন করে ফেলতাম । কিন্তু করিনি ইনশাল্লাহ আর করবোনা যতক্ষণ না তুমি তোমার সীমা অতিক্রম করছ । আমি আশা করবো তুমি তোমার আনুগত্যের সম্পূর্ণটা আমাকে দিবে স্বামী হিসেবে যতটুকু দেওয়া প্রয়োজন । আর তুমি আমাকে খুনি বললে আমি তো তোমাকে বলেছি তার মৃত্যুর জন্য তোমরা দায়ী । তাহলে আমি কিভাবে হই খুনি ।
মিলি আর কোন কথা বলে না নিশ্চুপ মিলিকে রেখে বাইরে চলে গেল রবিন । কয়েকদিন তার আর মিলির সঙ্গে কোনো দেখা হয় না । মিলিকে বন্দী অবস্থায় একটি ঘরের ভেতরে রেখেছে । সেখানে তার খাবার ও পানিও পৌঁছে যায় । মিলি নিরুপায় হয়ে ঘরের এক কোণে বসে বসে শুধু কাঁদে । কাঁদা ছাড়া তার কোন উপায় ছিল না । কারণ সে নিজেও জানে যে সে ভুল করেছে । আর তার ভুলের মাশুল তাকেই দিতে হবে । তার ভীষণ লোভ ছিল সে তার লোভের কারণে মৃত্যু পথের পতিত হচ্ছে ।
ক্ষণে ক্ষণে মৃত্যুকে দেখতে পাচ্ছে । সে ভীষণ ভয়ে থাকছে ও কাঁদছে দীর্ঘ ২২ দিন কেটে যাওয়ার পরে রবিন ফিরে আসে । তার ডেরাই বসে থেকে তার অন্ধকার জগতের সব ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে । মিলির সঙ্গে রবিনের টা দুইটা করে কথা শুরু হয় । তাদের সম্পর্ক পর্যায়ক্রমে দিনে দিনে ঠিক হয়ে যায় এবং তারা সুখে শান্তিতে সংসার শুরু করে । মিলির সুখ দীর্ঘস্থায়ী হয় না । কিছুদিন পরেই রবিনের কাছে ইনফরমেশন আসে সে যে জায়গায় অবস্থান করছে ওই জায়গার আশেপাশে প্রশাসন তাদের অপারেশন পরিচালনা করবে ।
সেই তথ্য পেয়ে যাওয়াই তার নিজের স্থান ত্যাগ করে অন্য একটি গোপন স্থানে চলে যায় । কিন্তু মূলত প্রশাসনের এই অপারেশনটি তাকে খোঁজার জন্য ছিল না । কিন্তু সে স্থান ত্যাগ করার সময় প্রশাসনের নজরে আসে এবং প্রশাসন তার পিছনে যেতে শুরু করে । প্রশাসন তারপরও নতুন ডেরাকে ঘিরে ফেলে । রবিন বুঝতে পেরে প্রস্তুতি নিয়ে নেয় এবং প্রশাসনের সঙ্গে এক প্রকার তার যুদ্ধ হয়ে যায় । যুদ্ধে সব প্রশাসনয় মারা যায় কয়েকজন পালাতে সক্ষম হয় ।
তারা এ ইনফরমেশন উপমহলে পাঠালে তারা রবিনকে ধরার জন্য সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে । রবিনকে ঘিরে ফেলার পর রবিনের সঙ্গীরা পিছন থেকে আক্রমণ করে এবং প্রশাসনদের কুপোকাত করতে সক্ষম হয় । এই স্থান প্রশাসন চিনে যাওয়ার ফলে সে অনেক দূরের একটি স্থানে যেতে শুরু করে কিন্তু প্রশাসন ওভার এলার্ট হওয়ার ফলে সে বেশি দূর যেতে পারে না । কিছুদূর যেতেই প্রশাসনের সঙ্গে তাদের বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয় । রবিন কিছু বুঝে ওঠার আগে একটি স্নাইপারের গুলিতে তার মৃত্যু হয়এখন মিলি আবারো কষ্ট পাই কারণ সে যাকে চাচ্ছে তাকেই হারাচ্ছে ।
না পারছে এখন কোন স্থানে অবস্থান করতে না পারছে তার নিজ অবস্থানে ফিরে যেতে । প্রশাসনকে সবকিছু খুলে বলার পরে মিলিকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয় । মিলি ধীরে ধীরে মানসিকভাবে বিকলাঙ্গ হয়ে পড়ে । কারণ রবিন বলেছিল তুমি অনেক কিছুই দেখতে পাবে বুঝতে পারবে । মিলি তাই দেখেছিলও বুঝেছিল সে এমন কিছু দেখেছিল যে সাধারণ মানুষের পক্ষে সম্ভব না । কিন্তু সে নিজেও জানে না সে জিনিসগুলো এখন কে বা কারা ব্যবহার করবে ।
কিন্তু সে এটা জানে তা দ্বারা মানুষের ক্ষতি সাধন হবে । সে আবার পুলিশের কাছে যায় এবং সবকিছু তাদের খুলে বলে ।প্রশাসন আবার তৎপর হয়ে ওঠে এবং তাদের আস্তানাগুলো ধ্বংস করতে সক্ষম হয় । কিন্তু প্রশাসন এখনো জানতে পারেনি রবিন জীবিত আছে না মৃত । কারণ রবিনের লাশ খুঁজে পাওয়া যায়নি পরবর্তীতে রবিন কেউ খুঁজে পাওয়া যায়নি। রবিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র যেটার কথা মিলি বারবার করে বলেছিল সেটা কেউ খুঁজে পাওয়া যায়নি ।
প্রশাসনের কাছে একটি রহস্য তখনো থেকে গেছে । মিলি সব রহস্যের উন্মোচন করে দেওয়ার কারণে সেই অস্ত্রটা দিয়েই মিলির পুরো বাড়িসহ মিলিকে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল । কিন্তু মিলি এটা জানত না যে তার কাছে এ ধরনের অস্ত্র কতগুলো রয়েছে । কারণ সে দেখেছিল একটা এবং প্রশাসনকে বলেছিল একটা । তাই প্রশাসন নিশ্চুপ হয়ে যায় এবং নির্ভয়ে দিন কাটাতে শুরু করে । কিন্তু রবিন প্রশাসনের উপর ক্ষিপ্ত এবং প্রতিশোধের আগুনে জ্বলজ্বল করে জ্বলছে । সে এক ও বিশেষ বাহিনী গড়ে তোলে কিছুদিন পার হওয়ার পরে হঠাৎ সে নিজেকে মেলে ধরে ।
১৩০০০ প্রশাসনকে হত্যা করে এবং সে আবার হারিয়ে যায় । সে ১৩০০ প্রশাসনের সঙ্গে প্রায় ৩৫০ সাধারণ মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায় । সে সেই সাধারণ সাড়ে ৩৫০ মানুষের জন্য নিজেকে দায়ী মনে করে এবং অনুতপ্ত হয় । পরবর্তীতে সে এই পথ আবার ছেড়ে দেয় এবং সাধারণ জীবন যাপন শুরু করে । সে বারবার বলেছিল প্রশাসনের উচিত হয়নি আমার উপরে গুলি চালানো আমি নিরুপায় তারা আমার সবকিছু শেষ করে দিয়েছে । আমি কিভাবে তাদেরকে স্বাভাবিক রাখি।
এম এ এস ওয়ার্ড স্টোরি এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url