দুইদিন বয়স শিশুদের শীতের সময় যত্ন নেওয়ার উপায়

শীতের সময় দুই দিন বয়সী শিশুর যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তাদের শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এখনও পুরোপুরি বিকশিত হয়নি। তাই শিশুকে উষ্ণ ও সুরক্ষিত রাখা জরুরি। নিচে বিস্তারিত উপায় তুলে ধরা হলোঃ


দুইদিন বয়স শিশুদের শীতের সময় যত্ন নেওয়ার উপায়

উষ্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করুন

শিশুর থাকার ঘরটি উষ্ণ রাখুন এবং ঠান্ডা বাতাস প্রবেশ করতে দিন না।

রুমের তাপমাত্রা ২৬-২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রাখার চেষ্টা করুন।

রুম হিটার ব্যবহার করলে সেটি নিরাপদ দূরত্বে রাখুন এবং রুম অতিরিক্ত শুষ্ক না হয় তা নিশ্চিত করুন।

সঠিক পোশাক নির্বাচন করুন

শিশুকে সুতির আরামদায়ক এবং উষ্ণ কাপড় পরান।

মাথা, হাত এবং পা ঢাকার জন্য ক্যাপ, মোজা এবং মিটেন ব্যবহার করুন।

অতিরিক্ত কাপড়ের স্তর দেওয়ার চেয়ে একটি উষ্ণ কম্বল ব্যবহার করতে পারেন।

শিশুকে ওভারড্রেস করবেন না, কারণ এটি অস্বস্তি বা অতিরিক্ত গরম লাগার কারণ হতে পারে।

স্তন্যপান নিশ্চিত করুন

শীতের সময় শিশুর শরীরের তাপমাত্রা ঠিক রাখতে নিয়মিত স্তন্যপান করান।

মায়ের দুধ শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও উষ্ণতা প্রদান করে।

রাতে ঘন ঘন স্তন্যপান নিশ্চিত করুন যাতে শিশুর শরীর ঠান্ডা না হয়।

ত্বকের যত্ন

শীতকালে শিশুর ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।

ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম বা তেল (যেমন নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল) ব্যবহার করতে পারেন।

শিশুর ত্বকে কোনো ধরনের অ্যালার্জি বা র‍্যাশ দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

গোসলের সময় সতর্কতা

প্রতিদিন গোসল না করালেও, নরম কাপড় দিয়ে শিশুর শরীর পরিষ্কার করতে পারেন।

গোসল করালে কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন।

গোসলের পরে শিশুকে দ্রুত শুকিয়ে একটি উষ্ণ তোয়ালে দিয়ে মুড়িয়ে ফেলুন।

ঘুমানোর ব্যবস্থা

শিশুর বিছানায় উষ্ণ কম্বল বা সুতির চাদর ব্যবহার করুন।

বালিশ বা ভারী কম্বল ব্যবহার করবেন না, কারণ এগুলো শিশুর শ্বাস নিতে অসুবিধা করতে পারে।

বিছানা শীতল না থাকে তা নিশ্চিত করুন এবং সরাসরি ঠান্ডা বাতাস আসা থেকে রক্ষা করুন।

শীতের বাতাস থেকে রক্ষা

শিশুকে বাইরে নিয়ে যাওয়ার সময় তাকে সঠিকভাবে ঢেকে নিন।

সরাসরি ঠান্ডা বাতাসে রাখবেন না।

প্রয়োজনে শিশুকে উষ্ণ কাপড়ে মুড়িয়ে ছাতার নিচে রাখুন।

নাভি ও অন্যান্য যত্ন

নাভি পরিষ্কার ও শুকনো রাখুন।

পরিষ্কার করার জন্য গরম পানিতে ভেজানো নরম কাপড় ব্যবহার করুন।

নাভির চারপাশে লালচে বা ফোলা দেখলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

পর্যবেক্ষণ করা

শিশুর হাত, পা বা নাক শীতল হয়ে গেলে দ্রুত উষ্ণতার ব্যবস্থা করুন।

শিশুর শরীরের তাপমাত্রা নিয়মিত পরীক্ষা করুন।

যদি শিশুর ত্বক অতিরিক্ত ঠান্ডা বা নীলচে হয়ে যায়, চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

মায়ের যত্ন

মা পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার ও তরল গ্রহণ করুন, কারণ এটি মায়ের দুধের উষ্ণতা ও মান বজায় রাখে।

শীতকালে মা উষ্ণ পোশাক পরিধান করুন, কারণ শিশুকে স্তন্যপান করানোর সময় শরীরের তাপ সরাসরি শিশুকে প্রভাবিত করে।

বিশেষ সতর্কতা

ধূমপান বা ধোঁয়া যুক্ত পরিবেশে শিশুকে রাখবেন না।

শিশুকে উষ্ণ রাখতে গরম বোতল বা ইলেকট্রিক হিটারের সরাসরি সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন।

কোনো অসামান্য লক্ষণ (যেমন বেশি কান্না, খাবার না খাওয়া, বা শ্বাসকষ্ট) দেখলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

সঠিক যত্ন ও ভালোবাসা দিয়ে শীতের সময় আপনার নবজাতককে সুস্থ ও আরামদায়ক রাখা সম্ভব।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম এ এস ওয়ার্ড স্টোরি এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪