বর্তমান সমাজ মাদকের দিকে ঝুকে পড়ার কারণ কি
বর্তমান সমাজে মাদকের প্রতি ঝুঁকে পড়ার বেশ কিছু কারণ রয়েছে। এগুলোকে সাধারণত ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং মানসিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করা যায়।
বর্তমান সমাজ মাদকের দিকে ঝুকে পড়ার কারণ কি
অনেক তরুণ কেবল মাদকের প্রভাব সম্পর্কে জানার জন্য প্রথমবার চেষ্টা করে এবং ধীরে ধীরে আসক্ত হয়ে পড়ে। নিজের সমস্যাগুলি সমাধান করতে না পারার কারণে মাদকের শরণাপন্ন হয়।ব্যক্তিগত জীবনের ব্যর্থতা, সম্পর্কের ভাঙন, কিংবা পড়াশোনার চাপ থেকে মুক্তি পেতে মাদক গ্রহণ।
পরিবারে দ্বন্দ্ব, অসন্তোষ, কিংবা উপেক্ষার শিকার হলে তরুণরা মাদকের দিকে ঝোঁকতে পারে।পরিবারের কেউ মাদকাসক্ত হলে তরুণদের মধ্যেও এ অভ্যাস গড়ে ওঠার সম্ভাবনা থাকে। সন্তানের কার্যকলাপের প্রতি নজরদারির অভাব তাদের ভুল পথে পরিচালিত করতে পারে।
খারাপ বন্ধুদের সঙ্গে মিশে মাদক গ্রহণ শুরু করা। সামাজিক অস্থিরতা: সমাজে নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয় তরুণদের ভুল পথে নিয়ে যেতে পারে। মাদক সহজলভ্য হওয়া এবং এর উপর পর্যাপ্ত নিয়ন্ত্রণ না থাকা।
কর্মসংস্থানের অভাবে হতাশা থেকে মাদক গ্রহণ। অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হওয়া। অনেক ক্ষেত্রে বেশি অর্থ হাতে থাকায় তরুণরা মাদক ক্রয়ে উৎসাহী হয়।
জীবনের নানা চাপে মানুষ সহজ সমাধানের সন্ধান করে এবং মাদককে সেই সমাধান মনে করে। সামাজিক কিংবা ব্যক্তিগত দুর্বলতার কারণে তরুণরা মাদকের মাধ্যমে সাহস বা আনন্দ খোঁজে। বিষণ্ণতা, উদ্বেগ বা অন্যান্য মানসিক সমস্যার শিকার হলে মাদকাসক্তির ঝুঁকি বাড়ে।
সিনেমা, মিউজিক ভিডিও বা অন্যান্য মাধ্যমে মাদককে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন। অনেক ক্ষেত্রে মাদক সেবনকে "ফ্যাশন" বা "স্ট্যাটাস" হিসেবে দেখা হয়।
দক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়া। মাদকের বিস্তার রোধে সীমান্ত এবং অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণের অভাব।
অনলাইনে মাদকের সহজলভ্যতা। ইন্টারনেটে মাদক সেবনের ভুল বার্তা পাওয়া।
অনেক তরুণ জীবনে দিশাহীন হয়ে মাদক সেবনে জড়িয়ে পড়ে। নিজের মূল্যায়ন না পাওয়ার কারণে মানসিক ভেঙে পড়া।
অনেক তরুণ কেবল মাদক কীভাবে কাজ করে বা কী অনুভূতি দেয় তা জানার জন্য এটি গ্রহণ করে এবং ধীরে ধীরে আসক্ত হয়ে পড়ে।
জীবনের নানা চাপে যেমন পড়াশোনা, চাকরি, সম্পর্ক বা আর্থিক সমস্যা, তরুণরা সহজ সমাধান হিসেবে মাদক বেছে নেয়।
খারাপ সঙ্গ বা বন্ধুদের দ্বারা প্ররোচিত হয়ে মাদকের সঙ্গে জড়িয়ে পড়া একটি সাধারণ কারণ।
পারিবারিক দ্বন্দ্ব, অবহেলা, কিংবা পরিবারের মাদকাসক্ত সদস্য থাকলে তরুণদের মধ্যে এই প্রবণতা দেখা দিতে পারে।
বর্তমান সমাজে মাদক সহজলভ্য হওয়ায় তরুণরা সহজেই এর শিকার হয়।
নৈতিক শিক্ষা ও সামাজিক মূল্যবোধের অভাব তরুণ প্রজন্মকে মাদকের প্রতি আকৃষ্ট করতে পারে।
সিনেমা, মিউজিক ভিডিও বা সোশ্যাল মিডিয়ায় মাদককে গ্ল্যামারাইজ করা তরুণদের মধ্যে মাদক গ্রহণের ইচ্ছা বাড়ায়।
বেকারত্ব বা আর্থিক অনিশ্চয়তার কারণে হতাশা থেকে মাদক গ্রহণের প্রবণতা দেখা যায়।
অনেক তরুণ অতিরিক্ত সময় ও স্বাধীনতা পেয়ে মাদক গ্রহণের পথ বেছে নেয়।
মাদক সেবনের ফলে শারীরিক সমস্যা যেমন লিভার নষ্ট হওয়া, হার্টের সমস্যা, এবং মানসিক সমস্যা সৃষ্টি হয়। আসক্তি দীর্ঘমেয়াদে মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
মাদকাসক্ত ব্যক্তি পরিবারে অশান্তি সৃষ্টি করে এবং সম্পর্কের অবনতি ঘটায়।
মাদক সেবনের জন্য অর্থের প্রয়োজন হয়, যা অনেক সময় চুরি বা অপরাধের দিকে নিয়ে যেতে পারে।
মাদকাসক্তি অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
মাদকাসক্তির ফলে সামাজিক অবক্ষয় ঘটে এবং সমাজে অপরাধপ্রবণতা বৃদ্ধি পায়।
পরিবারে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখা এবং সন্তানের কার্যকলাপের প্রতি নজর রাখা।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাদকবিরোধী সচেতনতা কার্যক্রম চালানো।
ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে তরুণদের সম্পৃক্ত করা।
মাদকবিরোধী কঠোর আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগ।
মাদকের দিকে ঝুঁকে পড়া প্রতিরোধে সমাজের সকল স্তরের সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
এম এ এস ওয়ার্ড স্টোরি এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন
comment url