চুপ থাকা নিয়ে কবিতা
চুপ থাকা নিয়ে কবিতা
চুপ থাকা মানে কি বোবা হয়ে যাওয়া?
না কি মনের গভীরে কিছু শব্দ জমিয়ে রাখা?
চুপ থাকা মানে কি ভয় পাওয়া?
না কি সময়ের সাথে নিজেকে তৈরি করা?
চুপ থাকা মানে শক্তির জন্ম,
নিজেকে শোধন করে তোলার অদম্য ইচ্ছা ।
মনের কষ্টের এক মধুর কাব্য,
যা নীরবতার ভাষায় বলে দেয় ।
চুপ থাকা মানে লড়াইয়ের প্রস্তুতি,
আলোর অপেক্ষায় থাকা অন্ধকারের নীতি।
চুপ থাকা মানে ধৈর্যের গভীরতা,
সাহসের ভিতরে সৃষ্টির নীরবতা।
চুপ থাকা কে কখনো বোঝাই আত্মবিশ্বাস,
কখনো বা মনে সব হারানোর আঘাত।
কখনো চুপ থাকা শান্তির ভাষা,
কখনো তা রাগের সুপ্ত ভালোবাসা।
চুপ থাকা মানে নিজের সঙ্গে কথা,
নিজেকে বোঝার নিঃশব্দ ব্যথা।
চুপ থাকা মানে অব্যক্ত কিছু বলার,
কিংবা হয়তো সময়ের উপর ভরসা করার।
তাই চুপ থাকো যখন কিছু বলার নেই,
নীরবতাই কথা বলুক, যেটা তুমি পারো না দেখতে।
চুপ থাকার মাঝেই লুকিয়ে থাকে এক ভাষা,
যা শব্দহীন, তবে হৃদয়ে বাঁধে ভালোবাসা।
চুপ থাকি, নাকি সব বলে দিই?
নীরবতায় ডুবে যাই, নাকি শব্দের সমুদ্র ঢেউ তুলতে যাই?
চুপ থাকা কি ভয়ের চিহ্ন?
নাকি অন্তরের গভীরতার এক স্পষ্ট স্বাক্ষর?
চুপ থাকা মানে নিজেকে বোঝা,
মনের আবেগগুলো নিঃশব্দে খোঁজা।
এখানে নেই কোনো প্রতিশ্রুতি, নেই কোনো দাবী,
তবু নীরবতাই যেন জীবনের সেরা কবিতা কবি।
শব্দহীন এই অনুভূতি গড়ে এক নতুন ভাষা,
যেখানে নেই কোনো তর্ক, নেই কোনো ভালোবাসার আশা।
শুধু এক বুক নিঃশ্বাস, আর অন্তরের ব্যথা,
চুপ থাকা যেন হৃদয়ের এক অনন্ত কথা।
চুপ থাকলে হৃদয়ে জমে অসংখ্য কথা,
তাই যখন চুপ থাকি, মনে রেখো প্রিয়,
শব্দহীন ভালোবাসা কখনো ফুরায় না,
চুপ থাকা হৃদয় যে কোনো দিন ভোলায় না।
চুপ থাকা মানে কি কিছু না বলা?
না কি মনের কথাগুলো গভীরে লুকানো?
শব্দহীন এই নীরবতা কি বোঝাতে চায়,
যে কষ্টের গল্পটা কেউ কখনো শুনতে পায়?
যখন কিছু বলার থাকে না, তখন চুপ থাকি,
নীরবতাই হয়ে ওঠে মনের সঙ্গী, প্রিয় বাক্য।
কেউ বোঝে না, কেউ শোনে না তার সুর,
তবু নীরবতার বুকে লুকিয়ে থাকে অনুভবের ঘর।
চুপ থাকা মানে কখনো আশার প্রতীক,
যে ভেঙে পড়েও খুঁজে নেয় আলোর পথ ।
চুপ থাকা মানে কখনো নিজের সঙ্গে থাকা,
অন্ধকারেও নিজেকে খুঁজে পাওয়া।
তাই চুপ থাকি, সময়ের অপেক্ষায়,
একদিন হয়তো শব্দেরা পথ খুঁজে পায়।
তখন জানাবে এই নীরবতার ভাষা,
যা শব্দের চেয়ে অনেক বেশি ভালোবাসা।
নীরবতা মানে নয় শুধু শব্দহীনতা,
এতে লুকিয়ে থাকে আবেগের অগণিত ব্যাখ্যা।
কেউ বুঝতে পারে, কেউ পারেনা ,
চুপ থাকার মাঝে লুকিয়ে থাকে এক রহস্যময় ধাঁধা ।
যখন সব শব্দ থেমে যায়,
তখন চুপ থাকার সুরই সব বোঝায়।
চোখের জল নীরবে বলে যায় কথা,
যা উচ্চারণে ফোটে না, মনের ব্যথা।
তাই চুপ থাকি, হয় নিজের জন্য,
হয়তো ভালোবাসার সেই অমল প্রত্যয়।
শব্দহীন, তবু কত কথা বলা,
নীরবতার এই ভাষা হৃদয় ভোলা।
চুপ থাকা মানে কি হেরে যাওয়া?
নাকি নিজের ভেতরে নিজেকে খুঁজে পাওয়া?
শব্দহীন এক নদীর মতো,
নীরবতা বয়ে যায় নিরবধি পথ।
যখন বলার কিছুই থাকে না,
তখন নীরবতা সব কথা বলে।
চোখের আড়ালে যে গল্পগুলো থামে,
চুপ থাকার মাঝে সেগুলো বেঁচে থাকে।
চুপ থাকা মানে হৃদয়ের কষ্ট,
নিঃশব্দে বলা এক গভীর প্রতিশ্রুতি।
যা কেউ শোনে না, কেউ শোনে না,
তবু তা হৃদয়ে আগুনের মতো পোড়ায়।
নীরবতা হলো এক শক্তির ভাষা,
যা প্রমাণ করে অনেক কথারই অর্থহীন আশা।
চুপ থাকলে সময় নিজেই কথা বলে,
যা শব্দের বাঁধনে আটকানো যাই না।
তাই চুপ থাকি, শব্দের ভিড় এড়িয়ে,
নীরবতার গভীরে নিজেকে খুঁজে।
কখনো ভালোবাসা, কখনো কষ্ট,
নীরবতায় মিশে থাকে মনের সব অভিজ্ঞতা।
চুপ থাকা মানে কি শুধু শব্দ থেমে যাওয়া?
নাকি মনের গভীরে কিছু লুকিয়ে রাখা?
যেখানে কথার শেষ, শুরু হয় নীরবতা,
প্রকাশিত হয় হৃদয়ের চাপা ব্যথা।
চুপ থাকা মানে না দুর্বলতা,
বরং ধৈর্যের গভীর শক্তি।
যেখানে কথা না বলেও বোঝা যায়,
অন্তরে কত গভীর কষ্ট জমে থাকে ।
নীরবতার মাঝে প্রশ্ন থাকে অসংখ্য,
উত্তরের খোঁজে জেগে থাকে প্রত্যেক অনুভব।
প্রেমের কথা, অভিমানের ছায়া,
সব কিছু মিলে গড়ে তোলে নীরবতার মায়া।
তাই চুপ থাকা মানে নয় কিছুই ফুরিয়ে যাওয়া,
বরং নতুন আলোয় নিজেকে সাজানো।
নীরবতাই বলে দেয় মনের সব কথা,
যা শব্দের চেয়েও হয় অনেক গভীর ব্যাখ্যা।
শব্দ কখনো বোঝাতে পারে না সব,
কিন্তু নীরবতা জানায় হৃদয়ের গভীরতাকে।
যেখানে বলার কিছু নেই,
সেখানেই নীরবতায় মেলে মুক্তির ছোঁয়া।
তাই চুপ থাকি, সময়ের কাছে ঋণী হয়ে,
নীরবতায় দেখি জীবনের নতুন আলো।
এ এক শব্দহীন গান,
যা হৃদয়ের গভীরে বাজে অনবরত।
এম এ এস ওয়ার্ড স্টোরি এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url