রাজশাহীর মানুষ কেমন
রাজশাহীর মানুষ কেমন
মানুষতো মানুষের মতই কখনোই অমানুষ হতে পারে না । আর অমানুষ কখনোই মানুষ হতে পারে না । তার পরেও অঞ্চল ভেদে এবং অঞ্চলের সামাজিক আইন-কানুনের উপরে নির্ভর করে । পূর্ব পুরুষদের আচরণবিধি ও আদর আপ্যায়নের উপরে নির্ভর করে । যে যেমন শিখে সে তেমনভাবেই নিজেকে উপস্থাপন করে থাকে । যারা নম্রতা শিখে তারা অবশ্যই নম্রভাবেই চলাফেরা করতে পছন্দ করে । কিন্তু যারা উদ্ভত পূর্ণ পরিবেশে বড় হয় তারা কোনভাবেই নিজেদেরকে নম্রভাবে উপস্থাপন করতে পারেনা । যে কারণে বলা যায় যে কোন মানুষের আচরণ কোন এলাকার উপরে খুব বেশি প্রভাব না ফেললেও বোঝা যায় । অনুমান করা যায় যে কোন অঞ্চলের মানুষ কেমন হতে পারে এবং তারা কেমন হয়ে থাকে । তারা নিজেদেরকে কেমন ভাবে উপস্থাপন করে ।
রাজশাহীর মানুষ সাধারণত নম্র ভদ্র ভাবে চলাফেরা করতে পছন্দ করে । তারা সৎ পথে থাকে তারা তার চেয়েও বেশি পছন্দ করে সৎ পথে থাকতে । স্বাচ্ছন্দে জীবন যাপন করতে আগ্রহ প্রকাশ করে থাকে । তাদের পরিবারের কাছে তারা তাদের সম্মান কে বেশি ভালোবাসে যতটা ঘৃণা করে পাপকে , অন্যায়কে এবং জুলুমকে ।যে কারণে রাজশাহী অঞ্চলে জালিমের সংখ্যা সামান্যই রয়েছে । রাজশাহীর মানুষ ঊদ্ধতপূর্ণভাবে চলাফেরা করে না । তারা সাধারণভাবে জীবন যাপন করতে পছন্দ করে এবং তারা নিজ ঐতিহ্য সন্তুষ্টি প্রকাশ করে থাকে ।
রাজশাহীর মানুষ মেহমান আপ্যায়নে বেশ মনোযোগী এবং গুরুত্ব দিয়ে থাকে । রাজশাহীর মানুষ খুব ভালো মতন মেহমানদারি করতে পারে । রাজশাহী অঞ্চলটি মূলত স্বয়ংসম্পূর্ণ অঞ্চল না হলেও এটি একটি নির্ভরযোগ্য অঞ্চল যা সামান্য আমদানি করে চলতে সক্ষম । রাজশাহী অঞ্চলে সব ধরনের শাকসবজি ও ফসল হয়ে থাকে এবং খুব ভালো মতন হয়ে থাকে । যে কারণে রাজশাহীর মাটিকে সোনার সঙ্গে তুলনা করা যায় ।
রাজশাহীর মাটিতে যে কোন ধরনের উদ্ভিদ রোপন করলে তা খুব ভালো মতো জন্মে । যে কোন ধরনের যে কোন ফসল রাজশাহীর আবহাওয়া ও মাটিতে দ্রুততার সঙ্গে বেড়ে ওঠে । তাছাড়াও রয়েছে রাজশাহীর বিখ্যাত আম । আমের কথা না বললেই নয় আম যেন রাজশাহীর এক অনন্য উদাহরণ । আমের নাম নিতে গেলে রাজশাহীর নাম নিতে হয় না এমন মানুষকে খুঁজে পাওয়া কঠিন । বাংলাদেশসহ এশিয়ার অনেক মানুষ রাজশাহীর আমকে পছন্দ করে থাকে। তারা রাজশাহীর আমকে স্বাচ্ছন্দে ভক্ষণ করে থাকে ।
রাজশাহীর মানুষ ছলনা খুবই কম করে এবং মুসাফিরকে তার নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে বিশেষ সহযোগিতা করে থাকে । রাজশাহীর মানুষ বিপদগ্রস্ত মানুষকেও সাহায্য করতে বেশ আগ্রহী । তারা আগ্রহের সঙ্গে জাত ধর্ম নির্বিশেষে সবাইকে সাদরে সাধারণভাবে গ্রহণ করে থাকে । রাজশাহীর শহরটি প্রাকৃতিকভাবে অনন্য সবুজে ঘেরা এ শহরটি পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে । মনোমুগ্ধকর এই শহরে ঘোরার জন্য অনেক ধরনের পর্যটন এলাকা রয়েছে ।
রাজশাহী শহরের পাশ দিয়ে বয়ে চলা পদ্মা নদী রাজশাহী শহরের পর্যটন এলাকা হিসেবে বিবেচিত । যেখানে পর্যটক ঘুরতে আসে এবং তারা স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়ায় । রাজশাহী শহরকে শিক্ষার শহরও বলা হয়ে থাকে । কারণ এখানে সব ধরনের বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিকেল রয়েছে । যে কারণে রাজশাহীকে শিক্ষা নগরী বলা হয়ে থাকে। এখানকার মানুষের কর্মসংস্থান সাধারণত কৃষি । কৃষি নির্ভর এই বাংলাদেশে প্রায় সব শহরেই এখন আর কৃষি দেখতে পাওয়া যায় না । কিন্তু প্রায় সব শহরেরই গ্রামগুলোতে কৃষি কাজ হয়ে থাকে ।
খেজুর গুড় রাজশাহীতে বিপুল পরিমাণ উৎপাদিত হয়ে থাকে । যা দেশে এবং বিদেশে সরবরাহ করা হয়ে থাকে । তাছাড়াও রয়েছে রাজশাহীর বিখ্যাত আম যার নাম দেশ ও বিদেশে শোনা যায় । রাজশাহীর মানুষেরা পিঠা ও পুলিতে তাদের শীতকালীন উৎসবগুলো পালন করে থাকে । রাজশাহী একটি সৌন্দর্যমন্ডিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন শহর । পরিচ্ছন্নতার শীর্ষে রয়েছে রাজশাহী যে কারণে আপনারা নির্ভয়ে রাজশাহীতে ঘুরতে আসতে পারেন এবং রাজশাহীর প্রাকৃতিক নিদর্শনগুলি উপলব্ধি ও উপভোগ করতে পারেন । আপনার সময় আনন্দে এবং স্বাচ্ছন্দ্য কাটুক ।
এম এ এস ওয়ার্ড স্টোরি এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url