গিয়ার কত প্রকার ও কি কি
গিয়ার সাধারণত যান্ত্রিক ব্যবস্থায় শক্তি বা গতির স্থানান্তর করার জন্য ব্যবহৃত হয়। গিয়ারের বিভিন্ন প্রকার রয়েছে এবং এগুলো ব্যবহারের ধরন, গঠন ও কার্যকারিতার ভিত্তিতে ভাগ করা যায়। প্রধান গিয়ারগুলোর ধরন ও তাদের বৈশিষ্ট্য নিচে দেওয়া হলোঃ
গিয়ার কত প্রকার ও কি কি
গিয়ার সাধারণত ৯ প্রকার ।
১. স্পার গিয়ার ।
২. হেলিকাল গিয়ার ।
৩. ডাবল হেলিকাল গিয়ার ।
৪. বেভেল গিয়ার ।
৫. ওয়ার্ম গিয়ার ।
৬. র্যাক এবং পিনিয়ন গিয়ার ।
৭. প্ল্যানেটারি গিয়ার ।
৮. হাইপয়েড গিয়ার ।
৯. ইপিসাইক্লয়েডাল গিয়ার ।
১. স্পার গিয়ারঃ
সোজা দাঁতের গিয়ার যা সমান্তরাল শ্যাফটের মধ্যে ব্যবহার করা হয়।
সাধারণত কম গতিতে ব্যবহৃত হয়।
শব্দ বেশি করে।
২. হেলিকাল গিয়ারঃ
দাঁতগুলি কোণাকৃতিতে থাকে।
মসৃণ চলাচল নিশ্চিত করে এবং কম শব্দ হয়।
উচ্চ গতির যন্ত্রে ব্যবহৃত হয়।
৩. ডাবল হেলিকাল গিয়ারঃ
দুটি বিপরীত হেলিকাল সেগমেন্ট যুক্ত থাকে।
অক্ষীয় বল বাতিল করতে পারে।
৪. বেভেল গিয়ারঃ
শ্যাফটের মধ্যে কোণ পরিবর্তন করতে ব্যবহৃত হয়।
সাধারণত ৯০ ডিগ্রির কোণে ব্যবহৃত হয়।
৫. ওয়ার্ম গিয়ারঃ
স্ক্রু আকৃতির গিয়ার যা উচ্চ গিয়ার রেশিও সরবরাহ করতে পারে।
কম গতির জন্য উপযুক্ত।
৬. র্যাক এবং পিনিয়ন গিয়ারঃ
রোটারি মুভমেন্টকে লিনিয়ার মুভমেন্টে রূপান্তর করতে ব্যবহৃত হয়।
স্টিয়ারিং ব্যবস্থায় ব্যবহৃত হয়।
৭. প্ল্যানেটারি গিয়ারঃ
কেন্দ্রীয় সান গিয়ার, কয়েকটি প্ল্যানেট গিয়ার, এবং একটি রিং গিয়ার নিয়ে গঠিত।
জটিল যান্ত্রিক ব্যবস্থা ও কম্প্যাক্ট ডিজাইনের জন্য ব্যবহৃত হয়।
৮. হাইপয়েড গিয়ারঃ
বেভেল গিয়ারের উন্নত সংস্করণ।
অক্ষ একে অপরকে সরাসরি ছেদ না করলেও কাজ করতে পারে।
স্বয়ংচালিত ড্রাইভ সিস্টেমে ব্যবহৃত হয়।
৯. ইপিসাইক্লয়েডাল গিয়ারঃ
ঘূর্ণন এবং অক্ষের চারপাশে বিশেষ মুভমেন্ট তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়।
ঘড়ি ও জটিল মেশিনে ব্যবহৃত হয়।
প্রতিটি গিয়ার নির্দিষ্ট প্রয়োজনে ব্যবহৃত হয় এবং তাদের কাঠামো ও উপকরণ আলাদা হতে পারে।
এম এ এস ওয়ার্ড স্টোরি এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url