রক্ত কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি

রক্ত হলো এক প্রকার তরল টিস্যু যা লোহিত রক্তকণিকা, শ্বেত রক্তকণিকা, অণুচক্রিকা এবং প্লাজমা দিয়ে গঠিত। এটি দেহের রোগ প্রতিরোধ, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, এবং বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদানের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

রক্তের উপাদানগুলোর ভিত্তিতে রক্তকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করা যায়ঃ

মানুষের রক্ত চারটি প্রধান গ্রুপে বিভক্তঃ

গঠন অনুযায়ীঃ প্লাজমা ও রক্তকণিকা।

গ্রুপ অনুযায়ীঃ A, B, AB, O (পজিটিভ এবং নেগেটিভ)।



রক্ত কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি

রক্ত হলো একটি জীবনদায়ী তরল যা মানবদেহসহ অধিকাংশ প্রাণীর শরীরে বিদ্যমান। এটি একটি সংযোগকারী টিস্যু যা রক্তনালীর মাধ্যমে সারা দেহে সঞ্চালিত হয়। রক্তের প্রধান কাজ হলো দেহের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেন, পুষ্টি, এবং হরমোন পরিবহন করা এবং বিপাকীয় বর্জ্য যেমন কার্বন ডাই অক্সাইড এবং ইউরিয়া অপসারণ করা।

রক্তের কাজ

দেহের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেন ও পুষ্টি পরিবহন।

বর্জ্য পদার্থ যেমন কার্বন ডাই অক্সাইড ফুসফুসে নিয়ে আসা এবং ইউরিয়া কিডনিতে নিয়ে যাওয়া।

রোগ প্রতিরোধ।

দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ।

হরমোন পরিবহন।

রক্তের প্রকারভেদ

রক্ত মূলত দুটি প্রধান উপাদানে বিভক্তঃ

রক্তকণিকা (Blood Cells)

রক্তের তরল অংশ বা প্লাজমা (Plasma)

১. রক্তকণিকার প্রকারভেদ

রক্তকণিকা তিন প্রকারঃ

লাল রক্তকণিকা (RBC - Red Blood Cells)

হিমোগ্লোবিন প্রোটিন থাকে যা অক্সিজেন পরিবহনে সাহায্য করে।

এটি রক্তকে লাল রঙ দেয়।

সাদা রক্তকণিকা (WBC - White Blood Cells)

দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থায় ভূমিকা রাখে।

বিভিন্ন ধরণের WBC আছে যেমন: লিম্ফোসাইট, মোনোসাইট, নিউট্রোফিল, ইওসিনোফিল, এবং বেসোফিল।

অণুচক্রিকা (Platelets)

রক্ত জমাট বাঁধার কাজে সাহায্য করে।

২. রক্তের প্লাজমা

রক্তের তরল অংশ যা রক্তের প্রায় ৫৫% গঠন করে।

এতে পানি, প্রোটিন, গ্লুকোজ, মিনারেলস, হরমোন, এবং বর্জ্য পদার্থ থাকে।

রক্তের গ্রুপ

রক্ত বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত, যা প্রধানত দুই ধরণের সিস্টেম দ্বারা নির্ধারিত হয়ঃ

ABO গ্রুপ সিস্টেম: A, B, AB, O

Rh ফ্যাক্টর: Rh+ (পজিটিভ) এবং Rh- (নেগেটিভ)

এই সকল প্রকারভেদ রক্তের কাজ ও ভূমিকা অনুযায়ী গুরুত্বপূর্ণ।

রক্ত হলো একটি জীবনদায়ী তরল যা মানবদেহসহ অধিকাংশ প্রাণীর শরীরে বিদ্যমান। এটি একটি সংযোগকারী টিস্যু যা রক্তনালীর মাধ্যমে সারা দেহে সঞ্চালিত হয়। রক্তের প্রধান কাজ হলো দেহের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেন, পুষ্টি, এবং হরমোন পরিবহন করা এবং বিপাকীয় বর্জ্য যেমন কার্বন ডাই অক্সাইড এবং ইউরিয়া অপসারণ করা।

রক্তের সংজ্ঞা

রক্ত হলো এক প্রকার তরল টিস্যু যা লোহিত রক্তকণিকা, শ্বেত রক্তকণিকা, অণুচক্রিকা এবং প্লাজমা দিয়ে গঠিত। এটি দেহের রোগ প্রতিরোধ, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, এবং বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদানের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

রক্তের উপাদান

প্লাজমাঃ রক্তের তরল অংশ যা প্রায় ৫৫%।

রক্তকণিকাঃ

লোহিত রক্তকণিকা (RBC)

শ্বেত রক্তকণিকা (WBC)

অণুচক্রিকা (Platelets)

রক্তের এই উপাদানগুলো দেহের জন্য অপরিহার্য এবং স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া বজায় রাখে।

১. রক্তের গঠন অনুযায়ী প্রকারভেদ

রক্তের উপাদানগুলোর ভিত্তিতে রক্তকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করা যায়ঃ

প্লাজমা (Plasma)

রক্তের তরল অংশ।

রক্তের মোট আয়তনের প্রায় ৫৫%।

এতে পানি, প্রোটিন, হরমোন, লবণ, গ্লুকোজ এবং বর্জ্য পদার্থ থাকে।

রক্তকণিকা (Blood Cells)

এটি তিন প্রকারঃ

লোহিত রক্তকণিকা (RBC) অক্সিজেন পরিবহন করে।

শ্বেত রক্তকণিকা (WBC) দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গঠনে সহায়ক।

অণুচক্রিকা (Platelets) রক্ত জমাট বাঁধার কাজে সাহায্য করে।

২. রক্তের গ্রুপ অনুযায়ী প্রকারভেদ

মানুষের রক্ত চারটি প্রধান গ্রুপে বিভক্ত:

A গ্রুপ

B গ্রুপ

AB গ্রুপ

O গ্রুপ

এছাড়াও প্রতিটি গ্রুপে Rh ফ্যাক্টরের উপস্থিতি বা অনুপস্থিতি অনুযায়ী এটি আবার ভাগ করা হয়ঃ

Rh পজিটিভ (Rh+): Rh ফ্যাক্টর উপস্থিত।

Rh নেগেটিভ (Rh-): Rh ফ্যাক্টর অনুপস্থিত।

রক্ত গঠনগতভাবে দুইটি প্রধান অংশে বিভক্ত:

প্লাজমা (Plasma)

রক্তের তরল অংশ, যা রক্তের প্রায় ৫৫%।

এতে পানি (প্রায় ৯০-৯২%), প্রোটিন (যেমন: অ্যালবুমিন, গ্লোবুলিন), গ্লুকোজ, লবণ, হরমোন, এবং বর্জ্য পদার্থ থাকে।

রক্তকণিকা (Blood Cells)

রক্তের কোষীয় অংশ, যা তিন প্রকার:

লোহিত রক্তকণিকা (RBC) অক্সিজেন পরিবহন করে।

শ্বেত রক্তকণিকা (WBC) রোগ প্রতিরোধ করে।

অণুচক্রিকা (Platelets) রক্ত জমাট বাঁধার কাজে সাহায্য করে।

২. রক্তের গ্রুপ অনুযায়ী প্রকারভেদ

মানুষের রক্ত ABO গ্রুপিং এবং Rh ফ্যাক্টর অনুসারে বিভক্ত:

ABO গ্রুপ সিস্টেমঃ

A গ্রুপ

B গ্রুপ

AB গ্রুপ

O গ্রুপ

Rh ফ্যাক্টর অনুযায়ীঃ

প্রতিটি গ্রুপ আবার দুটি উপপ্রকারে বিভক্তঃ

Rh পজিটিভ (Rh+): Rh ফ্যাক্টর উপস্থিত।

Rh নেগেটিভ (Rh-): Rh ফ্যাক্টর অনুপস্থিত।

সারসংক্ষেপেঃ

গঠন অনুযায়ীঃ

প্লাজমা ও রক্তকণিকা।

গ্রুপ অনুযায়ীঃ

A, B, AB, O (প্রত্যেকের Rh+ এবং Rh-)।

এইভাবে মানুষের রক্ত মোট ৮টি ভাগে বিভক্ত হতে পারে।

সারসংক্ষেপে

গঠন অনুযায়ীঃ প্লাজমা ও রক্তকণিকা।

গ্রুপ অনুযায়ীঃ A, B, AB, O (পজিটিভ এবং নেগেটিভ)।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম এ এস ওয়ার্ড স্টোরি এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪