অতিরিক্ত শীত থেকে বাচ্চাদের বাঁচানোর উপায়

গরম পোশাক পরানোঃবাচ্চাদের ঠাণ্ডা থেকে রক্ষা করতে তাদের উপযুক্ত গরম পোশাক পরান, যেমন উলের সোয়েটার, গ্লাভস, স্কার্ফ, টুপি এবং মোজা। তাদের শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে ভালো মানের উলের পোশাক খুব গুরুত্বপূর্ণ।



অতিরিক্ত শীত থেকে বাচ্চাদের বাঁচানোর উপায়

তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণঃঘরের তাপমাত্রা ২১-২২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখুন। ঘর গরম রাখতে হিটার বা গরম তেলের ব্যবস্থা করতে পারেন, তবে খুব বেশি গরম করা থেকে বিরত থাকুন।

গরম পানি ব্যবহারঃ বাচ্চাদের গরম পানিতে গোসল করান, তবে গরম পানি যেন খুব বেশি না হয়, বরং মাঝারি তাপমাত্রায় রাখুন।

অতিরিক্ত মোটা কম্বল বা রেডিয়েটর ব্যবহারঃরাতে বা ঠাণ্ডা সময়ে বাচ্চাদের গায়ে মোটা কম্বল বা রেডিয়েটর দিয়ে গরম রাখুন।

খাবার এবং পানীয়ঃবাচ্চাদের গরম খাবার এবং পানীয় খাওয়ানো তাদের তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। হালকা স্যুপ বা গরম দুধ খুব উপকারী হতে পারে।

বাইরে না যাওয়ার চেষ্টাঃঠাণ্ডার সময়ে বাচ্চাদের বাইরে না বের হওয়ার চেষ্টা করুন, বিশেষত যখন তীব্র শীত বা তুষারপাত হয়। যদি বের হতে হয়, তাদের গরম পোশাক এবং মুখ ঢাকার ব্যবস্থা নিশ্চিত করুন।

বাইরে চলাফেরা কম করাঃ বাচ্চাদের বাইরে বেশি সময় থাকা থেকে বিরত রাখুন, বিশেষত খুব ঠাণ্ডা বা বাতাসের মধ্যে।

মুঠো ফেলার মাধ্যমে শীতের প্রভাব কমানোঃ বাচ্চাদের মুঠো এবং পায়ের আঙুলে শীতের প্রভাব বেশি পড়তে পারে, তাই সময়মতো গরম পোশাক পরিয়ে এবং মাসাজ করে তাদের গরম রাখুন।

এই উপায়গুলো বাচ্চাদের শীতের সমস্যা থেকে বাঁচাতে সাহায্য করবে।

স্তরভিত্তিক পোশাক (Layering):

গরম রাখার জন্য বাচ্চাদের পোশাক স্তরে স্তরে পরান।

ভিতরের স্তরঃনরম এবং আরামদায়ক, যেমন কটনের পোশাক।

মধ্য স্তরঃউল বা ফ্লিসের সোয়েটার।

বাইরের স্তরঃ জল এবং বাতাস প্রতিরোধী জ্যাকেট বা কোট।

বাচ্চাদের মাথা এবং গলা গরম রাখার জন্য উলের টুপি এবং স্কার্ফ ব্যবহার করুন।

মাথার মাধ্যমে শরীরের তাপ বেশি হারায়, তাই টুপি পরানো গুরুত্বপূর্ণ।

হাত এবং পা উষ্ণ রাখতে উলের গ্লাভস এবং মোজা পরান।

বিশেষ করে মোজা যেন পায়ের আঙুল গরম রাখে এবং আরামদায়ক হয়।

বাচ্চাদের উষ্ণ জুতো পরান যা ঠাণ্ডা এবং পানি প্রতিরোধী।

বৃষ্টির দিনে বা বরফে হাঁটার জন্য বিশেষ বুট ব্যবহার করুন।

উল, ফ্লিস, বা থার্মাল পোশাক গরম রাখার জন্য আদর্শ।

তুলা (কটন) শুধু ভিতরের স্তরে ব্যবহার করুন, কারণ এটি শরীরের আর্দ্রতা শোষণ করে।

বাইরে গেলে সঙ্গে অতিরিক্ত মোজা, গ্লাভস, এবং একটি টুপি রাখুন।

পোশাক পরানোর পর নিশ্চিত করুন যে এটি বাচ্চার জন্য আরামদায়ক এবং সঠিক মাপের।

এভাবে সঠিক গরম পোশাক পরিয়ে বাচ্চাদের শীত থেকে রক্ষা করা সম্ভব।

অতিরিক্ত শীত থেকে বাচ্চাদের বাঁচাতে গরম পোশাক পরানোর ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি। নিচে ধাপে ধাপে গরম পোশাক পরানোর উপায় দেওয়া হলোঃ

স্তরভিত্তিক পোশাক পরানো (Layering):

শীত থেকে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে স্তরভিত্তিক পোশাক গুরুত্বপূর্ণ।

ভিতরের স্তরঃনরম এবং আরামদায়ক কটন বা থার্মাল পোশাক পরান, যা শরীরের আর্দ্রতা ধরে রাখবে।

মধ্য স্তরঃগরম রাখার জন্য উলের সোয়েটার বা ফ্লিসের পোশাক ব্যবহার করুন।

বাইরের স্তরঃ জল এবং বাতাস প্রতিরোধী জ্যাকেট বা কোট ব্যবহার করুন।

উলের বা ফ্লিসের টুপি পরান, যা পুরো মাথা ঢেকে রাখবে।

গলার চারপাশে স্কার্ফ ব্যবহার করুন, যাতে ঠাণ্ডা বাতাস ঢুকতে না পারে।

বাচ্চাদের গ্লাভস বা মিটেনস (হাতমোজা) পরান, যা হাত গরম রাখবে।

পায়ের জন্য মোটা উলের মোজা এবং জল প্রতিরোধী বুট ব্যবহার করুন।

উল, ফ্লিস, এবং থার্মাল উপাদান বেশি কার্যকর।

বাচ্চাদের আরামদায়ক পোশাক বেছে নিন, যা ত্বকের জন্য কোমল এবং ফাটা বা চুলকানি সৃষ্টি করবে না।

যদি বাচ্চারা বাইরে যায়, তবে অতিরিক্ত টুপি, গ্লাভস, এবং মোজা সঙ্গে রাখুন, যাতে প্রয়োজন হলে বদলানো যায়।

বাচ্চাদের পোশাক এমন হতে হবে যাতে তারা আরামদায়কভাবে নড়াচড়া করতে পারে। খুব টাইট বা খুব ঢিলেঢালা পোশাক শীত রোধে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।

ঘরের ভেতরও হালকা উলের পোশাক পরতে দিন এবং মোজা পরিয়ে রাখুন।

এই পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করলে বাচ্চাদের অতিরিক্ত শীত থেকে সহজেই রক্ষা করা সম্ভব।

অতিরিক্ত শীত থেকে বাচ্চাদের রক্ষা করার জন্য গরম পানি ব্যবহার একটি কার্যকর উপায়। এটি শরীর উষ্ণ রাখার পাশাপাশি আরামদায়ক অনুভূতি দেয়। নিচে এই পদ্ধতির গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো তুলে ধরা হলোঃ

১. গরম পানি দিয়ে গোসলঃ

গোসলের পানিঃ

পানি কুসুম গরম (৩৭-৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) হওয়া উচিত।

খুব গরম পানি ব্যবহার করবেন না, কারণ এটি ত্বক শুষ্ক বা ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

গোসলের সময়সীমাঃ

৫-১০ মিনিটের বেশি সময় বাচ্চাদের গরম পানিতে রাখবেন না।

২. হাত-পা ধোয়াঃ

দিনের বিভিন্ন সময়ে বাচ্চাদের হাত-পা ধোয়ার জন্য কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন।

বাইরে থেকে ফিরে আসার পর বা শোবার আগে এটি বিশেষ কার্যকর।

৩. গরম পানির বোতল বা ব্যাগঃ

শীতের রাতে বাচ্চাদের বিছানায় গরম পানির বোতল ব্যবহার করতে পারেন।

বোতল গরম করে কম্বলের ভেতরে রাখুন, তবে সরাসরি ত্বকের সংস্পর্শ এড়ান।

অতিরিক্ত গরম হলে একটি তোয়ালে দিয়ে মোড়ানো রাখুন।

৪. গরম পানির বাষ্পঃ

যদি শীতের কারণে বাচ্চার নাক বন্ধ থাকে বা শ্বাস নিতে সমস্যা হয়, তাহলে গরম পানির বাষ্প (Steam) নিতে দিন।

একটি বালতিতে গরম পানি রেখে দূর থেকে বাষ্প শ্বাস নিতে সাহায্য করুন।

সরাসরি ত্বকের কাছে বা বেশি সময় ধরে রাখবেন না।

৫. গরম পানিতে পা ভিজানোঃ

বিশেষত শোবার আগে কুসুম গরম পানিতে বাচ্চার পা ডুবিয়ে রাখলে তারা আরাম পায়।

এতে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয় এবং শরীর দ্রুত উষ্ণ হয়।

৬. পানীয় হিসেবে গরম পানিঃ

শীতের দিনে বাচ্চাদের মাঝে মাঝে হালকা গরম পানি পান করান।

এটি গলা এবং শরীর উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে।

৭. সতর্কতাঃ

গরম পানি ব্যবহার করার সময় তাপমাত্রা পরীক্ষা করে নিশ্চিত হন যে এটি বাচ্চার জন্য আরামদায়ক।

অতিরিক্ত গরম পানি ব্যবহারে সতর্ক থাকুন, যাতে ত্বকে পোড়ার আশঙ্কা না থাকে।

এই পদ্ধতিগুলো সঠিকভাবে অনুসরণ করলে বাচ্চারা শীত থেকে সহজে রক্ষা পাবে।

অতিরিক্ত শীত থেকে বাচ্চাদের রক্ষা করতে মোটা কম্বল বা রেডিয়েটর ব্যবহার একটি কার্যকরী উপায়। এটি তাদের ঘুমের সময় উষ্ণতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। নিচে এ পদ্ধতিগুলোর সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে নির্দেশনা দেওয়া হলোঃ

১. অতিরিক্ত মোটা কম্বল ব্যবহারঃ

উলের বা ফ্লিসের তৈরি মোটা কম্বল বাচ্চাদের শরীর উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে।

হাইপো-অ্যালার্জেনিক উপাদানে তৈরি কম্বল ব্যবহার করুন, যা তাদের ত্বকে কোনো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে না।

একটি হালকা চাদরের ওপর মোটা কম্বল দিন।

খুব বেশি ভারী না করে, স্তরের মাধ্যমে উষ্ণতা বজায় রাখুন।

কম্বল পুরো শরীর ঢেকে দিন, বিশেষত পা এবং বুকের অংশ।

২. রেডিয়েটর ব্যবহারঃ

রেডিয়েটরের তাপমাত্রা ২০-২২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রাখুন, যা বাচ্চাদের জন্য আরামদায়ক।

রেডিয়েটর বা হিটারের খুব কাছে বাচ্চাদের বসাবেন না, কারণ এটি ত্বক শুকিয়ে ফেলতে পারে।

রেডিয়েটরের সামনে একটি পাত্রে পানি রেখে আর্দ্রতা বজায় রাখুন।

ঘরের ভেতরের তাপমাত্রা যেন অতিরিক্ত বেশি বা কম না হয়, সেটি নিশ্চিত করুন।

৩. নিরাপত্তা নিশ্চিত করুনঃ

কম্বল যেন বাচ্চার মুখ বা নাক ঢেকে না রাখে, কারণ এটি শ্বাস নিতে অসুবিধা সৃষ্টি করতে পারে।

রেডিয়েটর ব্যবহার করলে সঠিক নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।

শিশুদের হাত বা শরীর যেন গরম অংশের সংস্পর্শে না আসে।

৪. স্লিপিং ব্যাগ ব্যবহারঃ

শীতে স্লিপিং ব্যাগ ব্যবহার করতে পারেন, যা বাচ্চাদের মোটা কম্বলের বিকল্প হিসেবে কার্যকর।

এটি বাচ্চাদের সুরক্ষিত রাখে এবং উষ্ণতা বজায় রাখে।

৫. অতিরিক্ত আরাম নিশ্চিত করাঃ

শীতের রাতে বাচ্চাদের বিছানা গরম করার জন্য আগে থেকে একটি গরম পানির ব্যাগ ব্যবহার করুন।

তবে সরাসরি তাদের সঙ্গে এটি রাখবেন না।

৬. প্রাকৃতিক উপায়ঃ

রুমের জানালা ও দরজা ভালোভাবে বন্ধ রাখুন, যাতে ঠাণ্ডা বাতাস প্রবেশ করতে না পারে।

ঘরের মধ্যে একটি নরম এবং আরামদায়ক পরিবেশ তৈরি করুন।

এইসব ব্যবস্থা নিশ্চিত করলে অতিরিক্ত শীতে বাচ্চাদের উষ্ণ রাখা সহজ এবং নিরাপদ হবে।

অতিরিক্ত শীত থেকে বাচ্চাদের রক্ষা করতে খাবার এবং পানীয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এগুলো শরীরকে ভেতর থেকে উষ্ণ রাখে এবং শক্তি জোগায়। নিচে কিছু কার্যকরী পরামর্শ দেওয়া হলো:

১. গরম পানীয়ঃ

গরম দুধঃ

বাচ্চাদের প্রতিদিন সকালে এবং রাতে গরম দুধ দিন। এর সঙ্গে সামান্য মধু যোগ করলে তা স্বাদ ও পুষ্টি বাড়ায়।

মুরগির স্যুপ, সবজির স্যুপ, বা ডাল স্যুপ বাচ্চাদের শরীর গরম রাখতে সাহায্য করে।

হালকা চা বা হার্বাল ড্রিংকসঃ

আদা, তুলসী বা লেবুর মিশ্রণ দিয়ে তৈরি চা হালকা গরম অবস্থায় দিতে পারেন।

২. পুষ্টিকর খাবারঃ

উচ্চ-ক্যালোরির খাবারঃ

শীতে শরীর গরম রাখতে উচ্চ-ক্যালোরির খাবার প্রয়োজন। রুটি, ভাত, ওটস, বা সুজি খাওয়াতে পারেন।

প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবারঃ

ডিম, মুরগি, মাছ, বা ডাল বাচ্চাদের দৈনিক খাবারে রাখুন। এগুলো শরীরকে শক্তিশালী রাখে।

শক্তিবর্ধক খাবারঃ

বাদাম, কাজু, পেস্তা, এবং আখরোটের মতো শুকনো ফল বাচ্চাদের শক্তি যোগায় এবং তাপমাত্রা বজায় রাখে।

৩. ফলমূল এবং শীতকালীন শাকসবজিঃ

শীতকালীন ফলঃ

কমলা, আপেল, নাশপাতি, এবং তরমুজের মতো ফল ভিটামিন সরবরাহ করে।

সবজিঃ

গাজর, পালং শাক, মিষ্টি কুমড়ো, এবং বিটের মতো সবজি রান্না করে খাওয়াতে পারেন। এগুলো বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

৪. গরম মিষ্টি খাবারঃ

খেজুর এবং দুধ দিয়ে তৈরি মিষ্টি পায়েস বা সুজির হালুয়া বাচ্চাদের গরম রাখতে সাহায্য করে।

মধু এবং মাখন মিশিয়ে রুটি খাওয়াতে পারেন।

৫. পর্যাপ্ত পানি পান করানোঃ

শীতকালে পানি পান কম হয়, কিন্তু এটি শরীরের স্বাভাবিক কাজ বজায় রাখার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

হালকা গরম পানি পান করান, যা শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

৬. এনার্জি বার বা বাটিঃ

ঘরে তৈরি এনার্জি বার, যাতে খেজুর, বাদাম, এবং তিলের মতো উপাদান থাকে, বাচ্চাদের স্ন্যাকস হিসেবে দিন।

৭. ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ খাবারঃ

কমলা, লেবু, এবং আমলকির মতো ফল শীতে ঠাণ্ডা-সর্দি প্রতিরোধে সাহায্য করে।

৮. মশলাদার খাবারঃ

আদা, লবঙ্গ, গোলমরিচ, এবং দারুচিনি দিয়ে তৈরি খাবার বা পানীয় শীতের জন্য উপকারী।

এই খাবার এবং পানীয়গুলো বাচ্চাদের উষ্ণ রাখতে সাহায্য করবে এবং শীতের রোগবালাই থেকেও সুরক্ষা দেবে।

অতিরিক্ত শীত থেকে বাচ্চাদের রক্ষা করার জন্য বাইরে না যাওয়ার চেষ্টা একটি কার্যকর উপায়। শীতল পরিবেশে ঠাণ্ডা বাতাস এবং কম তাপমাত্রা শিশুদের জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে। নিচে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ

ঘরের তাপমাত্রা ২০-২২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রাখুন।

হিটার বা রেডিয়েটর ব্যবহার করে ঘর উষ্ণ রাখুন।

ঠাণ্ডা বাতাস ঢোকা বন্ধ করতে জানালা ও দরজা ভালোভাবে বন্ধ রাখুন।

দরজার ফাঁকগুলোতে মোটা তোয়ালে ব্যবহার করতে পারেন।

ঘরে খেলাধুলার জন্য মজার খেলনা, পাজল বা বোর্ড গেম দিন, যাতে তারা বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন অনুভব না করে।

গল্পের বই পড়ানো, ছবি আঁকা বা হালকা মজার শিক্ষামূলক কাজ করানো যেতে পারে।

খুব জরুরি কাজ না থাকলে বাচ্চাদের বাইরে নিয়ে যাওয়া এড়িয়ে চলুন।

স্কুল বা ডে কেয়ারের ক্ষেত্রে বিকল্প পরিকল্পনা রাখুন।

শীতের দিনে খোলা জায়গায় খেলার পরিবর্তে ঘরে সুরক্ষিত খেলার ব্যবস্থা করুন।

যদি বাইরে যাওয়া একান্ত প্রয়োজন হয়, তবে বাচ্চাদের উষ্ণ গরম পোশাক, মোজা, টুপি, এবং গ্লাভস পরিয়ে বের করুন।

বাচ্চাদের বাইরে খুব অল্প সময়ের জন্য রাখুন এবং দ্রুত ঘরে ফিরে আসুন।

শীতল বাতাস এবং তুষার থেকে বাচ্চাদের রক্ষা করতে ঘরে সময় কাটানো নিরাপদ।

ঠাণ্ডার দিনে বাইরে থাকা বাচ্চাদের হাইপোথারমিয়া এবং ফ্রস্টবাইটের ঝুঁকি বাড়ায়।

ঘরের ভেতর বাচ্চাদের কাজে সম্পৃক্ত করুন, যেমন: খাবার তৈরি করা, হালকা গাছের পরিচর্যা, বা ঘর সাজানো।

বাতাসে অতিরিক্ত ঠাণ্ডা থাকলে এবং তাপমাত্রা হ্রাস পেলে, বাচ্চাদের বাইরে নেওয়ার চিন্তা করবেন না।

বিশেষত নবজাতক এবং ছোট বাচ্চাদের শীত থেকে রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এই নিয়মগুলো অনুসরণ করলে বাচ্চাদের শীতের কষ্ট থেকে রক্ষা করে সুস্থ এবং আরামদায়ক রাখা সম্ভব।

অতিরিক্ত শীত থেকে বাচ্চাদের রক্ষা করতে বাইরে চলাফেরা কম করা একটি কার্যকর পদক্ষেপ। এটি ঠাণ্ডা বাতাস, শীতল পরিবেশ এবং শীতজনিত অসুস্থতা থেকে সুরক্ষা নিশ্চিত করে। নিচে এই বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরা হলোঃ

বাইরে চলাফেরা কম করার উপায়

বাচ্চাদের বাইরে নেওয়ার কাজগুলো, যেমন স্কুল বা চিকিৎসকের কাছে যাওয়া, যতটা সম্ভব কমিয়ে আনুন।

একাধিক কাজ একসঙ্গে সম্পন্ন করে বাইরে যাওয়ার সময় কমাতে পারেন।

বাইরে খেলার পরিবর্তে ঘরে খেলাধুলার ব্যবস্থা করুন।

বোর্ড গেমস, পাজল, গল্পের বই, এবং আঁকার সরঞ্জাম দিয়ে তাদের ব্যস্ত রাখুন।

বাইরে যাওয়ার আগে আবহাওয়ার তাপমাত্রা এবং বাতাসের তীব্রতা যাচাই করুন।

প্রচণ্ড ঠাণ্ডা বা বৃষ্টি থাকলে বাইরে না যাওয়ার চেষ্টা করুন।

প্রয়োজন হলে বাচ্চাদের সম্পূর্ণ উষ্ণ পোশাক, যেমন টুপি, গ্লাভস, মোজা এবং গরম জ্যাকেট পরান।

বাচ্চাদের বাইরে খুব অল্প সময়ের জন্য রাখুন এবং দ্রুত ঘরে ফিরে আসুন।

ঘরে বসে শিক্ষামূলক কাজ করান, যেমন ড্রইং, সায়েন্স প্রজেক্ট, বা ছোটখাটো হাতের কাজ।

পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মজার খেলাধুলা বা গল্প বলার সময় কাটানো যেতে পারে।

বাইরে শীতল বাতাস বাচ্চাদের ত্বক এবং শ্বাসযন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

ঠাণ্ডার কারণে সর্দি, কাশি, বা শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে, তাই অপ্রয়োজনে বাইরে যাওয়া এড়িয়ে চলুন।

বাচ্চাদের বাইরে নেওয়ার আগে তাদের হাত, মুখ, এবং কান ঢেকে রাখুন।

পানির প্রতিরোধী বুট এবং উষ্ণ মোজা পরান।

যদি বাইরে যাওয়া জরুরি হয়, তবে কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করে ঘরে ফিরুন।

যদি বাইরে কিছুটা বেশি সময় কাটাতে হয়, তবে মাঝে মাঝে উষ্ণ জায়গায় ব্রেক নিয়ে নিন।

বাইরে চলাফেরা কমানো শীতজনিত অসুখ যেমন সর্দি, কাশি, এবং ঠাণ্ডা-জনিত ইনফেকশন থেকে বাচ্চাদের সুরক্ষা দেয়।

বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখতে স্বাস্থ্যকর খাবার এবং পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন।

এই নিয়মগুলো মেনে চললে বাচ্চারা শীতের কষ্ট থেকে সহজেই রক্ষা পাবে এবং সুস্থ থাকবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম এ এস ওয়ার্ড স্টোরি এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪