একদিন বয়স শিশুদের গরমের সময় কিভাবে যত্ন নেওয়া উচিত

গরমের সময় একদিন বয়সী শিশুর যত্ন নিতে বিশেষ সতর্কতা প্রয়োজন, কারণ নবজাতকের শরীর সহজে তাপমাত্রার পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে না। গরমে শিশুদের আরামদায়ক ও সুরক্ষিত রাখতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অনুসরণ করা উচিতঃ



 একদিন বয়স শিশুদের গরমের সময় কিভাবে যত্ন নেওয়া উচিত

১. শিশুকে ঠান্ডা ও আরামদায়ক রাখাঃ

শিশুকে নরম, সুতির এবং হালকা রঙের পোশাক পরান। ত্বক-বান্ধব পোশাক তাপ আটকায় না এবং শিশুকে আরাম দেয়।

শিশুর ঘর ঠান্ডা রাখার জন্য পাখা বা এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। তবে পাখা বা এসির সরাসরি হাওয়া শিশুর গায়ে লাগানো এড়িয়ে চলুন।

সরাসরি সূর্যের আলো বা খুব গরম স্থানে শিশু রাখা এড়িয়ে চলুন।

নবজাতকের জন্য সুতির এবং হালকা রঙের পোশাক নির্বাচন করুন, যা ত্বক-বান্ধব এবং ঘাম শোষণ করতে পারে।

শিশুর ঘর ঠান্ডা রাখতে পাখা বা এসি ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে সরাসরি এসি বা পাখার বাতাস শিশুর শরীরে লাগানো এড়িয়ে চলুন। ঘরের তাপমাত্রা ২৫-২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রাখুন।

শিশুকে সরাসরি সূর্যের আলোতে বা অতিরিক্ত গরম জায়গায় নিয়ে যাবেন না। যদি বাইরে নিয়ে যেতে হয়, তবে ছায়াযুক্ত স্থানে রাখুন এবং একটি পাতলা সুতির কাপড়ে শিশুকে ঢেকে দিন।

ত্বক-সংযোগ শিশুকে মানসিক স্বস্তি দেয় এবং শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। তবে গরম বেশি থাকলে, মা এবং শিশু দুজনকেই হালকা পোশাক পরতে হবে।

ঘরের জানালা খুলে রাখুন যাতে তাজা বাতাস আসা-যাওয়া করতে পারে। তবে নিশ্চিত করুন যে বাইরের গরম বাতাস ঘরে ঢুকে না।

শিশুকে আরামদায়ক রাখার পাশাপাশি তার শরীরের যেকোনো অস্বাভাবিক পরিবর্তন লক্ষ্য করুন। গরমের কারণে শিশুর শরীরে ফুসকুড়ি, অতিরিক্ত ঘাম, অথবা পানিশূন্যতার লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

২. হাইড্রেশন (পানির চাহিদা পূরণ):

একদিন বয়সী শিশুর জন্য মায়ের বুকের দুধই যথেষ্ট। এটি শিশুর শরীরে পানির চাহিদা পূরণ করে এবং শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।

অতিরিক্ত পানি বা অন্য কোনো তরল দেওয়ার প্রয়োজন নেই, কারণ এটি নবজাতকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

একদিন বয়সী শিশুর জন্য মায়ের বুকের দুধই আদর্শ। বুকের দুধে প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি ও জলীয় উপাদান থাকে যা শিশুর শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে।

গরমের সময় শিশুকে বারবার বুকের দুধ খাওয়ান, কারণ এটি তৃষ্ণা মেটানোর পাশাপাশি শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

একদিন বয়সী শিশুকে আলাদাভাবে পানি দেওয়ার প্রয়োজন নেই। অতিরিক্ত পানি নবজাতকের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে এবং তা হাইপোনাট্রেমিয়া (লো সোডিয়াম লেভেল) সৃষ্টি করতে পারে।

বুকের দুধই শিশুর জন্য যথেষ্ট জলীয় উপাদান সরবরাহ করে।

গরমে শিশুর শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। নিচের লক্ষণগুলো থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিনঃ

কম প্রস্রাব হওয়া (২৪ ঘণ্টায় ৬-৮ বার প্রস্রাব না করা)।

শিশুর মুখ বা ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যাওয়া।

ত্বক ফ্যাকাশে বা খুব শুষ্ক লাগা।

শিশুর অস্বাভাবিক রাগ বা চিৎকার।

চোখ ডেবে যাওয়া।

৩. ত্বকের যত্নঃ

গরমের সময় নবজাতকের ত্বকে ঘাম জমে গরম ফুসকুড়ি হতে পারে। শিশুকে পরিষ্কার ও শুকনো রাখতে নরম, স্যাঁতসেঁতে কাপড় দিয়ে মুছুন।

ন্যাপকিন বা ডায়াপার ব্যবহার করলে নিয়মিত পরিবর্তন করুন এবং ত্বক পরিষ্কার ও শুষ্ক রাখুন।

গরমে অতিরিক্ত তেল ব্যবহার এড়িয়ে চলুন, কারণ এটি ঘাম ও র‍্যাশ সৃষ্টি করতে পারে।

শিশুর ত্বক প্রতিদিন নরম, স্যাঁতসেঁতে তুলা বা কাপড় দিয়ে মুছে পরিষ্কার করুন।

গরমে শিশুর শরীরে ঘাম জমতে পারে, যা ফুসকুড়ি বা র‍্যাশ সৃষ্টি করতে পারে। ঘাম জমার স্থানে বিশেষভাবে পরিষ্কার করুন।

নবজাতককে খুব বেশি গোসল করানোর দরকার নেই। হালকা গরম বা কুসুম গরম পানিতে দ্রুত গোসল করানো যেতে পারে।

নবজাতকের ঘাড়, বগল এবং ভাঁজযুক্ত অংশগুলো পরিষ্কার ও শুকনো রাখুন।

ঘাম এবং তাপজনিত ফুসকুড়ি থেকে রক্ষা পেতে সুতির পোশাক পরান।

ডায়াপার ব্যবহার করলে নিয়মিত পরিবর্তন করুন এবং ত্বক শুকনো রাখুন।

নবজাতকের ত্বকে ময়েশ্চারাইজার প্রয়োগ করার আগে এটি শিশুর জন্য নিরাপদ কিনা তা নিশ্চিত করুন। সাধারণত, সুগন্ধিবিহীন এবং নবজাতকের জন্য উপযোগী ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা ভালো।

অতিরিক্ত শুষ্কতা এড়াতে গোসলের পরে ত্বকে হালকা ময়েশ্চারাইজার লাগান।

গরমের সময় শিশুকে এমন পরিবেশে রাখুন যেখানে প্রাকৃতিক বাতাস চলাচল করতে পারে।
গরমে শিশুর ত্বক বদ্ধ বা ভেজা অবস্থায় রেখে দিলে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

গরমে শিশুর ত্বকে অতিরিক্ত তেল লাগাবেন না। এটি ত্বকে ঘাম জমিয়ে র‍্যাশের কারণ হতে পারে।

যদি তেল ব্যবহার করতে হয়, তবে স্বল্প পরিমাণে এবং গোসলের আগে লাগান।

৪. গোসলের ব্যবস্থাঃ

গরমের দিনে শিশুকে হালকা গরম বা কুসুম গরম পানিতে দ্রুত গোসল করানো যেতে পারে। এটি শিশুর ত্বক সতেজ ও আরামদায়ক রাখে।

সাবান ব্যবহার করলে নরম, সুগন্ধিবিহীন এবং নবজাতকের জন্য উপযোগী সাবান ব্যবহার করুন।

একদিন বয়সী শিশুকে সরাসরি গোসল না করিয়ে স্পঞ্জ বাথ দেওয়া উত্তম।

নরম, সুতির কাপড় বা তুলা ব্যবহার করে হালকা গরম পানিতে ভিজিয়ে শিশুর শরীর মুছে নিন।

পানির তাপমাত্রা হালকা গরম (৩৭-৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) হওয়া উচিত। ঠান্ডা বা অতিরিক্ত গরম পানি শিশুর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

তাপমাত্রা নিশ্চিত করতে আপনার হাতের পেছনের অংশ বা কনুই দিয়ে পরীক্ষা করুন।

একদিন বয়সী শিশুকে সরাসরি গোসল না করিয়ে স্পঞ্জ বাথ দেওয়া উত্তম।

নরম, সুতির কাপড় বা তুলা ব্যবহার করে হালকা গরম পানিতে ভিজিয়ে শিশুর শরীর মুছে নিন।

পানির তাপমাত্রা হালকা গরম (৩৭-৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) হওয়া উচিত। ঠান্ডা বা অতিরিক্ত গরম পানি শিশুর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

তাপমাত্রা নিশ্চিত করতে আপনার হাতের পেছনের অংশ বা কনুই দিয়ে পরীক্ষা করুন।

নাভির অঞ্চল ভিজে গেলে এটি একটি নরম তোয়ালে দিয়ে আলতো করে শুকিয়ে নিন।

নাভি শুকানোর জন্য সরাসরি পানি লাগানো এড়িয়ে চলুন।

নবজাতকের জন্য খুব কম পরিমাণে, মৃদু এবং প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি সাবান ব্যবহার করুন।

প্রতিদিন সাবান ব্যবহার না করাই ভালো, কারণ এটি শিশুর ত্বক শুষ্ক করে দিতে পারে।

গরমের দিনে শিশুর শরীর সতেজ রাখতে গোসলের সময় খুব বেশি দীর্ঘ করবেন না। মাত্র ৫-৭ মিনিট যথেষ্ট।

শিশুর মাথা থেকে পা পর্যন্ত ধীরে ধীরে পরিষ্কার করুন এবং অতিরিক্ত পানি শরীরে রেখে দেবেন না।

৫. শিশুর ঘুমের ব্যবস্থাঃ

শিশুকে একটি আরামদায়ক এবং সুতির চাদরে শোয়ান। অতিরিক্ত কম্বল বা ভারী কাপড় ব্যবহার করবেন না।

ঘুমানোর সময় শিশুর ঘর যেন ঠান্ডা ও বায়ু চলাচলের উপযোগী থাকে তা নিশ্চিত করুন।

শিশুর বিছানা সমতল এবং আরামদায়ক হওয়া উচিত।

গদিটি নরম হওয়া প্রয়োজন, তবে খুব বেশি নরম হলে শিশুর শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা হতে পারে।

বিছানায় অতিরিক্ত বালিশ, খেলনা, বা ভারী চাদর রাখবেন না, কারণ এগুলো শিশুর শ্বাস নালীর পথে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।

ঘরের তাপমাত্রা আরামদায়ক রাখুন (প্রায় ২৫-২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস)।

শিশুকে খুব বেশি গরম বা ঠান্ডা লাগতে দেওয়া উচিত নয়।

শিশুর জন্য নরম, সুতির এবং হালকা পোশাক ব্যবহার করুন।

খুব বেশি কাপড় বা ভারী চাদর ব্যবহার করবেন না। এটি শিশুর শরীরে অতিরিক্ত তাপ তৈরি করতে পারে।

ঘুমের সময় ঘর অন্ধকার বা মৃদু আলো রাখুন।

খুব বেশি শব্দ বা জোরে কথা বলার পরিবেশ এড়িয়ে চলুন।

ঘরের বাইরে থেকে আসা উচ্চ শব্দ বা উত্তেজক পরিবেশ শিশুর ঘুমে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।

ঘুমানোর আগে শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ান। এটি শিশুর তৃষ্ণা ও ক্ষুধা মেটায় এবং শিশুকে দীর্ঘ সময় আরামদায়ক ঘুম দিতে সহায়তা করে।

ঘুমের সময় বা পরে বমি হওয়ার ঝুঁকি এড়াতে শিশুকে খাওয়ানোর পর কিছুক্ষণ কাঁধে ধরে রাখুন।

শিশুকে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানোর অভ্যাস করান। যদিও নবজাতকের ক্ষেত্রে এটি পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা একটু কঠিন, তবে একটি রুটিন তৈরির চেষ্টা করা উচিত।

৬. পর্যবেক্ষণ করাঃ

শিশুর শরীরে অতিরিক্ত ঘাম, জ্বর, র‍্যাশ বা পানিশূন্যতার লক্ষণ দেখা দিলে (যেমন কম প্রস্রাব, শুষ্ক ঠোঁট) দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

শিশুর হাত-পা এবং শরীর গরম বা খুব শুষ্ক লাগলে সতর্ক হন।

শিশুর শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক এবং মসৃণ থাকা উচিত।

যদি শ্বাস নিতে সমস্যা হয়, শ্বাসের শব্দ অস্বাভাবিক হয়, বা শ্বাস দ্রুত বা খুব ধীর হয়, তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

শিশুর ত্বকের রং ফ্যাকাশে বা নীলচে হলে এটি শ্বাস বা রক্ত সঞ্চালনের সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।

হলুদাভ ত্বক বা চোখের সাদা অংশ হলুদ দেখালে এটি জন্ডিসের লক্ষণ হতে পারে।

প্রথম দিন থেকে নবজাতকের প্রস্রাব এবং পায়খানার পরিমাণ ও ধরন পর্যবেক্ষণ করুন।

২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি প্রস্রাব বা পায়খানা না হয়, তবে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

নাভির গোড়ায় লালচে হওয়া, ফুলে যাওয়া, বা দুর্গন্ধ লক্ষ্য করুন। এগুলো সংক্রমণের লক্ষণ হতে পারে।

নাভির চারপাশে পরিষ্কার ও শুকনো রাখতে হবে।

শিশুর ঘুম স্বাভাবিক কিনা তা খেয়াল করুন।

যদি খুব বেশি জাগ্রত থাকে বা দীর্ঘ সময় ঘুমিয়ে থাকে এবং জাগ্রত করলেও সাড়া না দেয়, তবে এটি সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে।

৭. শিশুকে সানস্ট্রোক থেকে রক্ষা করাঃ

শিশুকে সরাসরি রোদে বের করবেন না। প্রয়োজনে হালকা ছায়াযুক্ত স্থানে রাখুন।

বাইরে নিয়ে গেলে হালকা সুতির কাপড় দিয়ে শিশুকে ঢেকে রাখুন।

নবজাতককে সরাসরি সূর্যের আলোতে নেওয়া এড়িয়ে চলুন, বিশেষ করে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে, যখন সূর্যের তাপ সর্বাধিক।

বাইরে যাওয়ার সময় শিশুকে ছায়ায় রাখার ব্যবস্থা করুন।

একদিন বয়সী শিশুর জন্য শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধই যথেষ্ট। এটি শিশুর শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে এবং তাপজনিত সমস্যার ঝুঁকি কমায়।

নবজাতককে আলাদা করে পানি দেওয়া প্রয়োজন নেই।

ঘর ঠান্ডা ও বায়ু চলাচলপূর্ণ রাখুন। প্রয়োজনে ফ্যান বা এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
শিশুকে গরম জায়গায় রাখা থেকে বিরত থাকুন।
৮. মায়ের যত্নঃ

মায়ের পর্যাপ্ত পানি পান করা জরুরি, কারণ তা মায়ের দুধের পরিমাণ ও গুণমান বজায় রাখতে সাহায্য করে।

গরমে মা যেন পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করেন।

গরমের সময় শিশুর আরাম ও সুরক্ষার জন্য হালকা পরিবেশ, সঠিক পোশাক এবং মায়ের বুকের দুধই যথেষ্ট। যেকোনো অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

মায়ের দেহে শক্তি পুনরুদ্ধার ও বুকের দুধ উৎপাদন বাড়ানোর জন্য পুষ্টিকর খাবার প্রয়োজন।

পরিমিত পরিমাণে প্রোটিন, শর্করা, ফাইবার, ভিটামিন, এবং মিনারেল যুক্ত খাবার খান।

বেশি করে পানি পান করুন (প্রতিদিন অন্তত ৮-১০ গ্লাস)। এটি দুধ উৎপাদনে সাহায্য করে।

কোনো বিষণ্নতা বা অস্বাভাবিক মানসিক অবস্থার লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

ডাক্তারের নির্দেশিত সব ওষুধ সময়মতো গ্রহণ করুন।

প্রসবের সময়ের কোনো জটিলতা থাকলে নিয়মিত চেকআপ করুন।

প্রতিদিন পরিষ্কার ও সঠিকভাবে গোসল করুন।

প্রসবের পরের রক্তপাতের সময় পরিষ্কার ন্যাপকিন ব্যবহার করুন এবং প্রয়োজনমতো পরিবর্তন করুন।

বুকের দুধ খাওয়ানোর আগে ও পরে স্তন পরিষ্কার রাখুন।

দুধ জমাট বেঁধে গেলে আলতো করে ম্যাসাজ করুন বা গরম পানির সেঁক দিন।

স্তনের কোনো সমস্যা (ব্যথা, ফোলা বা লালচে ভাব) হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

সন্তানের যত্নে নতুন মা অনেক সময় উদ্বিগ্ন হতে পারেন। এটি স্বাভাবিক। নিজের প্রতি ধৈর্য ধরুন এবং আত্মবিশ্বাস রাখুন।

পরিবারের সহযোগিতা ও সাপোর্ট নিন।

নিয়মিত প্রসব-পরবর্তী চেকআপ করান। এটি যেকোনো শারীরিক সমস্যা দ্রুত শনাক্ত করতে সাহায্য করে

মা ও শিশুর চারপাশে শান্তিপূর্ণ ও ইতিবাচক পরিবেশ বজায় রাখুন।

মায়ের মানসিক এবং শারীরিক সুস্থতার জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

মায়ের সঠিক যত্ন নিশ্চিত করা শিশুর স্বাস্থ্য ও সুস্থতার ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। তাই পরিবারের সবার উচিত মায়ের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়া।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম এ এস ওয়ার্ড স্টোরি এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪